নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: 24/06/2019
মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি নেতা ওসামা বিন লাদেন পাকিস্তানের সামরিক আবাসনের খুব কাছেই সুরক্ষিত একটি বাড়িতে লুকিয়ে ছিলেন। পাক সেনা বাহিনীই তাকে আশ্রয় দিয়েছিল বলে ধারণা করা হয়। মার্কিন বাহিনীর অভিযানে সুরক্ষিত সেই বাড়িতেই লাদেনের মৃত্যু হয়েছিল। বর্তমান সময়ের আরেক মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গিনেতা জইশ-ই-মুহাম্মদ প্রধান মাসুদ আজহারের পরিণতিটাও কি লাদেনের মতোই হচ্ছে? লাদেন নিহত হয়েছিল মার্কিন বাহিনীর অভিযানে। আর মাসুদ আজহারের ক্ষেত্রে কি সেই ভূমিকায় আবির্ভূত হয়েছে ভারত? পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে একটি সামরিক হাসপাতালে ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর এই প্রশ্নটাই জোরালো হয়ে উঠেছে।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো বলছে, রাওয়ালপিন্ডির ওই হাসপাতালে মাসুদ আজহার ছিলেন। বিস্ফোরণে মোট ১০ জন গুরুতর আহত হয়েছে। এদের মধ্যে মাসুদ আজহারও রয়েছেন বলে জানা গেছে। আহতদের সবাইকে অন্য একটি হাসয়অপাতালে সরিয়ে নেওইয়া হয়েছে। তবে পাকিস্তানি সেনা বাহিনী এ বিষয়ে কঠোর গোপনীয়তা অবলম্বন করছে। তারা দেশের গণমাধ্যমগুলোকে এই সংবাদ পরিবেশনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মাধ্যমগুলো। ওই হাসপাতাল এলাকায় সাধারণ মানুষের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
কয়েকটি সূত্র বলছে, বিস্ফোরণে মাসুদ আজহার শুধু আহতই হয়নি, বরং তার মৃত্যু ঘটেছে। পাক সেনাবাহিনী বা গণমাধ্যম কেউই বিস্ফোরণের কারণ জানায় নি। তবে বিভিন্ন সূত্র দাবি করছে, হাসপাতালে মাসুদ আজহারকে টার্গেট করেই হামলা চালানো হয়েছে। আর এই হামলাটি চালিয়েছে ভারত।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ভারতের পুলওয়ামায় হামলার ঘটনায় শুরু থেকেই মাসুদ আজহারকে দায়ী করে আসছিল দিল্লি। সম্প্রতি তারা কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে মাসুদকে জাতিসঙ্ঘে ব্ল্যাক লিস্টেড করাতেও সক্ষম হয়। এই জঙ্গি নেতার বিচার বা প্রত্যার্পনের জন্য ইসলামাবাদকে চাপ দিয়ে আসছিল দিল্লি। কিন্তু ইসলামাবাদ তা না করায় ভারত নিজেরাই হামলা চালিয়ে মাসুদ আজহারকে হত্যা করলো কিনা সে প্রশ্ন উঠছেই।
বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি
প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান
বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭