ইনসাইড বাংলাদেশ

স্বর্ণবাজারে কালোটাকার দাপট

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 20/05/2017


Thumbnail

বিশ্ব বাজারে স্বর্ণের দামে চলছে অস্থিরতা। দাম এই বাড়ছে, তো এই কমছে। এমন অস্থিরতা বাংলাদেশে স্বর্ণের দামেও প্রভাব ফেলছে। কোনো পণ্যের দাম নিয়ে এতোটা অস্থিরতা থাকলে তা বিক্রি বেশি হওয়ার কথা নয়। তবে দেশে ঘটছে ঠিক তার উল্টো।

বাংলাদেশে বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালংকার বিক্রি হচ্ছে। অনেকের মতে বাংলদেশে স্বর্ণালংকারের বাজার হাজার কোটি টাকার ওপরে। এত বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালংকার বিক্রির পেছনে কালোটাকার হাত আছে বলে মনে করেন অনেকে। তাদের মতে, কালোটাকা সাদা করার সুযোগ না থাকায় অনেকেই লাভ না হওয়া সত্ত্বেও স্বর্ণালংকার কিনছেন।

কালোটাকার বড় অংকের মালিকেরা বিদেশে অর্থ বিনিয়োগেই বেশি আগ্রহী। এর মধ্যে একটি হচ্ছে সেখানে থাকা ও ব্যবসার ব্যবস্থা করা। ২০০৩ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোম গড়েছেন তিন হাজারের বাংলাদেশি। এতে পাচার হয়েছে প্রায় পৌনে দুই লাখ কোটি টাকা। মালয়েশিয়া বাইরে অন্যান্য কালোটাকার দ্বিতীয় সারির মালিকেরা তাদের কালোটাকার বড় একটা অংশ আগে খরচ করতেন ফ্ল্যাট কেনায়। তবে আপাতত অনেকেই স্বর্ণালংকার কেনায় ঝুকেছেন।

অনেকে মতে, বর্তমানে স্বর্ণালংকারের বাজারে কালোটাকা ঢুকছে আগের চেয়ে বহুগুণে। কারণ ফ্ল্যাট কিনতে এখন আর বিনাপ্রশ্নে কালোটাকা খরচ করা যায় না। আবার ব্যাংকিং ব্যবস্থাও এখন অনেক ডিজিটাল হওয়ায় আর্থিক লেনদেন বেশ স্বচ্ছ। তাই আগের স্বর্ণবাজারে যে পরিমাণ কালোটাকা ঢুকতো, এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আবাসনসহ কালোটাকা খরচের অন্যান্য খাতের অর্থও।

সবমিলে কালোটাকার নিরাপদ আশ্রয় এখন স্বর্ণালংকার। তাই কালোটাকায় বেশ হৃষ্টপুষ্ট স্বর্ণবাজার।

বাংলাদেশে কোনো পরিবার বা কোনো ব্যক্তি কী পরিমাণ স্বর্ণ রাখতে পারবে এর কোনো আইনি বিধিনিষেধ নেই। অনেকের মতে, এই সুযোগই নিচ্ছে কালোটাকার মালিকরা।

সরকার থেকে স্বর্ণালংকার রাখার বিষয়ে সর্বোচ্চ সীমা ঠিক করে দেওয়া হলে এখানে কালোটাকার ব্যবহার কমবে বলে মনে করেন অনেকেই। এখন প্রশ্ন হলো কালোটাকার এই ব্যবহার বন্ধ করতে আসন্ন বাজেটে কোনো প্রস্তাব রাখা হবে কী না বা অন্য কোনো পথে সরকার উদ্যোগ নেবে কি না?


বাংলা ইনসাইডার / এমএএম/ জেডএ



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭