লিভিং ইনসাইড

আপনার বালিশটি কেমন হবে?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 26/05/2019


Thumbnail

সারাদিন পর আরামের একটা ঘুম কে না চায়। আরামে ঘুমাবেন তো, কিন্তু সেজন্য আপনার তো সুন্দর একটা পরিবেশ দরকার। একটা সুন্দর পরিপাটি বিছানা, গদি, বালিশ আর মনে শান্তি হলেই আপনার আরামের ঘুম আর কেউ ঠেকাতে পারবে না। কিন্তু মাথার নিচে বালিশ দিয়ে শান্তি পাচ্ছেন না, মাথা বা ঘাড়ে ব্যথা হচ্ছে- তাহলে ঘুমের বারোটা বাজবে। ভালো ঘুমের অন্যতম জরুরি পূর্বশর্ত হলো স্বাস্থ্যসম্মত বালিশ। কিন্তু আমাদের বালিশটা কেমন হবে, সেই সম্পর্কে আমাদের ধারণা খুব কমই। আজ জানাবো আপনার উপযোগী কেমন বালিশ প্রয়োজন, সেই সম্পর্কে-

কে কীভাবে ঘুমায় সাধারণত, সেটার ওপর নির্ভর করে আপনার বালিশটি বেছে নিন। বালিশটি এমনভাবে ব্যবহার করতে হবে যাতে আপনার মেরুদণ্ড সোজা থাকে, কোনোভাবে মেরুদণ্ড বেঁকে গেলে বিপদ। সাধারণত বালিশের উচ্চতা চার থেকে ছয় ইঞ্চি রাখা ভালো। তবে শারীরিক গঠন অনুযায়ী আপনার বালিশের উচ্চতা বাড়তে বা কমতে পারে।

একেবারে নরম তুলতুলে বালিশের চেয়ে কিছুটা শক্ত বালিশ ব্যবহার করা ভালো। যেই বালিশগুলোর মধ্যে আপনার মাথা একেবারে তলিয়ে যায়, সেগুলো ব্যবহার করলে মেরুদণ্ডের অবস্থান ঠিক থাকে না। এগুলো তেমন স্বাস্থ্যকরও নয়।

আমরা সাধারণত তিনভাবে ঘুমাই। কেউ কাত হয়ে, কেউ চিত হয়ে এবং কেউ উপুড় হয়ে। কাত হয়ে শোয়ার অভ্যাস থাকলে খেয়াল রাখতে হবে ঘাড় এবং কাঁধে যেন দূরত্ব থাকে। কাত হয়ে যদি শোন আপনি, তবে বালিশ একটু উঁচু হতে হবে। যেন মেরুদণ্ড একই অবস্থানে থাকে। এক্ষেত্রে আপনি একটু শক্ত বালিশ ব্যবহার করবেন। আর কাত হয়ে ঘুমালে দুই হাঁটুর মাঝখানে বালিশ দিয়ে শোয়া ভালো। এতে মেরুদণ্ড কিছুটা সাপোর্ট পায়।

অনেকে চিত হয়ে শুলে অনেকে মাথার নিচে দুটো বালিশ দেয়। এটি একদম ভুল। কারণ এতে মাথা উঁচু হয়ে থাকে বলে কাঁধে ব্যথা হতে পারে। একটি বালিশ ব্যবহার করাই ভালো। এছাড়া চিত হয়ে শুলে হাঁটুর নিচে একটি বা দুটো বালিশ রাখা যেতে পারে। আর উপুড় হয়ে শুলে একটু পাতলা বা নরম বালিশ ব্যবহার করতে হবে, এই বালিশের উচ্চতা কম হলে ভালো হয়। যেন ঘাড় এবং মাথা কাছাকাছি থাকে।

বালিশের কভারের দিকে খেয়াল দিতে হবে আপনাকে। ফ্যাশনেবল করতে গিয়ে আপনার বালিশের কভারটি যেন বেশি খসখসে না হয়। বালিশের কভার হিসেবে নরম সুতি কাপড়ের কিংবা সার্টিন কাপড়ের কভারই সবচেয়ে ভালো।

আর এক থেকে দেড় বছরের বেশি কোনো বালিশ ব্যবহার করা ভালো নয় বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। সেক্ষেত্রে দুইবছর হলে অবশ্যই বালিশ বদলে ফেলুন। উলের বালিশ, সিনথেটিক বা ফোমের বালিশ ব্যবহার করা উচিত নয়। এতে অ্যালার্জির সমস্যা হতে পারে। তুলার বালিশ ব্যবহার করা ভালো। যদি কোনো কারণে বালিশ বেশি নরম হয়ে যায় তখন সেটি পরিবর্তন করতে হবে। শোয়ার সময় মেরুদণ্ডের অবস্থান যেন সোজা থাকে সেটি খেয়াল রাখতে হবে।

নিয়মিত আপনার বালিশটি রোদে দেবেন। নিয়মিত কভার পরিবর্তন করবেন। একজনের বালিশ আরেকজন ব্যবহার না করাই ভালো।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭