লিভিং ইনসাইড

ঘরে কারো ফ্লু হলে সাবধান হন অন্যরাও

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 14/07/2019


Thumbnail

আবহাওয়াটাই এমন যে চারদিকে এখন শুধু ফ্লু আর ভাইরাসের ছড়াছড়ি। আজ জ্বর হচ্ছে, কাল সঙ্গে শুরু হচ্ছে সর্দিকাশি আর গলাব্যথা। ওষুধপথ্য খেয়েদেয়ে সেই অসুখ হয়ত ভালো হচ্ছে। কিন্তু আপনি যেই বাড়িতে থাকছেন, তাদের মধ্যেও যে আপনার জীবাণু ছড়াচ্ছে সেটাকে আমরা প্রায় গুরুত্বই দিচ্ছি না। এই ভাইরাস একজন থেকে আরেকজনের কাছে ছড়ায়। তাতে অসুখবিসুখ একই ঘরের মধ্যে ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে।

তাই সবার আগে পরিবারের সকলের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে হবে। ঘরে একজন ফ্লু আক্রান্ত হলে বাকি সদস্যদের অনেক বিষয়ে সাবধান থাকতে হবে। সেই বিষয়ে থাকছে আজকের আলোচনা-  

বিছানার চাদর বদলে ফেলুন

ঘরে কারও ফ্লু বাহিত কোনো রোগবালাই হলে অবশ্যই সুস্থ হওয়ার পর বিছানার চাদর বদলে ফেলা জরুরি। এমনকি সাধারণ সর্দি-কাশি হলেও সেরে ওঠার পর বিছানার চাদর বদলে ফেলা উচিত। কারণ চাদরে অনেক জীবাণু আটকে থাকে। অন্য কেউ সেখানে শোয়া-বসা করলে সে দ্রুতই আক্রান্ত হয়ে পড়ে।

ডোর নব ও লাইট সুইচ

আপনার ঘরের ডোরনব এবং লাইট সুইচ যেহেতু ঘরের সবাই ব্যবহার করেন, সেহেতু এগুলো প্রতিদিন পরিষ্কার রাখা উচিত। না হলে আঙুলের মাধ্যমে অসুস্থ ব্যক্তির থেকে ভাইরাস সুস্থ ব্যক্তির শরীরে প্রবেশ করে। তাই ভালোমানের ক্লিনার ব্যবহার করে জীবাণুমুক্ত করে রাখতে হবে এগুলো।

টাওয়েল

সাধারণ সময়েও একজনের টাওয়েল আরেকজন ব্যবহার করা উচিত নয় কখনোই। আর অসুখবিসুখ হলে তো আরেকটু সতর্ক হতে হবে। বিশেষ করে সাধারণ সর্দিকাশিতে আক্রান্ত হলে টাওয়েল, গামছা আলাদা করে ফেলা উচিৎ। কারণ টাওয়েলে জীবাণুরা দীর্ঘদিন বেঁচে থাকার সম্ভাবনা থাকে। অসুস্থ ব্যক্তিটি সুস্থ হওয়ার পরে তার টাওয়েল গরম পানি এবং ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে কড়া রোদে শুকিয়ে নিতে হবে।

মগ ও গ্লাস

যারা শাওয়ারে গোসল না করে মগ দিয়ে পানি ঢেলে গোসল করেন তাদের সাবধান থাকা জরুরী। মগের হ্যান্ডেলে লেগে থাকতে পারে ভাইরাস। তাই অসুস্থ ব্যক্তিকে আলাদা মগ ব্যবহার করতে দিন। আর একই গ্লাসে পানি খাওয়া উচিত নয়। বাড়ির প্রত্যেকের আলাদা আলাদা গ্লাস ব্যবহার করা উচিত।

কলম, পেনসিল, রিমোট

ঘরের রিমোট সবার হাতে যায়, জীবাণুও তাই বেশী থাকে। ডিসইনফেকটিং ক্লিনার দিয়ে তাই নিয়মিত রিমোট পরিষ্কার করা উচিত। আর রিমোট ধরার পরে ১৫/২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নেওয়া ভালো। এছাড়াও অসুস্থ ব্যক্তির কলম কিংবা পেনসিল ব্যবহারের মাধ্যমেও ভাইরাস ছড়াতে পারে।

টুথব্রাশ হোল্ডার

টুথব্রাশের যদি ক্যাপও থাকে তাও জীবাণু ছড়াতে পারে। একই হোল্ডারে সব টুথব্রাশ থাকায় একটি থেকে অপরটিতে জীবাণু ছড়ায়। তাই অসুস্থ ব্যক্তির টুথব্রাশ আলাদা রাখার ব্যবস্থা করা উচিত।

নিয়মিত ওয়াশরুম পরিস্কার করা

ওয়াশরুমে আমরা প্রতিদিনের পরিচ্ছন্নতার কাজগুলো সারি। তাই সবসময় ওয়াশরুম পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। সেখানে যেন কোনো জীবানু জমে না থাকে, কোনোরকম দুর্গন্ধ না ছড়ায় সেদিকেও অবশ্যই খেয়াল রাখা প্রয়োজন।

আর ভাইরাস জ্বরে আক্রান্ত হলে কিছু ব্যাপারে অবশ্যই সচেতন হতে হবে। জ্বর হলে অন্যদের সঙ্গে বিশেষ করে শিশুদের সঙ্গে মেলামেশায় সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। হাঁচি দেওয়ার সময় বা নাকের পানি মুছতে হলে রুমাল বা টিস্যু পেপার ব্যবহার করতে হবে এবং তা যেনো অন্য কেউ ব্যবহার না করে। যেখানে সেখানে কফ, থুথু একদম ফেলা যাবে না, এতে অন্যরাও আক্রান্ত হতে পারে। স্বাস্থ্যকর, খোলামেলা, শুষ্ক পরিবেশে যেখানে আলোবাতাস বেশি আসে এমন কক্ষে থাকতে হবে জ্বরের সময়।

ধুলোবালি এড়িয়ে চলুন। বাইরে গেলে মাস্ক পরে নিন। কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করুন। খুব ভোরে বা বেলা পড়ে গেলে গোসল করা থেকে বিরত থাকুন। ফ্রিজের ঠাণ্ডা খাবার খাবেন না। কুসুম গরম পানি পান করতে পারলে ভালো হয়।

 

 



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭