লিভিং ইনসাইড

রোজা কি কাজের ক্ষতি করে?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 19/05/2019


Thumbnail

কাগজে কলমে আমাদের কাজের কোনো রুটিন না থাকলেও প্রতিদিনের কাজগুলো একটি নির্দিষ্ট ছন্দে হয়। মানে কখন কি করতে হবে, সেগুলো একটা ছকে আবদ্ধ। এবং এরকম একটি রুটিনে অভ্যস্ত আমরা। কখনো কখনো একটু কাজ বা অভ্যাসের হেরফের হয় হয়ত। কিন্তু দিন চলে ঠিক নিয়মেই। এখন চলছে রোজার মাস। বাকি ১১ মাসের মতো দিন কাটবে না, সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু অনেকেই রোজার মাসে কাজের ক্ষেত্রে কিছুটা পিছিয়ে পড়ে। কিন্তু সেটা কেন, বা এই বিষয়টি থেকে বেরিয়ে আসার পন্থা নিয়ে থাকছে আজকের আলোচনা-

কেন হয় এমন

রোজা রাখলে আপনার পুরো রুটিনটাই এলোমেলো হবে, এটা নিঃসন্দেহে। কিন্তু তাই বলে তো কাজে পিছিয়ে যাবো- এই চিন্তা করে বসে থাকলে চলবে না। রোজায় মূল সমস্যা হয় ঘুমে। কারণ সেহেরিতে উঠে বেশ কিছুক্ষণ জেগে থাকতে হয়। আবার সকালেও তুলনামূলক তাড়াতাড়ি উঠে নেমে পড়তে হয় কাজে। কিন্তু সকালে কখনোবা ঘুম থেকে উঠে কাজে, ক্লাসে বা অফিসে যেতে হয় দেরিতে।

আরেকটি বড় সমস্যা হলো রোজা এলেই কাজকর্ম কেমন যেন স্তিমিত হয়ে যায়। বিশেষ করে অফিসপাড়া কেমন যেন ঝিমিয়ে পড়ে। রোজায় অফিস সময় নির্ধারণ করা থাকে। বিকেলেই শেষ হয় অফিসগুলো। একটু বেলায় বেলায় কাজ শেষ করতে না পারলে সমস্যায় পড়তে হয়। এই যেমন দুপুর পর্যন্ত মোটামুটি কাজ চলে। এরপরে প্রার্থনা আর বিরতির পরপরই অফিস ফাকা হতে থাকে। নির্ধারিত সময়ের আগেই অফিস খালি। ফলে কাজের জন্য তেমন কোনো লোক থাকে না। তারপর তো ছুটির সময়ই হয়ে যায়। তাই কাজে কিছুটা পিছিয়ে পড়তেই হয়।

আবার কিছু কাজ, অ্যাসাইনমেন্ট, বিল পে’র মত বিষয়গুলো রোজার কারণেই পিছিয়ে যায়। একেই খাটুনি, তারপর সময় কম, মনোনিবেশের ঘাটতির কারণে সবারই অজুহাত থাকে- রোজার পরে অমুক কাজটা শেষ করবো।

আবার রোজা থেকে ক্লান্তিবোধ আসাটা স্বাভাবিক। সেক্ষেত্রে কাজে ঢিলেমি আসে, কাজ করতে কষ্টও হয়। বিশেষ করে দুপুরের পরপরেই কাজে আর কিছুতেই মন বসতে চায় না, দুচোখ যেন বুজে আসে। ঘরের কাজেও দেখা যায় ব্যাঘাত।

কি করবেন

রোজা বা কাজ কোনোটাকেই উপেক্ষা করতে যাবেন না। চেষ্টা করুন তাল মিলিয়ে চলতে। হাতে তেমন কাজ না থাকলে আর ক্লান্ত থাকলে কাজ এড়িয়ে যাওয়াতে সমস্যা নেই। অফিস আওয়ার যতক্ষণই থাকুক না কেন, ততটুকু সময় মন দিয়ে কাজ করুন। সকাল থেকে দুপুরের মধ্যে জরুরি কাজগুলো সেরে ফেলুন। কারো সঙ্গে দেখা করা, কারো ফাইল বুঝিয়ে দেওয়া বা অ্যাপয়েন্টমেন্ট থাকলে সেটাও এই সময়ের মধ্যে করে রাখবেন।

দিনের বেলায় ঘুম ঘুম ভাব এড়াতে রাতে পর্যাপ্ত সময় ঘুমান। আর বেশি খারাপ লাগলে কাজের মাঝখানে কিছুটা বিশ্রামের বিরতি নিয়ে আবার কাজ শেষের দিকে মন দিন। আর সারাদিনের কাজে গতি আনতে শেষরাতের সেহেরিটাও একটু ভরপেট আর স্বাস্থ্যসম্মত করতে চেষ্টা করবেন। না হলে আপনি ঝিমিয়ে পড়বেন।

সবচেয়ে ভালো হয় আপনি যদি কাজ ভাগ করে নিতে পারেন। যতক্ষণ সতেজ থাকবেন কাজের প্রতি বেশি গুরুত্ব দিন। আর ইফতারের পর টুকটাক কাজগুলো সেরে নিতে পারেন।

বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭