লিভিং ইনসাইড

বসের সামনে যেগুলো একেবারেই নয়

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 17/06/2019


Thumbnail

আপনি খুব দুঃখ নিয়ে সহকর্মীকে বললেন, বস আর আগের মতো আপনাকে পছন্দ করছে না। ছুটি চাইলেও সেটা গ্রান্টেড হচ্ছে না, কোনো কাজ সামান্য এদিক থেকে ওদিকে হলে খুব বকা দিচ্ছে। অথচ শুরুতো তো স্যার এমন ছিলেন না। কাজ না পারলেও বুঝিয়ে দিতেন। সহকর্মীটি শুনে বললেন, বসেরা এমনিতে রাগে না। তাকে মাঝেমধ্যে আমরাই খেপিয়ে দেই।

এটা সত্যি। কিছু অফিসিয়াল নিয়মই আছে। আপনি চাইলেই বসকে সবকিছু বলতে পারেন না, অনেক ব্যবহারও আপনাকে এড়িয়ে চলতে হবে। আপনার জন্য থাকছে বসের সঙ্গে সাবধানে থাকার কিছু টিপস-

কোনো ব্যস্ততা নয়

আপনার বস বা স্যার আপনাকে কিছু করতে বললে সেটাকে সরাসরি না বলাটা বুদ্ধিমানের কাজ নয়। আপনি চরম ব্যস্ত থাকলে সেটা অন্য বিষয়। সেটা তাকে বুঝিয়ে বলতে পারেন। কিন্তু তিনি যে কাজ দিলেন তা যদি আপনি না পারেন সেটাও বুঝিয়ে বলবেন। কিন্তু কাজে গড়িমসি করলে বা অনিচ্ছা প্রকাশ করলে বস অখুশি হবে। না পারলে বরং পরামর্শ চান।

নিজের গা বাঁচাতে অন্যের দোষ নয়

অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে দেওয়া খুবই বাজে অভ্যাস, এটা অবুঝের মতো আচরণ। আপনি যদি নির্দোষ হন তাহলে সেটা আপনার বসকে বুঝিয়ে বলুন। তার মানে এই নয় যে, আপনি অন্যকে দোষের ভাগীদার করবেন। আপনার বস যদি দেখেন যে আপনি প্রায়ই দোষ ঘাড়ে না নিয়ে অন্যদের ক্রমাগত দায়ী করতে থাকেন তবে বস আপনার দিকেই উল্টো আঙুল তুলবেন।

তার সামনে অন্য চাকরির কথা নয়

আপনি নিশ্চয়ই অন্য চাকরির চেষ্টা করতেই পারেন। সেটা হয়ত জোরেসোরেই একটা সময় শুরু হবে। আপনার সহকর্মীরা সেটা কমবেশি জেনে যাবেই। কিন্তু বিষয়টি আপনার বসের কান পর্যন্ত না গেলেই ভালো। আপনার বস যদি জানতে পারেন যে আপনি নতুন চাকরিতে যোগ দেওয়ার চেষ্টা করছেন তাহলে সেটা তার রাগের কারণ হতে পারে। চাকরি পেয়ে গেলে অফিসিয়ালি তাকে জানানোই ভালো।

কাজ না পারলেও অপারগতা নয়

ধরুন আপনাকে এমনকিছু নিয়ে কাজ দিলো যার কিছুই আপনি পারেন না। না পারলে কীভাবে করতে সেটা সরাসরি জিজ্ঞেস করবেন না। আপনি আপনার বসকে শুরুটা কিভাবে করবেন সেটা জিজ্ঞেস করতে পারেন, অথবা কোনো সহকর্মী বা ইন্টারনেট থেকে শিখে নিয়ে কাজ করতে পারেন। তা না হলে আপনার মধ্যে শেখার আগ্রহ কম বলেই বুঝে নেবে।

বেতন বাড়ানোর কথা সরাসরি বসকে নয়

বসের সঙ্গে টাকাপয়সা নিয়ে সরাসরি কথা না বলাই ভালো। বেতন নিয়ে দরাদরি এবং ব্যক্তিগত সমস্যা দেখিয়ে বেতন বাড়ানোর কথা কখনও বলবেন না। এতে আপনার বস কোনোরকম প্রভাবিত হবেন না। আপনি বেতন বাড়ানোর কথা বসকে বলতে গেলে অফিসে আপনার কাজ, আপনার অর্জনগুলো, আপনার কর্মদক্ষতা নিয়ে কথা বলুন। ব্যক্তিগত সমস্যা টেনে আনবেন না।

পুরনো বসের সঙ্গে নতুন বসের তুলনা নয়

পুরনো কিছুর সঙ্গে নতুনের তুলনা কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়। কর্মক্ষেত্রে বসের সঙ্গে তো নয়ই। আপনাকে কারো সঙ্গে তুলনা করলেও ভালো লাগবে না আপনার। আপনার বসের ব্যাপারটাও ঠিক তেমনই। উল্টো বস ভেবে নেবে আপনি উপযোগী নন, পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে পারেন না এবং পরিবর্তন পছন্দ করেন না। আপনি বসকে পছন্দ করেন না, সেটা সে ধরে নেবে। আপনাকেও সে পছন্দের তালিকা থেকে বাদ দিয়ে দেবে।

আগে বেরিয়ে যাওয়ার কথা বসকে না বলাই ভালো

আপনার সিরিয়াস কোনো সমস্যা থাকলে অবশ্যই দ্রুত বেরিয়ে যেতে পারেন। কিন্তু অফিসে কোনো কাজ নেই বলে বসকে কখনও চলে যাওয়ার কথা বলতে যাবেন না। তাহলে বস ভাববে কোনো নতুন কাজে আপনার কোনো উৎসাহ নেই। আপনি ফাঁকি দিচ্ছেন বা গণ্ডির বাইরে আপনি আর কোনো কাজ পারেন না। তাই অফিসে কোনো কাজ না থাকলেও নতুন কোনো আইডিয়া বের করুন, কাজে মন দিন।

আপনি যে বিষন্ন সেটা বোঝাবেন না

আপনার কাজের মাপকাঠিতেই আপনাকে বেতন দেওয়া হয়। কিন্তু ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে যদি অফিসে কাজ খারাপ হয় বা কিছু- সেটা বসকে বলতে যাবেন না। কারণ আপনার বিষন্নতা দূর করার দায়িত্ব আপনার বসের নয়। নিজের বিষণ্ণতা প্রকাশ না করে নিত্য নতুন কাজে সহযোগিতা করুন এবং আপনার বসকে অন্য কাজ দেওয়ার কথা বলুন।

ঠিক একই ভাবে আপনার ক্লান্তি নিয়ে কোনো কথা বলবেন না। কাজ করতে করতে আপনি ক্লান্ত, সেটা বোঝাবেন না। হয়ত হাতে এখন অনেক কাজ, পরে সেটা নাও থাকতে পারে। তাই কষ্ট করে কাজগুলো শেষ করুন। তারপর খুব ক্লান্ত লাগলে বসের সঙ্গে সরাসরি বলুন যে আপনার কিছুটা ব্রেক প্রয়োজন। ব্রেক না পেলে পরবর্তী কাজগুলোতে আপনি ভালো মনোনিবেশ করতে পারবেন না। তাকে বুঝিয়ে বললে সে অবশ্যই বুঝবে।

 

বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ

 

 



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭