ইনসাইড পলিটিক্স

ছাত্রলীগের কমিটি বিতর্ক; কাদেরের প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 19/05/2019


Thumbnail

অসুস্থতা থেকে ফেরার পর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট হলো ছাত্রলীগের কোন্দল মেটানো। আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্রলীগের যে কোন্দল এবং বিরোধ তা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মেটানোর জন্য ওবায়দুল কাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন বলে আওয়ামী লীগের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে। এর আগে তাদেরকে ছাত্রলীগের কমিটি গঠন এবং বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তারা দৃশ্যত ব্যর্থ হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ওবায়দুল কাদেরকেই এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কারণ হলো, ওবায়দুল কাদের দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রলীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত এবং ছাত্রলীগের দেখভালের দায়িত্ব দীর্ঘদিন তার উপরেই ন্যস্ত ছিল। মাঝখানে তিনি অসুস্থ হয়ে যাওয়ার পরে জাহাঙ্গীর কবির নানকের নেতৃত্বে চারজন আওয়ামী লীগের শীর্ষনেতাকে ছাত্রলীগের কমিটি সম্বন্ধে প্রস্তাবনা এবং সুপারিশ করার করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এই চারজন যে কমিটি করেছে সেই কমিটি নিয়ে এখন অশান্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এমনকি এই পরিস্থিতি এখন ক্রমশ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে।

আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে বিদ্রোহী প্রার্থীদের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপ করার পরেও পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। এজন্য প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত ক্ষুব্ধ এবং বিরক্তি প্রকাশ করেছেন। তিনি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে দুই পক্ষকে ডেকে কথা বলার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। ৪৮ ঘন্টার মধ্যে যদি সমাধান না হয় তাহলে তিনি কঠিন ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে। তবে ওবায়দুল কাদের কখন কীভাবে ছাত্রলীগের সঙ্গে বসবেন তা এখনও নিশ্চিত নয়। তবে একটি সূত্র বলছে যে, আজ সন্ধ্যা বা কাল সকালের মধ্যেই প্রথমে বিক্ষুব্ধ যেসমস্ত ছাত্রনেতা আছেন তাঁদেরকে ডাকবেন। তাঁদের সঙ্গে তিনি কথা বলবেন। এরপর তিনি যারা বর্তমানে কমিটিতে আছে সেই কমিটির নেতৃবৃন্দকে ডাকবেন এবং তাঁদের সঙ্গে কথা বলবেন। ধারণা করা হচ্ছে যে, ছাত্রলীগের যে ঘোষিত কমিটি সেই কমিটি থেকে বেশকিছু সদস্য বাদ যাবে এবং যারা পদবঞ্চিত হয়েছে তাঁদের মধ্য থেকে হয়তো কয়েকজনকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। কিন্তু এ ব্যাপারে যদি শেষপর্যন্ত দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতা না হয় এবং ছাত্রলীগের বিরোধ যদি বাড়তেই থাকে তাহলে হয়তো চরমপন্থা হিসেবে ছাত্রলীগের পুরো কমিটিই বিলুপ্ত হয়ে যাবে। প্রধানমন্ত্রী বারবার এ বিষয়ে সতর্ক করে দিচ্ছেন যে, ছাত্রলীগের যদি কমিটি নিয়ে বিরোধ চলতেই থাকে তাহলে কমিটিরই দরকার নেই। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছাত্রলীগের সঙ্গে আলোচনার সময় এই সতর্কবার্তায় তাঁদেরকে দিবেন এবং তাঁদেরকে অনুরোধ নয় তাঁদেরকে কঠোরভাবেই বিরোধ নিরসনের জন্য তাগিদ দিবেন বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।

বাংলা ইনসাইডার



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭