ইনসাইড বাংলাদেশ

যেভাবে শুরু হয়েছিল এরশাদের জীবনযুদ্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 14/07/2019


Thumbnail

বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিশাল এক অধ্যায়ের নাম এইচ এম এরশাদ। রক্তপাতহীন অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসা, দেশের প্রধান একটি রাজনৈতিক দলের প্রতিষ্ঠা করা, কিংবা রাজনীতিতে সবসময়ই আলোচনা আর সমালোচনার জন্ম দিয়ে যাওয়া, এরশাদ প্রসঙ্গ উঠলেই এ বিষয়গুলো সামনে চলে আসে। কিন্তু এরশাদকেও যে জীবনে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার জন্য জীবনযুদ্ধে লড়তে হয়েছিল এ খবর অনেকেই রাখেন না।

১৯৩০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি রংপুরের কুড়িগ্রামে নানাবাড়িতে জন্মেছিলেন এরশাদ। বাবা মকবুল হোসেন পেশায় ছিলেন আইনজীবী। ৪ ছেলে ও ৫ মেয়ের মধ্যে এরশাদ ছিলেন দ্বিতীয়। ১৯৪৬ সালে দিনহাটা হাইস্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন করেন তিনি। এরপরে ভর্তি হন রংপুর কারমাইকেল কলেজে। সেখানে পড়ার সময় মনোযোগ দেন লেখালেখির দিকে। ছিলেন কলেজ ছাত্রসংসদের সাহিত্য সম্পাদক।

১৯৫০ সালে উচ্চ শিক্ষার জন্য মাত্র ২০০ টাকা হাতে ঢাকায় পারি জমান এরশাদ। ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। বাবার ওপর চাপ কমাতে নিজেই শুরু করেন টিউশনি। বাবার মতো বড় আইনজীবী হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর করার পাশাপাশি ভর্তি হন ল কলেজে।

১৯৪৮ সালে এরশাদ কারমাইকেল কলেজের শ্রেষ্ঠ ক্রীড়াবিদ হবার গৌরব অর্জন করেন। বিশ্ববিদ্যালয়েরও ক্রীড়া দলের তিনি ছিলেন কৃতি খেলোয়াড়। ১৯৫৩ থেকে ৫৬ সাল পর্যন্ত ঢাকা অঞ্চলের ফুটবল দলের অধিনায়কও ছিলেন তিনি। ১৯৫২ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর তৎকালীন পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে কমিশন লাভ করেন এরশাদ। এরপর ১৯৬৫ সালে পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধেও অংশ নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তার বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেননি তিনি।

১৯৭৩ সালে ১২ ডিসেম্বর এরশাদ কর্নেল হিসেবে পদোন্নতি পান। ১৯৭৫ সালের ১ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু সরকার উচ্চতর প্রশিক্ষণের জন্য ভারতের দিল্লির ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজে পাঠায়। সেখানেই প্রশিক্ষণকালে তিনি ব্রিগেডিয়ার পদে উন্নীত হন। ওই বছর আগস্ট মাসে আবার পদোন্নতি পেয়ে মেজর জেনারেল হন। ১৯৭৮ সালের ১ ডিসেম্বর সেনাবাহিনীর প্রধান হিসেবে নিয়োগ পান। ১৯৭৯ সালের ৭ নভেম্বর তাকে লেফটেন্যান্ট জেনারেল পদে উন্নীত করা হয়। ১৯৮০ সালের ৩০ মে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর সেনা বিদ্রোহ দমন করেন এরশাদ। ১৯৮২ সালে ২৪ মার্চ দেশে সামরিক আইন জারি করে শাসনকাজ শুরু করেন। এরপর ১৯৮৬ সালের ১ জানুয়ারি গঠন করেন জাতীয় পার্টি। তিনি একটানা ৯ বছর শাসন করেন। ১৯৯০ সালের ডিসেম্বরে গণ আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন তিনি।

বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭