ইনসাইড বাংলাদেশ

শিমুলিয়া ইউনিয়নের রাস্তাঘাটের বেহালদশা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 18/05/2019


Thumbnail

 

 
মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার শিমুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের  রাস্তাঘাটের বেহালদশার কারনে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগের স্বীকার হচ্ছে এ ইউনিয়নের অর্ধলক্ষাধিকের উপরে বাসিন্দা। 

 ৪৪ টি গ্রাম আর নয়টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত ১২ বর্গকিলোমিটার আয়োতনের এ ইউনিয়ন পরিষদ। পরিষদের তথ্যানুযায়ী এ ইউনিয়নের ৫৫ কিলোমিটার রাস্তার মধ্যে ৩৮ কিলোমিটার রাস্তাই কাচা, ৭ কিলোমিটার রাস্তা ইটের সলিং করা আর ঢাকা- আরিচা মহাসড়কের মহাদেপুর- ঝিটকা ভায়া সড়কের শিমুলিয়া থেকে ইন্তাজগঞ্জ বাজার পর্যন্ত  ৮ কিলোমিটার রাস্তা পাকা দেখানো হয়েছে। 
 
অথচ প্রবাসী অধ্যুষিত আর কৃষিতে স্বনির্ভর এ ইউনিয়নের বাসিন্দাদের জীবনমানের পরিবর্তন হচ্ছেনা শুধু মাত্র এ রাস্তাঘাটের উন্নয়ন না হওয়াতে।        
 
ইউনিয়নের দিয়ারচর শাকরাইল এলাকার বাসিন্দা আব্দুর রাজ্জাক বিশ্বাস জানান, একেতে রাস্তাগুলো খানাখন্দে ভরা আর একটু বৃষ্টি হলে হাটু পর্যন্ত কাদার সৃষ্টি হয়। এ কারনে যাতায়াতের ক্ষেত্রে তাদের প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাতে হয়। 
 
ইটালী পাড়ার  আক্তার হোসেন  জানান, পরিবার পরিজন সব ফেলে প্রবাসে রয়েছি বিশ বছর যাবত কিন্তু দুখের বিষয় আজো এলাকার রাস্তাঘাটের কোন উন্নয়ন ঘটেনি। বিদেশে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে অর্থ উপার্জন করে দেশে পাঠাই। আর কতদিন এভাবে থাকবো পরিবার পরিজন ছেড়ে প্রবাসে। ইচ্ছে আছে এলাকায় একটি ক্ষুদ্র শিল্পকারখানা গড়ে তোলার। যাতে করে নিজেও চলতে পারি আর এলাকার বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়। কিন্তু রাস্তাঘাটের দুর অবস্থার কারনে শিল্প কারখানা স্থাপন করাও সম্ভব হচ্ছেনা। 
 
কৃষক সায়েদুর রহমান জানান, পেয়াজ মরিচের জন্য বিখ্যাত আমাদের এলাকা। অথচ রাস্তাঘাটের বেহাল দশার কারনে উৎপাদিত পণ্যগুলো আমরা সময় মতো হাটে রাজারে নিতে পারিনা। এছাড়াও বৃষ্টি  হলে সকল প্রকার রিক্সা, ভ্যান চলাচল সম্পুর্ণরুপে বন্ধ হয়ে। এসময় ক্ষেতে থেকে তোলা মরিচ পচে নষ্ঠ হয়ে যায়। এ কারনে কৃষকরা প্রতি বছরই লোকসানের মুখে পড়ে যায় শস্য উৎপাদন করতে গিয়ে। 
 
বুতনী এলাকার রেহানা বেগম জানান, রাস্তাঘাটের দুর অবস্থার কারনে অসুস্থ রোগী নিয়ে হাসপাতালে যাওয়ার পথে ঝাকুনিতেই আরো অসুস্থ হয়ে যায় রোগী। তার একমাত্র মেয়ে অন্তস্বঃত্ত্বা। অথচ খানাখন্দে ভরা ভাংগা চোড়া রাস্তার কারনে মেয়েকে হাসপাতালে নিতে সাহস পাচ্ছেননা বলে জানান, তিনি। 
 
স্কুল শিক্ষার্থী ফারিয়া ও কলেজ শিক্ষার্থী তুষার জানান, বর্ষা  মৌসুমে  রাস্তা পানিতে তলিয়ে যায় আর বৃষ্টি হলে রাস্তায় কাদার সৃষ্টি হয়। এ সময় তাদের স্কুল কলেজে যাওয়া বন্ধ হয়ে এবং তাদের পড়াশোনা ব্যাহত হয়।  তারা আরো জানান, শুধু রাস্তাঘাটের এমন দশার কারনে বেশীর ভাগ শিক্ষার্থী মাধ্যমিক পর্যায়ে ঝড়ে পড়ে যায় তাদের এলাকায়।   
 
এছাড়াও স্থানীয় বাসিন্দার আরো জানিয়েছেন, ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের মহাদেবপুর থেকে  পাটুরিয়া ঘাট পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার ভায়া সড়কের শাকরাইল বাজার থেকে রুপসা বাজার পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার রাস্তার  অবস্থা নাজুক। অথচ এ সড়ক সংষ্কার করে যান চলাচলের উপযোগী করে গড়ে তুললে এ ইউনিয়নের বাসিন্দাদের ব্যাবসা-বানিজ্য প্রসার, কৃষি পন্য বাজারজাত করন, শিক্ষার্থীদের স্কুল-কলেজে যাতায়াতের ক্ষেত্রে এছাড়াও ঈদের সময় ঘাটের যানজট কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে। 
 
এ বিষয়ে শিমুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন জানান, পুর্বের চেয়ারম্যানরা কি করেছেন সেটা জানা নেই তার। তবে তিনি নির্বাচত হওয়ার পর থেকে রাস্তাঘাটের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন বলে জানান তিনি। 


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭