কালার ইনসাইড

ফারুক জানালেন, কিভাবে ৫হাজার ৫০০কোটি টাকার ঋণের ফাঁদে পড়েছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 25/06/2019


Thumbnail

নায়ক ফারুকের কাছে ব্যাংক ঋণ রয়েছে পাঁচ হাজার পাঁচশ ৩৩ কোটি টাকা। এই ঋণের বোঝা বহণ করেই তিনি সংসদ সদস্য হয়েছেন। এনিয়ে সমালোচনাও কম হয়নি। তা নিয়েই তিনি মুখ খুললেন।

তিনি বলেন,‘আমার একটা টেক্সটাইল মিল আছে। আমার সারাজীবনের টাকা, যেটা আমি অর্জন করেছি রক্ত দিয়ে। সেটা আমার আমি মিল তৈরীর পেছনে ব্যায় করেছিলাম। কিন্তু যারা বসেছিলেন ব্যাংকে, তারা ছিল সবাই চার দলীয় জোট ও জামাতের লোক। তারা আমাকে দেখে হাসতো আর বলতেন, এই যে আমাদের মহান মুক্তিযোদ্ধা চিত্রনায়ক ফারুক ভাই এসেছেন। আমার ছোট কষ্টার্জিত একটি সংসার। সেটার জন্য কিছু করতে হবে বলে আমার ল্যান্ড আছে সেখানে গিয়েছি। এভাবে আমি দুই বছর তারা ঘুরিয়েছে আমাকে। তারা বললো আপনি শুরু করেন, শুরু করার পর আসলো ২১ আগষ্ট। তারা অমনি মোড় গুড়িয়ে দিলেন। তারা বললেন, পুরো বিল্ডিং করেন তারপর আসেন। কিন্তু আমি এত টাকা কোথায় পাবো। লাগবে ৫ হাজার স্কোয়ার ফিট। আমাকে বলেছে ৪৫ হাজার স্কোয়ার ফিট। আমি তো এসব বুঝিনা, আমিতো ফিল্ম থেকে গিয়েছি। ওরা বললো পুরোটা আপনার টাকা দিয়ে শুরু করতে হবে। না হয় ক্যানসেল করে দিলাম। সেখান থেকে যুদ্ধ করতে করতে আসলাম আরো দুই বছর। আমি ঘুরতে ঘুরতে চাইতে থাকলাম এলসি করে দেন। বললো টাকা জমা দেন। দিলাম, তাও এলসি পেলাম না। সেটা ২০০৬ সালের ঘটনা। অনেক কষ্টে মেশিন আনলাম। বললাম, এর ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল দেন। যেখানে আমাকে ১০ কোটি টাকা ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল দিবে। সেখানে দিলো মাত্র ১ কোটি ৭০ লাখ। এভাবে এই মেশিন সেই মেশিন কিনতে টাকা খরচ হয়।’ 

তিনি আরো বলেন,‘এরপর ২০১৩ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়েই কারো কারো নীল নকশায় ব্যাংক আমাকে চিঠি দিয়ে জানায় আমার কাছে পাঁচ হাজার পাঁচশ ৩৩ কোটি পাবে। এভাবেই আমি এখন বিশাল এই ঋণের জালে পড়ে আছি।

বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭