নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: 18/05/2017
একজন নারী কখন সন্তান নিবেন তা নিয়ে আমাদের আছে অনেক প্রশ্ন। কেউ বলছে যত দ্রুত সম্ভব, কেউবা আবার ভাবছে দেরি যত তত ভাল। আসলে সন্তান নেওয়ার ক্ষেত্রে বয়স কতটা গুরুত্বপুর্ণ?
মেয়েদের বয়স ও সন্তান বয়স নিয়ে আলোচনা হবে `ঘরোয়া চেম্বার` এই পর্বে। পরামর্শ দিচ্ছেন গাইনি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক কোহিনুর বেগম।
সন্তান নেওয়ার উপযুক্ত বয়স কখন?
সন্তান নেওয়ার ক্ষেত্রে মেয়েদের বয়স খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। পিরিয়ড হওয়ার পর যে কোনো সময় সন্তান নেওয়া গেলেও একটা নির্দিষ্ট বয়স পর্যন্ত সন্তান না নেওয়াই ভালো। এই নির্দিষ্ট বয়স বলতে ২০ বছরের আগের বয়স বোঝানো হচ্ছে। তবে ২১ থেকে ৩০ বছর সন্তান নেওয়ার জন্য নিরাপদ সময়।
একজন মেয়ে যখন গর্ভবতী হন তখন তাঁকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নানা পরিবর্তন ও চাপের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। এই পরিবর্তন বা চাপ নেওয়ার জন্য যতটা শারীরিক প্রস্তুতি দরকার তার চেয়েও বেশি প্রয়োজন মানসিক প্রস্তুতি। যেহেতু বয়সের সঙ্গে এই প্রস্তুতিগুলো আসে তাই সন্তান নেওয়ার ক্ষেত্রে বয়সকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
২১ থেকে ৩০ বছরকে সন্তান নেওয়ার জন্য নিরাপদ বলা হলেও ২৩ থেকে ২৭ এর মধ্যে প্রথম সন্তান নেওয়া খুবই ভালো। এই সময় মেয়েরা শারীরিক ও মানসিক উভয়ভাবেই অ্যাকটিভ থাকে যা সন্তান জন্মদান ও লালন পালনে সহায়ক। তবে ৩০ বছর পর্যন্ত সন্তান নেয়াটাও খুবই স্বাভাবিক।
৩০ এর পর সন্তান নিলে কী কী সমস্যা হতে পারে?
৩০ এর পর সন্তান হবে না, কথাটি আসলে ঠিক নয়। একজন মেয়ে ৩০ এর পরও সুস্থভাবে সনান জন্ম দিতে পারে। এমনকি ৩৫ বছর পর্যন্ত সন্তান নেয়ার জন্য মোটামুটি নিরাপদ সময় ধরা যেতে পারে। তবে ৩৫ এর পর ঝুঁকি অনেকটা রয়ে যায়।
বয়স যত বাড়তে থাতে ডিম্বাণুর সংখ্যা তত কমতে থাকে। ডিম্বাণু হ্রাসের প্রক্রিয়া শুরু হয় ৩০ বছর বয়স থেকে যার হার ৩৫ এর পর দ্রুত হয়ে যায়। তাই তখন গর্ভধারণে নানা জটিলতা দেখা দেয়।
৩০ এর পর হতে চাইলে কী প্রস্তুতি নেয়া দরকার?
যারা ২৫/ ২৬ এর মধ্যে বিয়ে করে তারা সাধারণত ৩০ এর মধ্য প্রথম সন্তান নিয়ে নেয়। তবে যারা ৩০ বিয়ে করছে তাদের ক্ষেত্রে সন্তান নেয়ার সময় স্বাভাবিকভাবেই ৩০ এর পর। সেই সময় বেশি দেরি না করাটাই ভালো। বর্তমানের জীবনের ধরণ, দূষিত পরিবেশ ইনফার্টিলিটির প্রবণতা বাড়িয়ে দিয়েছে তাই যত দ্রূত সম্ভব সন্তান নিয়ে ফেলাই ভাল।
৩০ এর পর মা হতে চাইলে প্রস্তুতি হিসেবে কোনো প্রসূতিবিদ্যা বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ নেয়া উচিত। এ বয়সে কিছু সমস্যা যেমন গর্ভকালীন ডায়াবেটিস, গর্ভকালীন উচ্চ রক্তচাপ, প্রসব-পূর্ব রক্তক্ষরণ, বাচ্চা নষ্ট হওয়ার অধিকতর ঝুঁকি ও প্রসবকালীন জটিলতা বেড়ে যায়।সন্তানের জন্মগতত্রুটির আশঙ্খা থাকে। তাই এই এই সব ঝুঁকি এড়াতে আগে থেকেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
একজন মেয়ে ঠিক কখন সন্তান নিলে সে পুরোপুরি ঝুকিমুক্ত থাকবে তা বলাটা মুশকিল। তবে সন্তান ধারণের ক্ষেত্রে অবশ্যই তাকে শারীরিক ও মানসিক ভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে। সে যেন স্বাচ্ছন্দ্যে সন্তান লালন করতে পারে সে বিষয়টি ভাবতে হবে।
গাইনি যেকোনো সমস্যায় আপনার কোনো প্রশ্ন থাকলে এখানে ক্লিক করুন
বাংলা ইনসাইডার/এমএ
প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান
বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭