ইনসাইড গ্রাউন্ড

সুজন যে কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন ওয়াসিম আকরামের সঙ্গে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 25/05/2019


Thumbnail

১৯৯৯ সালের ঘটনা। প্রথমবার বিশ্বকাপে অংশ নিলো বাংলাদেশ। গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল পাকিস্তানের। ম্যাচের আগে সুজনকে আরো বেশি আগ্রাসী হওয়ার পরামর্শ দেন বাংলাদেশের তৎকালীন বোলিং কোচ। তিনিও গুরুর উপদেশ পালন করেছিলেন।

সুজন বোলিং করার সময় ব্যাটিংয়ে স্ট্রাইকে ছিলেন ওয়াসিম। তখনকার সময়ের পাকিস্তান অধিনায়ক। প্রতিটি ডেলিভারি করার পর সুজন তেড়েফুঁড়ে যাচ্ছিলেন ওয়াসিমের দিকে। চোখে চোখ রেখে ছুঁড়ে দিচ্ছিলেন তির্যক বাক্য। সেই দৃষ্টি আর বাক্যবাণকে সহজভাবে নেননি ওয়াসিম। বিশ্ব ক্রিকেটে নতুন পা রাখা একটি দলের একজন বোলারের এমন চেহারা দেখে যারপরানাই বিস্মিত। তাই পাল্টা স্লেজিং করেন ওয়াসিম। কভারে ফিল্ডিং করতে দাঁড়ানো আকরাম খানকে ডেকে সুজনকে উদ্দেশ্য করে বলেন,‘তোমাদের ছোটুকে (উচ্চতায় দীর্ঘ না হওয়ায়) বলো, ওকে আমি মেরে ফেলব।’

ওয়াসিমের এই হুঙ্কারকে অবশ্য পাত্তা দেয়নি সুজন। সুজন তার কাজ করে গেছেন। যদিও সুজন ওয়াসিমকে আউট করতে পারেননি। উইকেটটা পেয়েছিলেন মিনহাজুল আবেদিন নান্নু। আর বাংলাদেশ ৬২ রানের জয় নিয়ে চমকে দিয়েছিল সারা বিশ্বকে।

লড়াই থামতে পারতো সেখানেই। কিন্তু প্রতিশোধের আগুন পুষে রেখেছিল ওয়াসিম। ‘প্রতিশোধ’ নেওয়ার জন্য বেছে নিয়েছিলেন পরের বছরের এশিয়া কাপের আসরকে। বাউন্সার আর ইয়র্কার দিয়ে সুজনকে নাস্তানাবুদ করার সুযোগ তিনি পাননি। তার আগেই সুজন আউট হয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন।

কিন্তু সুজনের আউটটা চোখ এড়িয়ে গিয়েছিল ওয়াসিমের। তাই প্রতিটা ব্যাটসম্যান নামলেই জিজ্ঞেস করতেন সুজন কখন নামবেন। সুজন জানান, সেসময় আমাদের সবার হাইটই প্রায় এক ছিল। আমি নেমে আজহার মাহমুদের বলে আউট হয়ে যাই। তাই বাকিদের কাছে জিজ্ঞেস করছিলেন,‘ছোটু কোথায়? ও কি ব্যাটিংয়ে নামবে না?’ ভাগ্যিস, আমি দ্রুতই আউট হয়ে গিয়েছিলাম! নইলে সে ম্যাচে বাউন্সারে জর্জরিত করতো আমাকে।’


বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ

 



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭