লিভিং ইনসাইড

ঈদের আমিষভোজের পর হোক নিরামিষ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 10/06/2019


Thumbnail

মহাসমারোহে ঈদ উদযাপন করলেন, কবজি ডুবিয়ে বিশাল খাওয়াদাওয়া, দাওয়াত পার্টি কোনোটাই মিস করেননি নিশ্চয়ই। খেয়েদেয়ে উদরপূর্তি তো হয়েছেই, সঙ্গে মনে হচ্ছে শুয়ে বসে গুরুপাক খাবার খেয়ে খেয়ে মোটা হয়ে গেছেন আপনি। আর এই মশলাদার পোলাও, বিরিয়ানি, মাংসের বিভিন্ন পদ খেতে মুখেও অরূচি চলে আসবে স্বাভাবিক। তখন মন চাইবে ইস, একটু অন্যরকম কিছু খেতে পারতাম!

এটা-ওটা খেতে পারতাম মনে হলেই বাঙালির মনে ভাসে এই যেমন গরম ভাতে পাতলা ডাল, একটু ঝাল কোনো ভর্তা, শাকভাজি বা দেশি কোনো মাছ। খেতে তো বারণ নেই। আমিষ টানা খেতে খেতে অরূচি, একেঘেয়েমি ভাব চলে আসলে একটু নিরামিষের দিকে ঝুকুন। আপনার রূচিও ঠিক হয়ে যাবে, মোটা হয়ে গেছেন বলে আশঙ্কাও চলে যাবে।

নিরামিষের কথা শুনলে অনেকেই নাক সিটকে ফেলে। কিন্তু এই ঈদের ভুরিভোজের পরে আপনার নিরামিষের বিষয়ে ধারণা পাল্টেও যেতে পারে যদি আপনি চেষ্টা করেন। এই ধরুন একটু কীভাবে আলাদা পদের রান্না করা যায় তাহলে তো কথাই নেই। এই যেমন একটু ডাল আর পুইশাক, ডাটাশাক বা পালংশাক একসঙ্গে রান্না করে শুকনো মরিচ, পেয়াজ-রসুন দিয়ে তেলে দিয়ে দেখুন। দারুণ স্বাদ পাবেন। সবজি বা ডালের বড়া, কাটলেট, সবজির কোপ্তা আপনার রূচিকে বাড়িয়ে দিতে পারে।

এই সময়ে টুকটাক বেশকিছু সবজি পাওয়া যায়। তার মধ্যে ৪-৫টি সবজি মিলিয়ে রান্না করে নিন মজার কোনো সবজির পদ। চাইলে পাঁচফোড়ন দিতে পারেন। আবার যদি কাঁচা আম বা টমেটো পাওয়া যায় তো ডালে দিয়ে রান্না করে নিতে পারেন। টক ডাল খেতে একেবারেই খারাপ লাগবে না। এক বা দুই ধরনের শাক একসঙ্গে মিলিয়ে কড়কড়ে ভাজি করে নিতে পারেন। টক মিশিয়ে পছন্দের কোনো সবজি চচ্চড়ি করে নিতে পারেন। আর ভর্তা পছন্দ করলে তো মনমতো কতো ভর্তাই করে নিতে পারবেন আপনি। আর দুপুরে বা রাতে খেতে পারেন সালাদ। ডিম খেতে পারেন, তবে দিনে একটির বেশি কখনোই নয়। আর শরীরে শক্তি পেতে চাইলে একগ্লাস দুধ আপনি খেতেই পারেন।

কেন নিরামিষ

ঈদে ভারি খাবার খেয়ে ফেলেছেন বেশি। নিশ্চয়ই অস্বস্তি, অ্যাসিডিটি, ফুড পয়জনিং পার করে এসেছেন। এই অবস্থায় পেটটাকে তো একটু রেহাই দিতেই হবে। টাটকা শাকসবজি আপনার পেটকে সুস্থ রাখবে, ক্ষুধা, রূচি আর হজমক্ষমতাকে বাড়িয়ে দেবে আর অসুখবিসুখকে বিদায় করে দেবে।

তেল চর্বিমিশ্রিত খাবার খেয়ে পেট খারাপ হতে পারে, মনে হতে পারে আপনি মুটিয়ে গেছেন। তাই এখনই আপনাকে তেলচর্বিসমৃদ্ধ খাবার ছাড়তে হবে। সম্ভব হলে তিনবেলাই পাতে কোনো না কোনো সবজি বা শাক রাখবেন। এতে খাবার ঠিকমতো হজম হবে। কারণ শাকসবজিতে থাকা আঁশ আপনার হজম তো বাড়াবেই, কোষ্ঠকাঠিন্যও কমিয়ে দেবে।

তেলচর্বি জাতীয় মাংস, মিষ্টিজাতীয় খাবার বেশি খেয়ে ফেলা হয়েছে। এখন স্বাভাবিক খাদ্যাভাসে আপনাকে ফিরতেই হবে। এসময় মনোযোগ দিন নিরামিষ খাবারে। কারণ আপনার হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ বা ডায়াবেটিস রোগ থাকলে তেলচর্বি আর মিষ্টিজাতীয় খাবার যত সম্ভব এড়িয়ে চলতে হয়। এখন শরীর ভালো রাখতে বিশুদ্ধ খাবার আপনাকে খেতেই হবে। এজন্য নিরামিষই হতে পারে বড় ভরসা।

 

বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭