কালার ইনসাইড

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার: বঞ্চিত বাণিজ্যিক ধারা!

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 20/05/2017


Thumbnail

বিগত কয়েক বছরে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের দিকে তাকালে একটি চিত্র স্পষ্ট। সেরা ছবি সহ পুরস্কারের তালিকায় ভিন্ন ধারার চলচ্চিত্রগুলোই প্রাধান্য পায়। সাধারণ দর্শক এই সিনেমাগুলো সম্পর্কে কতটা জানে তাও প্রশ্নবিদ্ধ। এমনকি অনেকেই জানেন না এই ছবি কবে মুক্তি পেয়েছিলো।

এমনটা হবে কেন? বানিজ্যিক ছবি কেন পুরস্কারবঞ্চিত হবে? অনেকে বলেন ‘প্রতি বছর জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের মাধ্যমে কিছু ছবিকে সাধারণের কাছে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়।’

পত্র- পত্রিকাতেই সীমাবদ্ধ থাকে এইসব সিনেমার আলোচনা কিংবা সমলোচনা। যদি এমনটাই রেওয়াজ হয়ে থাকে। শিল্পগুনে কিংবা মননশীল হিসেবে বিশেষ কিছু ধারাকেই যদি প্রাধাণ্য দেওয়া হয়। তাহলে বাণিজ্যিক সিনেমাগুলোর পৃষ্ঠপোষকতা কীভাবে হবে? তাহলে কি মূলধারার চলচ্চিত্রগুলো থেকে বের হয়ে এসব সিনেমার দিকেই ঝুঁকতে হবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাপ্তির তকমা গায়ে লাগাতে?

সম্প্রতি ২০১৫ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। যার পুরস্কার তালিকায় হাতে গোনা দু –একটা পুরস্কার ছাড়া বাকি সব সেই চিরাচরিত নিয়মে। ছবিগুলোকে আয়নার সামনে দাঁড় করালে তার প্রতিবিম্ব কী? একটা ছবি নির্মাণ কী শুধুই পুরস্কারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে?

এ বছরের সেরা দুই চলচ্চিত্রের তালিকায় রয়েছে যৌথভাবে ‘বাপজানের বায়োস্কোপ’ ও ‘অনিল বাগচীর একদিন’। দুটি ছবিই সিনেমা হলে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। তবে দর্শক হয়নি তেমন। এমনকি একটা সিনেমা মুক্তি দেওয়ার দুদিন পর বাধ্য হয়ে হল থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কারণ দর্শক ছিল শুণ্যের কোঠায়।

উল্লিখিত ছবিগুলো নাম মাত্র হলে মুক্তি দেওয়া হয়। আর তার দমও এতটাই ক্ষীন থাকে যে সপ্তাহ পেরুতে না পেরুতেই হল থেকে নেমে পড়ে। ছবিগুলোর ঠাই হয় টেলিভিশনে। কিংবা বিকল্পভাবে বিনামূল্যে প্রদর্শনের মাধ্যমে। চলচ্চিত্র প্রদর্শনের এটা তো মূল স্তম্ব হতে পারে না। এমনটা কখনোই একটা দেশের চলচ্চিত্র শিল্পর জন্য আশির্বাদ হতে পারে না।

এটা বাংলাদেশের  জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের ক্ষেত্রে নিয়ম হয়ে গেছে। পারিবারিক কাহিনী, কিংবা মূল ধারার চলচ্চিত্রের কাহিনীর বাইরে নির্মিত চলচ্চিত্রগুলোই বেশি জাতীয় পুরষ্কার দিতে হবে।

আমরা পাশের দেশ ভারতের দিকে তাকাতে পারি। জরুরি না হলেও শিক্ষনীয় হতে পারে। তাঁরা প্রতিযোগীতায় বিচারের ক্ষেত্রে শুধু একচোখে বিচার করেন না। তাদের তালিকায় থাকে বাহুবলি কিংবা বজরঙ্গি ভাইজান এর মত সিনেমা। রুস্তম  এর মতো ব্যাবসা সফল সিনেমার নায়ক অক্ষয় কুমার পেয়ে যায় জাতীয় পুরস্কার।

এমনকি বাংলাদেশের অনুদানের চলচ্চিত্রে প্রাধান্য দেওয়া হয় ভিন্ন ধারার সেসব চলচ্চিত্রকে। যাদের বাণিজ্যিক কোন সফলতা নেই। ১৯৭৬-৭৭ অর্থবছর থেকে শুরু হওয়া অনুদানের চলচ্চিত্রের দিকে তাকালে আজ অবধি একই ধারার চলচ্চিত্রকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। এমনটা চললে বাণিজ্যিক ঘরানার সিনেমার পৃষ্ঠপোষকতা কীভাবে হবে?


বাংলা ইনসাইডার/ এমআরএইচ



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭