লিভিং ইনসাইড

ব্যায়াম করুন ঘরে বসেই

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 24/06/2019


Thumbnail

ব্যস্ত জীবন, কাজ শেষে দম ফেলার সময়টাও আমাদের নেই। আমরা চাইলেও বাইরে গিয়ে বা জিমে ব্যায়াম করা বা নিয়মিত অনুশীলন করতে পারি না সময়ের অভাবে। এদিকে আবার নিয়ম করে না চললে দেখা দেয় বাড়তি মেদ আর অস্বাভাবিক স্বাস্থ্য। বর্তমানে ফিট থাকাটা জরুরি। আর তাই আপনাদের জন্য থাকছে বাড়িতে বসে ব্যায়ামের জন্য কিছু টিপস- 

বাড়িতে কিছু ফ্রি হ্যান্ড ব্যায়াম করুন। এতে সময় একেবারেই কম লাগে। অথচ আপনি ফিট থাকতে পারবেন এবং অতিরিক্ত মেদ শরীরে জমা হবে না। ফ্রি হ্যান্ড ব্যায়ামের বই কিনতে পাওয়া যায়, সিডিও কিনতে পাবেন। সকালে দেখবেন অনেক চ্যানেলেই এই সংক্রান্ত অনুষ্ঠান হয়। অনুসরণ করতে পারেন সেগুলো।

বিভিন্ন ধরনের স্ট্রেচিং ব্যায়াম রয়েছে যেমন আর্ম স্ট্রেচিং বা লেগ লিফটিং। এতে রক্ত সঞ্চালন ভালো হয় এবং বিভিন্ন অংশের মেদ ঝরে যায়।

পুশ-আপ করতে পারেন। এই ব্যায়াম আবার বুক ও হাতের মাসলের শক্তি বাড়ায়। মাটির ওপর উল্টো হয়ে শুয়ে পড়ুন। তারপর দুই হাতের সাহায্যে মাটি থেকে ওঠার চেষ্টা করুন। লক্ষ্য রাখবেন যেন আপনার হাটুতে ভাজ না পড়ে। শুরুতে ৫ থেকে ১০ টা পুশআপ দেওয়ার চেষ্টা করুন। সকালে একবার, বিকেলে একবার পুশআপ করে দেখুন।  

পেটের মাসলের শক্তি বাড়ানোর জন্য সিট-আপস জাতীয় ব্যায়াম করতে পারেন। মাটিতে সোজা হয়ে শুয়ে পড়ুন। দুই হাটু ভাজ করুন। ডান হাত বা কাঁধের ওপর এবং বা হাত ডান কাঁধের ওপর রাখুন। এরপর আস্তে আস্তে শরীরের ওপরের অংশ মাটি থেকে তোলার চেষ্টা করুন। মাঝামাঝি অবস্থানে যেতে কয়েক সেকেন্ড থাকুন। পরে ক্রমশ শোয়া অবস্থায় ফিরে যান। শুরুতে ৩ থেকে ৫টা সিট আপ যথেষ্ট হবে, আস্তে আস্তে বাড়ান। এতে পেটের বাড়তি চর্বি কমে যাবে।

বাড়িতে যতক্ষণ থাকবেন, শুয়ে বা বসে না থেকে হাঁটাচলা করাও যে একপ্রকার ব্যায়াম। আপনার বাড়িতে যদি সিড়ি থাকে তাহলে দৈনিক কয়েকবার ওঠানামা করতে পারেন। ভালো হয় যদি হালকা জিনিসপত্র বহন করা যায়। এতে মাংসপেশির ব্যায়াম হবে।

এছাড়াও হার্ট সুস্থ রাখার জন্য জগিং খুব ভালো ব্যায়াম। বাড়ির যেকোনো জায়গায় আপনি স্পট জগিং করতে পারেন। তবে এসময় উপযুক্ত জুতো পরবেন, যাতে পায়ের ওপর চাপ না পড়ে।

কখন ব্যায়াম করবেন, কখন করবেন না

সকালে ঘুম থেকে উঠেই মূলত ব্যায়ামের সঠিক সময়। দীর্ঘসময় ঘুমের পর সকালে ব্যায়াম সারাদিন ফুরফুরে রাখতে পারে। এছাড়া সন্ধ্যার আগে বিকেলটাও ব্যায়াম করার জন্য উপযুক্ত সময়। বিশেষ করে যারা ব্যস্ত থাকেন তাদের জন্য ব্যায়ামের এই সময়ঢটা ভালো। 

যেহেতু ব্যায়াম করলে শরীরের ঘাম ঝরে, তাই নরম আবহাওয়াতেই ব্যায়াম করা ভালো। দুপুরে বেশি গরমে ব্যায়াম করলে ক্লান্ত লাগে। তাই এসময় ব্যায়াম না করাই ভালো। অনেকে ব্যস্ততার জন্য সারাদিন সময় করে উঠতে পারেন না, তাঁরা রাতে ব্যায়াম করেন। যারা সারাদিন বাসায় থাকেন, তাঁরা চাইলে যেকোনো সময় ব্যায়াম করতে পারেন।

ব্যায়ামের সময় বেশি খাবার খাওয়া ঠিক নয়। হালকা খাবার যেমন, একটা কলা বা বিস্কুট খেয়ে ব্যায়াম করলে উপকার পাবেন। সকালে ব্যায়াম করতে গিয়ে অনেকে ব্যায়াম শেষে ভরপেট খেয়ে বাসায় ফেরেন। এতে ব্যায়ামের উপকার হয় না।

ব্যায়াম করার আগে বা পরপরই বেশি পরিমাণে পানি খাওয়া ঠিক নয়। ব্যায়ামের পর একটু বিশ্রাম নিয়ে তারপর পানি খেতে পারেন। খাবারের মেন্যু থেকে যতটা সম্ভব মিষ্টি, কোমলপানীয়, ফাস্টফুড ইত্যাদি খাবার বাদ রাখাই ভালো। কারণ, এসব খাবার খেলে আপনার ব্যায়াম করা বৃথা হয়ে পড়বে।

অসুস্থ থাকলে ব্যায়াম করার দরকার নেই। বিশেষ করে গর্ভকালীন চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো ব্যায়াম করা উচিত নয়। যেকোনো ধরনের ব্যায়াম বা ডায়েট পরিকল্পনার জন্য চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে নেবেন।

বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭