ইনসাইড গ্রাউন্ড

‘ষোল কোটির পনের’ বিশ্বকাপে জয়ের নায়ক হতে চান মিঠুন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 20/05/2019


Thumbnail

আগামী ৩০ মে থেকে ইংল্যান্ডে শুরু হবে আইসিসি বিশ্বকাপের দ্বাদশ আসর। ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় বিশ্ব আসরকে সামনে রেখে চলছে বাংলা ইনসাইডার-এর বিশেষ আয়োজন ‘বিশ্বকাপে…বিশ্ব কাঁপে’। কাউন্ড ডাউন স্টোরিতে এবার থাকছে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের স্কোয়াডের সদস্যদের নিয়ে পর্যালোচনা ‘ষোল কোটির পনের’। আজকের বিকেলের আয়োজেনে থাকছেন মোহাম্মদ মিঠুন।

পেশাদার ক্রিকেটার হলেও অনিয়ম মেনে চলারই নিয়ম ছিলো মোহাম্মদ মিঠুনের কাছে। কিন্তু বিয়ের পর বদলে যায় সব কিছু। স্ত্রী নিগার সুলতানার অনুপ্রেরণায় নিজেকে বদলে ফেলেন মিঠুন। নিয়ম মেনে পরিশ্রম বাড়িয়ে, নিজেকে খুঁজে পেয়েছেন নতুন করে। টাইগারদের বিশ্বকাপ স্কোয়াডের পরিক্ষীত সহযোদ্ধা তিনি।

ক্রিকেট ক্যারিয়ার: বড় ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে ভর্তি হন বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিকেএসপিতে। ২০০৮ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে খেলেন তিনি। নিজের আদর্শ হিসেবে মানেন অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডাম গিলক্রিস্টকে। ২০০৮-০৯ মৌসুমে ঘরোয়া ওয়ানডে ত্রিকেটে দুর্দান্ত খেলেন তিনি। ২০১০ সালে চীনের গুয়াংজুতে অনুষ্ঠিত এশিয়ান গেমসের ক্রিকেটে স্বর্ণ জেতে বাংলাদেশ। সে দলের সদস্য ছিলেন তিনি। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) পারফরম্যান্স তাকে জায়গা করে দেয়, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের স্কোয়াডে।

আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার: মোহাম্মদ মিঠুনের মূল শক্তি দলের প্রয়োজনে যেকোনো পজিশনে ব্যাটিং করতে পারা। গত এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৬৩ রানের ইনিংস খেলে বুঝতে পারেন তার পক্ষেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভালো কিছু করা সম্ভব। পরের ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৬০ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। এ পর্যন্ত ১৮ ওয়ানডেতে ৩২.৩০ গড়ে করেছেন ৪২০ রান। শতক না থাকলেও অর্ধশতক আছে ৪টি।

নির্বাচকদের ব্যাখ্যা: অন্য সিনিয়র ক্রিকেটাদের মতো মোহাম্মদ মিঠুন ছিলেন অটোমেটিক চয়েজ। অনেক দিন ধরে একজন ভালো মানে মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান খুজছিলো বাংলাদেশ। গত এশিয়া কাপে সেই অভাব দূর করেন মোহাম্মদ মিঠুন। দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন তিনি। এছাড়া নিউজিল্যান্ড সফরে বাংলাদেশের একমাত্র হাফসেঞ্চুরি করা ব্যাটসম্যান তিনি। কিউইদের বিপক্ষে টপ অর্ডারের অন্য ব্যাটসম্যানরা যখন ব্যর্থ তখন টানা দুটি হাফসেঞ্চুরি করেন মিঠুন। এজন্য তাকে বিশ্বকাপে স্কোয়াডে রাখতে খুব বেশি চিন্তা করতে হয়নি নির্বাচকদের। এমনতাই জানান প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু।

মিঠুনের লক্ষ্য: আসন্ন বিশ্বকাপের জন্য লক্ষ্য নির্ধারণ না করলেও দলের জয়ে অবদান রাখতে চান মিঠুন। তিনি বলেন, ‘আমার জায়গাতে আমি সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করবো। আমি ভালো কিছু করতেই থাকলে টুর্নামেন্ট শেষে নিশ্চয়ই রেকর্ডও ভালো কিছুই হবে। আমার স্বপ্ন একটাই, দলকে জিতিয়ে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়া। এর চেয়ে ভালো লাগার কিছু হতে পারে না’।

বাংলা ইনসাইডার/আরইউ



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭