ইনসাইড বাংলাদেশ

স্বর্ণ আমদানির আইনই নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 20/05/2017


Thumbnail

শুল্ক পরিশোধ করে ব্যাগ রুলের আওতায় বিদেশ থেকে ২০ ভরির মতো (২৩৪ গ্রাম) স্বর্ণ আনার সুযোগ রয়েছে। দেশের বিমানবন্দর হয়ে যাত্রীরা প্রতি ভরিতে তিন হাজার টাকা করে শুল্ক কর দিয়ে এই স্বর্ণ আনতে পারেন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই ব্যবস্থায় মানুষ সাধারণত ব্যাক্তি বা পারিবারিক প্রয়োজন মেটাতে স্বর্ণ আনেন। 

আবার, বিদেশ থেকে আসার সময় গায়ে থাকা কোনো স্বর্ণালংকার খুলে নিতে পারে না শুল্ক কর্মকর্তারা। অনেকে এই সুযোগ ব্যবহার করে অলংকার গায়ে জরিয়ে বিমানবন্দরের শুল্ক বিভাগকে ফাঁকি দেন। অলংকার গায়ে জরিয়ে দেশে আসা এক নারীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অনেক সময়ই অলংকার নিজেদের জন্য আনা হয় না, বরং স্বর্ণালংকারের দোকানে এগুলো বিক্রি করা হয়।

অথচ, দেশের স্বর্ণের বাজারের চাহিদা মেটাতে স্বর্ণ আমদানির কোনো আইন নেই। আবার এটি কোনো নিষিদ্ধ পণ্যও নয়। আইনি একমাত্র ভরসা আমদানি নীতি আদেশ ২০১৫-১৮ এর অনুচ্ছেদ ২৬ (২২)। এই অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বাণিজ্যিকভাবে স্বর্ণ আমদানি করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্ব অনুমতি নিতে হয়।

ব্যবসায়ীরা বলছেন এই অনুমতি পাওয়া একপ্রকার অসম্ভব ব্যাপার। অনুমতি চাইতে গেলে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয় তাঁদের।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃপক্ষের মতে, আইনের মধ্যে থেকেই তারা এসব প্রশ্ন করে থাকেন। আর ব্যবসায়ীদের মতে, এটি এক কথায় আইনী বেড়াজাল।

এদিকে, শুল্ক গোয়েন্দাসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেসব স্বর্ণ আটক করে তাও নিয়মিত নিলাম করা হয় না। জব্দ করা এসব স্বর্ণের নিয়মিত নিলাম এবং বাণিজ্যিকভাবে স্বর্ণ আমদানি সহজ করতে গত বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংককে একটি চিঠিও দিয়েছে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ। চিঠিতে জব্দ করা স্বর্ণের নিয়মিত নিলাম না হওয়া এবং আমদানির অনুমতি চাইতে গেলে ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন প্রশ্নের মুখোমুখি হওয়ার কথা তুলে ধরে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ।

কেন্দ্রীয় ব্যাংককে চিঠিতে বলা হয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে বৈধভাবে স্বর্ণ সরবরাহের জন্য বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) দাবি জানিয়ে আসছিল। এজন্য বিভিন্ন সময় শুল্ক গোয়েন্দা ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সঙ্গে বৈঠকও করেছে তারা।

চিঠিতে বলা হয়, বিভিন্ন সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী চোরাকারবারীদের কাছ থেকে যে স্বর্ণ আটক করে, তা নিলামে বিক্রির একটি বৈধ প্রক্রিয়া রয়েছে। যদিও ২০০৮ সালের পর বাংলাদেশ ব্যাংকে এ ধরনের কোনো নিলাম হয়নি বলে দাবি করা হয়। ফলে এসব স্বর্ণ কেন্দ্রীয় ব্যাংকে পড়ে আছে।

বাংলা ইনসাইডার / এমএএম




প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭