ইনসাইড আর্টিকেল

শেখ হাসিনার সেরা উক্তিগুলো

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 17/05/2019


Thumbnail

দলের মধ্যে বা বাইরে একটা সময়ে প্রায়ই বলা হতো যে তিনি বেশ সোজাসাপ্টা কথা বলেন, কোনোকিছুকে পরোয়া করে কথা বলেন না তিনি। একটা সময় দেখা গেলো যে উনিই সবচেয়ে সহজ সত্য কথাটা অকপটে বলের বিধায় রাজনীতিতে তার শত্রু অনেক বেশি ছিল। কিন্তু অকপটে কথা বলার যে সুবিধা সেটা হলো যে তিনি সব ধরনের প্রতিকূলতাকে মাড়িয়ে তার প্রতিটি কথাকে তিনি প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। এখন সবাই বিশ্বাসই করেন যে তিনি যেটা বলেন সেটা করেই ছাড়েন। তার কথার এখন বিশ্বাসযোগ্যতা আছে সবার কাছে। রাজনীতি মানেই যে চতুরতা নয়, রাজনীতি মানেই যে সামনে এক কথা বলে ভেতরে অন্যরকম কাজ করা, রাজনীতি মানে যে শুধু কূটকৌশলে খেলাই নয় বরং নিরেট সত্য কথা বলা সেটা তার বিভিন্ন সময়ের বিভিন্ন উক্তিতেই বোঝা যায়। তিনি আর কেউ নয়, আমাদের সবার দেশনেত্রী শেখ হাসিনা। আজ তার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। দিবসকে সামনে রেখে আজ থাকছে তার বিখ্যাত কিছু উক্তি আর উক্তির সময়কাল-

‘আমি চাই বাংলার মানুষের মুক্তি। শোষণের মুক্তি। বাংলার মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য বঙ্গবন্ধু সংগ্রাম করেছিলেন। আজ যদি বাংলার মানুষের মুক্তি না আসে, তবে আমার কাছে মৃত্যুই শ্রেয়।’

(১৭ মে ১৯৮১। স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর মানিক মিয়া এভিনিউয়ে আয়োজিত গণ-সংবর্ধনায়।)

‘সর্বস্তরের মানুষের দুর্ভোগের একটাই কারণ। সেটা হলো হত্যা ও ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে ক্ষমতা বদলের পালা। ষড়যন্ত্র ও হত্যার মাধ্যমে রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করে যেভাবে ক্ষমতা বদল হচ্ছে তারই জন্য আজকে মানুষের এই দুর্ভোগ।’

(১৪ অক্টোবর ১৯৮৪। শেরে বাংলা নগরে ১৫ দল আহুত জাতীয় সমাবেশে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা।)

‘মাটি আর মানুষের সাথে রাজনীতিকে একাত্ম করতে হবে। সমাজের গভীর থেকে গভীরতর স্তরে পৌঁছুতে হবে। জনগণের বিশ্বস্ত বন্ধু হিসেবে সততা ও যোগ্যতার প্রমাণ দিতে হবে।’

(১ জানুয়ারি ১৯৮৭। ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিলের উদ্বোধনী অধিবেশনে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।’

‘যারা অস্ত্রের ভাষা বুঝে, তারা মুক্তির ভাষা মানে না। অস্ত্রকে সম্বল করে যারা ক্ষমতায় আসে, তারা যুক্তি বুঝে না, যু্ক্তি তাদের কাছে বোধগম্য নয়।’

(৯ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৭। জাতীয় সংসদে জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার দাবি উত্থাপন করে ভাষণে বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনা।)

‘স্বাধীন, নিরপেক্ষ, গণমুখী ও বিশ্বাসযোগ্য গণমাধ্যম গণতন্ত্রের পূর্বশর্ত। আমরা গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছি।’

(২৫ এপ্রিল ১৯৯১। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিরোধী দল বেতার- টেলিভিশনের স্বায়ত্তশাসন সংক্রান্ত বিল সংসদে উত্থাপন করে। জাতীয় সংসদে দেওয়া ভাষণে বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনা।)

‘আওয়ামী লীগের আদর্শ জনকল্যাণমুখী এক শোষণমুক্ত উন্নত সমাজব্যবস্থা কায়েম করা। আমাদের মূল লক্ষ্য জনগণের কল্যাণ ও অর্থনৈতিক মুক্তি এবং স্বনির্ভর অর্থনীতি।’

(১১ সেপ্টেম্বর ১৯৯৫। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিশেষ কাউন্সল অধিবেশনে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।)

‘আজ সেই সোনার বাংলা গড়ার দায়িত্ব এসেছে। এ দায়িত্ব শুধু আওয়ামী লীগের একার হতে পারে না। এ দেশ স্বাধীন করেছিলাম আমরা সবাই মিলে যেমন এক ভয়ঙ্কর দুঃসময়ে, ঠিক তেমনি আজ সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও দুঃসময়ে, ঠিক তেমনি আজ সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও দুঃশাসনের শৃঙ্খল থেকে দেশকে মুক্ত করার আরেক সংগ্রামে আবার আমরা একসাথে নিঃশ্বাস নেব, এক প্রত্যয়কে অবলম্বন করব, এক লক্ষ্যে হব পথের সাথী।’

(২৪ জুন ১৯৯৬। প্রথমবারের মতো সরকার পরিচালনায় দায়িত্ব গ্রহণ করে জাতির উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা।)

‘গণতন্ত্রের জন্য স্বাধীনতার চেয়ে বড় কোনো ভিত্তি নেই এবং সভ্যসমাজের আইন ও বিধান ছাড়া গণতন্ত্রের কোনো নিশ্চয়তা নেই।’

(১৯৯৭ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।)

‘ন্যায় ও সত্যের পথ কঠিন পথ

এই কঠিন পথ আমি বেছে নিয়েছি’

(২৮ জানুয়ারি ১৯৯৯। শান্তিনিকেতনে এক আড়ম্বরপূর্ণ বিশেষ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।)

‘শান্তি একটি মৌলিক মানবাধিকার যাকে অর্জন, লালন, উন্নয়ন করতে হবে এবং সর্বদা ভবিষ্যতের জন্য এগিয়ে নিতে হবে।’

(২০ সেপ্টেম্বর ১৯৯৯। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৫৪তম অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।)

‘২১ আগস্টের হামলা যারা করেছে তারা জনগণকে ভয় পায়। জনগণের দল আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করতে চায়। খুনিরা জানে না, ব্যক্তিকে হত্যা করা যায়। আদর্শ ও নীতিকে হত্যা করা যায় না।’

(১০ অক্টোবর ২০০৫। বিএনপি-জামাত জোটের চার বছরে দুর্নীতি, সন্ত্রাস, অনিয়ম, অত্যাচার, দুঃশাসনের বিরুদ্ধে জাতির উদ্দেশ্যে বিরোধীদলীয় নেতা ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।)

‘আওয়ামী লীগের যেকোনো সংকটে তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীরাই বারবার দলকে টিকিয়ে রেখেছে। সে কারণেই প্রতিষ্ঠার পরের দীর্ঘ ৬০ বছরে অনেক ভাঙ্গা-গড়া, আঘাতের পর আঘাতের পরেও গণমানুষের সংগঠন আওয়ামী লীগ তার সংগ্রামী অবস্থান ধরে রেখেছে।’

(২৪ জুলাই ২০০৯। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিলের উদ্বোধনী অধিবেশনে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।)

‘২০২১ সালে আমরা এমন একটি বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই যেখানে দুর্নীতি, দুঃশাসন ও অশিক্ষার অন্ধকার থাকবে না।’

(৬ জানুয়ারি ২০১০। দ্বিতীয়বারের মতো সরকার গঠনের ১ বছর পূর্তি উপলক্ষে জাতির উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।)

‘শান্তি ও উন্নয়নের লক্ষ্যে জনগণের ক্ষমতায়ন অপরিহার্য। ন্যায়বিচার হচ্ছে এর ভিত্তি।’

(২৭ সেপ্টেম্বর ২০১২। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৬৭তম অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।)

 

বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭