লিভিং ইনসাইড

দূরে থাকুন মশা থেকে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 23/07/2019


Thumbnail

চারিদিকে মশাবাহিত এতো রোগ, ডেঙ্গু চিকুনগুনিয়া একেবারে জেঁকে বসেছে যেন। প্রতিদিন নতুন নতুন আক্রান্তের খবর, নয়তো মৃত্যুর খবর। হয়ত বলবেন, কখন কোথা থেকে মশা কামড়ে দিলো টেরই তো পাই না। অসুখবিসুখ ঠেকাবো কীভাবে? হ্যাঁ, আপনি চাইলেই মশা এবং মশাবাহিত রোগগুলোকে এড়িয়ে চলতে পারেন। এজন্য সবার আগে দরকার আপনার নিজের এবং চারপাশের সবার সাবধানতা। তা না হলে আপনিও পড়তে পারেন কঠিন কোনো অসুখে।

তাই আপনার জন্য মশাকে এড়িয়ে চলতে থাকছে সাধারণ কিছু টিপস-

মশার কামড় থেকে বাঁচতে আপনি যা করতে পারেন

১. পিসারিডিন,  DEET  বা  IR 3535   যুক্ত পোকানাশক ব্যবহার করুন আপনার ঘরকে মশামুক্ত করতে

২. ত্বকে লেমন ইউক্যালিপটাস তেল বা প্যারামেন্থন-ডায়ল পণ্য ব্যবহার করতে পারেন।

৩. মশা কামড়ানোর সময় বিশেষ করে সন্ধ্যায় বাইরের কাজ করা থেকে বিরত থাকুন। যদি বাইরে যেতে হয় তাহলে বড় হাতার জামা, পেন্ট ও মোজা পরুন।

৪. আপনার বাড়ির দরজা ও জানালায় নেট লাগাতে পারেন যাতে মশা ঢুকতে না পারে। ঘরের ভেতরে বা বাইরে কোথাও যেনো পানি জমে না থাকে সেদিকে খেয়াল করুন।

৫. হালকা রঙের কাপড় পরুন, কারণ মশারা গাঁড় রঙের প্রতি আকৃষ্ট হয়।

তবে সবার আগে যে কাজটা করতে হবে তা হলো মশার উৎস বন্ধ করতে হবে। তার জন্য মশা মারার ওষুধ ছিটিয়ে মশা নিধন করতে হবে। মশার ডিম পাড়ার স্থানগুলোয় ব্যবস্থা নিতে হবে, যেন মশা সেখানে ডিম না পাড়তে পারে। যেমন বদ্ধ পানিতে প্রবাহ আনতে হবে, যেন এনোফিলিস ও কিউলেক্স মশা ডিম না পাড়তে পারে। ড্রেন, পুকুর বা অন্য জলাশয়ের নোংরা পানি পরিষ্কার করতে হবে। বাসাবাড়ির ছাদে ও আশপাশে থাকা ফুলের টব, ডাবের খোসা, কোমল পানীয়ের ক্যান, পরিত্যক্ত টায়ার ইত্যাদিতে চার-পাঁচদিনের বেশি সময় ধরে যেন পানি জমে থাকতে না পারে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। তা হলে এডিস মশার ডিম পাড়ার জায়গা থাকবে না। ঘুমানোর সময় মশারি ব্যবহার করতে হবে। ঘরে অ্যারোসল স্প্রে ও দরজা জানালায় নেট ব্যবহার করা যেতে পারে।

মশার কামড়ের পর করণীয়

মশার কামড় প্রতিরোধে বরফের টুকরো অথবা ঠান্ডা প্যাক আশ্চর্যজনকভাবে কাজ করে। বরফ কামড়ের স্থানটিকে ঠান্ডা করে যা ফোলাকে নিয়ন্ত্রণ করে। এছাড়া মশার কামড়ের স্থানে গামছায় মোড়ানো বরফের টুকরো ১০ মিনিট রাখলে ধীরে ধীরে ফোলা এবং অন্যান্য সমস্যাগুলো দূর হয়ে যায়।

মশার কামড়ের ফোলাভাব কমাতে টি ব্যাগও কার্যকর ভূমিকা রাখে। চা পাতার কষ রক্ত বন্ধ করতেও কাজ করে।

বেকিং সোডা পেস্টও মশার কামড় প্রতিরোধে এটি কার্যকর এবং সহজ প্রাকৃতিক উপায়। চুলকানিতেও ভালো কাজ করে এটি। কিছু বেকিং সোডাতে পরিমাণ মতো পানি দিয়ে পেষ্ট করে মশার কামড়ানো স্থানে লাগিয়ে শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। বেকিং সোডায় থাকা ক্ষার আক্রান্ত এলাকার অম্লিক পিএইচ প্রতিরোধ করে এবং চুলকানি কমাতে সাহায্য করে।

আপেল সিডার ভিনেগার মশার কামড় এবং ফোলা প্রতিরোধে এটি শ্রেষ্ঠ প্রতিকারক হিসেবে কাজ করে। আপেল সিডার ভিনেগার অনেকটা বেকিং সোডার মতোই কামড় প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। এটি সংক্রামিত স্থানে লাগালে তা ওই স্থানের পিএইচের ভারসাম্য রক্ষা করে।

অ্যালোভেরাও মশার কামড় প্রতিরোধে সহায়ক। পুদিনা পাতাও মশার কামড় প্রতিরোধে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। এটি পেস্ট করে কামড়ের স্থানে লাগালে ব্যথা কমে যায়, রোগ ছড়ানোর আশঙ্কা কমে যায়।

চুলকানির স্থানটি ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে আক্রান্ত স্থানটিতে টুথপেষ্ট লাগালে ধীরে ধীরে চুলকানি ও ফোলা কমে যায়। মধুও লাগাতে পারেন। মধু শুধু ত্বকের জন্যই নয়; স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারি। আক্রান্ত স্থানে মধু লাগালে তা চুলকানি কমায়। একই সাথে এটি ব্যাকটেরিয়াও ধ্বংস করে। মধু ময়েশ্চারাইজারের কাজ করায় আক্রান্ত স্থানের ফোলা ভাব কমাতেও সাহায্য করে এটি। আপনি চাইলে লেবুও ব্যবহার করতে পারেন। মশা কামড়ের একটি প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে লেবু। দুই টুকরা লেবু আক্রান্ত স্থানে ঘষলে সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা কমে যায়।

পেঁয়াজ এবং রসুন মশার কামড় থেকে সৃষ্ট ফোলা এবং চুলকানি কমাতে সাহায্য করে। তাছাড়া এগুলোর গন্ধ কীটপতঙ্গ এবং মশা মাড়তেও সাহায্য করে। আক্রান্ত স্থানে পেঁয়াজ বা রসুন লাগানোর কয়েক মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। তাতে ধীরে ধীরে ফোলা এবং চুলকানি কমে যাবে।

বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ

 



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭