নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: 02/06/2019
বড়লেখায় মহিলা আইনজীবী আবিদা সুলতানা হত্যায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন মামলার প্রধান আসামি মসজিদের ইমাম তানভীর আলম। ক্ষোভের থেকেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটান তিনি।
১০ দিনের রিমান্ডের আসামি তানতীর আলম চতুর্থদিনেই হত্যার ব্যাপারে পুলিশের কাছে মুখ খুলেছেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় পুলিশ তাকে বড়লেখা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করলে ম্যাজিস্ট্রেট হরিদাস কুমারের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন তিনি।
জবানবন্দিতে ইমাম তানভীর আলম বলেছেন, ‘ঘটনার দিন মহিলা আইনজীবী আবিদা সুলতানার সঙ্গে বাসাভাড়া ও পৈতৃক বাড়ির গাছ বিক্রি নিয়ে তুমুল ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে আবিদা সুলতানা খারাপ ভাষায় গালি দিয়ে আমার দাড়ি ও লুঙ্গি ধরে টান দেয়।
এতে রাগের মাথায় পানির ফিল্টারের ঢাকনা সিরামিকের দিয়ে সজোরে আবিদার মাথায় আঘাত করি। রক্তাক্ত অবস্থায় ঘরের মধ্যে অনেকক্ষণ দু’জনের ধস্তাধস্তি হয়। চরম উত্তেজনায় গলায় ও মাথায় কাপড় পেঁচিয়ে তাকে মাটিতে ফেলে দেই। তার মৃত্যু ঘটায় বাসায় তালা দিয়ে বেরিয়ে পড়ি।’
২৬ মে বড়লেখার পৈতৃক বাসায় নির্মমভাবে খুন হন মৌলভীবাজার জেলা বারের নিয়মিত আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবিদা সুলতানা। তিনি উপজেলার কাঁঠালতলীর মাধবগুল গ্রামের মৃত হাজী আবদুল কাইয়ুমের বড় মেয়ে। হত্যাকাণ্ডের পরই ওই বাসার অপরাংশের ভাড়াটিয়া স্থানীয় মসজিদের ইমাম তানভীর আলম (৩৪) বাসায় তালা ঝুলিয়ে পালিয়ে যায়। পরদিন সন্দেহভাজন খুনি হিসেবে শ্রীমঙ্গল থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
বাংলা ইনসাইডার/বিকেডি
প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান
বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭