লিভিং ইনসাইড

বর্ষায় প্রয়োজন আপনার সার্বিক সুস্থতা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 12/07/2019


Thumbnail

গ্রীষ্মের প্রখর তাপদাহের পর প্রকৃতিতে প্রশান্তি ছড়িয়ে দিতে বর্ষাকালের তো বিকল্প আমাদের কাছে নেই। আমাদের প্রিয়ঋতুর মধ্যে বর্ষার নাম তো সবার আগেই আসে। কারণ এই ঋতু প্রকৃতিকে নতুন রূপ দেয়। কিন্তু এই বর্ষাকালে বিপাকে পড়তে হয় আমাদের মতো সাধারণ মানুষগুলোর। এই বৃষ্টিকে সঙ্গী করেই চলতে হয় কর্মব্যস্ত মানুষদের। তবে বৃষ্টি বলে তো আর ঘরে বসে থাকা যায় না।

কর্মজীবী বা শিক্ষার্থী সবাইকেই বাইরে বের হতে হয় বৃষ্টি মাথায় নিয়ে। বর্ষার এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি থাকায় জামা-জুতা থেকে শুরু করে খাবার-দাবার সব কিছুতেই কেমন একটা ড্যাম ভাব চলে আসে। আর এই সুযোগে শরীরে বাসা বাঁধতে চায় বিভিন্ন অসুখ-বিসুখ।

কিন্তু হঠাৎ গরমের পরে বর্ষাকাল এলেই আলাদা রোগবালাই, অসুখ-বিসুখ যেমন, সর্দি, কাশি, জ্বর, টাইফয়েড, কলেরা, হজমের সমস্যা, জণ্ডিস, ফুড পয়জনসের রোগগুলো খুব দ্রুত দেখা দেয়। তাই এসময় একটু বাড়তি সচেতনতা আপনাকে মানতেই হবে।

এই বর্ষাকালীন রোগগুলো থেকে দূরে থাকতে সবসময় উচিৎ সাবধানতা মেনে চলা। তাই বর্ষাকালের স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে এই নির্দেশনাগুলো মেনে চলুন-

সবার প্রথমে অবশ্যই অপরিষ্কার-অপরিচ্ছন্ন পানি থেকে দূরে থাকুন। বর্ষাকালে শহরাঞ্চলে একটু বৃষ্টি হলেই যেখানে সেখানে পানি জমে যায়, তার সঙ্গে জমে নগরীর সব ধরনের ময়লা আবর্জনা। সেই পানি মাড়িয়ে আমাদের গন্তব্যে যাওয়া আসা করতে হয়। অপরিস্কার এই পানি অবশ্যই এড়িয়ে চলতে হবে।

বর্ষাকালে দেখা যায় যে হঠাৎ করে তাপমাত্রা বেড়ে যায়, আবার হঠাৎ তাপমাত্রা কমে যায়। অর্থাৎ তাপমাত্রা ওঠানামা করে। যার ফলে যাদের ঠাণ্ডা, অ্যাজমা কিংবা ডায়াবেটিস রোগ আছে, তাদের সমস্যা আরও বেড়ে যায়। তাই এসময়ে অবশ্যই ঠাণ্ডা-গরমে সাবধান থাকতে হবে। ঠাণ্ডা সর্দি কাশি থেকে বাঁচার জন্য নিজেকে গরম ও শুষ্ক রাখুন।

বর্ষাকালে অনেকেরই শ্বাসকষ্টের সমস্যা তীব্র আকার ধারণ করে। প্রকৃতিতে স্যাঁতসেঁতে ভাব থাকার ফলে অনেক ধরনের ফাঙ্গাস জন্ম নেয়। যেগুলো নিঃশ্বাসের মাধ্যমে শরীরে ঢোকার কারণে শ্বাসকষ্টের সমস্যা শুরু হতে পারে। তাই স্যাঁতসেঁতে জায়গাগুলো নিজ দায়িত্বে শুকনো রাখতে চেষ্টা করুন।

বর্ষাকালে চারদিকে মশার প্রকোপ অসম্ভব বেড়ে যায়। তাই মশা থেকে দূরে থাকুন। মশাবাহিত রোগ থেকে বাঁচার জন্য মশা তাড়ানোর জন্য সব ব্যবস্থা নিন। ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানাবেন, দিনের বেলা হলেও। মশাবাহিত রোগ থেকে বাঁচতে হলে আপনার ঘর গৃহস্থালি এবং এর আশেপাশের জায়গা পরিষ্কার রাখতে হবে। এতে বাতাসবাহিত ও পানিবাহিত ইনফেকশনের কবল থেকেও বাঁচা সম্ভব।

এই সময়টাতে রোগবালাই একটু বেশিই হয়। আর সেই রোগ থেকে বাঁচতে নিজের পা এবং পায়ের নখ নখ নিয়মিত পরিষ্কার রাখুন। যাতে করে ময়লা কখনো পা থেকে শরীর পর্যন্ত পৌঁছাতে না পারে।

বর্ষার সময়টাতে বাইরের খাবার থেকে একদম দূরে থাকুন। রাস্তাঘাটে বা খোলামেলা দোকান থেকে কিছু কিনে না খাওয়াই ভালো। এতে করে পেটে গোলমাল হবে, বিপাকক্রিয়া ঠিকমতো হবে না। সবসময় স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খান। ঘরেই মজাদার সুস্বাদু খাবার তৈরি করে নিতে পারেন।

এই সময় কাপড়চোপড় ঠিকমতো শুকায় না। তাতে বেশ বিপাকে পড়তে হয়। তাই বলে ভেজা কাপড় কখনো পরবেন না। আর সেই ভেজা কাপড় পরে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কোনো স্থানে সময় কাটাবেন না। এতে করে ঠাণ্ডা লাগার ভয় বেশি থাকে।

এই সময়টাতে আমাদের শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে পানি এবং সোডিয়াম ঘাম ও বাষ্প আকারে হারাতে থাকে, আর তাই এই সময়টায় সুস্থ থাকতে পর্যাপ্ত পানি পান করুন। বর্ষার এই সময়টাতে ক্যাফেইন আর কার্বোনেটেড পানীয় এড়িয়ে চলুন।

বর্ষার আরেক সমস্যা হলো ঘরে পোকামাকড়ের উপদ্রব। এটার ফলে যথেষ্ট অশান্তি তৈরি হয়। এর দ্বারা অসুখবিসুখও ছড়ায় প্রচুর। তাই পোকামাকড় কমানোর ব্যবস্থা করুন। কারণ একটি ছোট তেলাপোকা বা সামান্য একটি মশা বর্ষায় আপনার চরম ভোগান্তির কারণ হতে পারে। পোকামাকড়ের উপদ্রপ কমাতে আপনি শুকনো নিম পাতা, কর্পূর, বা লবঙ্গ ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারেন।

 

বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭