লিভিং ইনসাইড

সবার আগে সামলাতে হবে নিজেকে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 18/08/2019


Thumbnail

প্রায়ই আপনি বলেন ‘না, সময়টা ভালো যাচ্ছে না। চারদিকে এতো চাপ ভালো লাগছে না’। কিন্তু কেন ভালো লাগছে না সেটা নিশ্চয়ই আপনি জানেন না বা জানার চেষ্টাও করছেন না। ফলে দিন দিন আপনার গণ্ডি ছোট হয়ে যাচ্ছে। নিজেকে নিয়ন্ত্রণ বা সামলাতে পারছেন না আপনি। হুটহাট প্রতিকূল পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। তবে পরিস্থিতি যাই হোক সেটিকে ঠাণ্ডা মাথায় সামলাতে পারাটা বড় একটি বিষয়। তাই বাস্তবতাকে এড়িয়ে না গিয়ে বরং এর মুখোমুখি দাঁড়ান। নিজেকে সামলাতে শিখুন এইভাবে-

কথা বলুন মন খুলে

আপনি যখন কোনো কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাবেন তখন আপনার কষ্টের কথা কারো সঙ্গে শেয়ার করুন। যাকে আপনি বিশ্বাস করেন এমন কারো কাছে আপনি আপনার অশান্তির ও কষ্টের সব কথা বলুন। এর মাধ্যমে আপনি কোনো সমাধান খুঁজে পান না বা না পান, আপনি অনেক ভালো অনুভব করবেন।

ইতিবাচক থাকুন সবসময়

মনে প্রশ্ন আসতে পারে যে সবসময় ইতিবাচক থাকা বা ভাবা যায় নাকি! কঠিন সময়ে ইতিবাচক থাকাটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যখন ইতিবাচক থাকবেন তখন আপনি খারাপ সময়েও নিজেকে ভালো অবস্থানে রাখতে পারবেন এবং নিজে একজন ভালো মানুষ হতে পারবেন। জীবনে যখন খারাপ সময় আসবে তখন আপনি দুইটা জিনিষ একসাথে করতে পারেন। আপনি ইতিবাচক থাকবেন এবং নিজেকে মনে করিয়ে দিবেন যে, অন্ধকার সুড়ঙ্গের পরে অবশ্যই আলো থাকে যা অন্ধকারকে দূর করে দেয়।

নিজেকে ব্যস্ত রাখুন

আপনি যখন ব্যাস্ত থাকবেন তখন আপনার সমস্ত যন্ত্রণাগুলো ভুলে থাকতে পারবেন। অলস সময় কাটাবেননা, কারণ অলস সময়ে খারাপ দিকগুলোর দিকেই আপনার মনোযোগ কেন্দ্রীভূত হবে যার ফলে আপনি সেই বিষয়েই চিন্তা করতে থাকবেন যা আপনাকে কোনো সাহায্যই করবেনা। কিছু না কিছু কাজ করার চেষ্টা করুন। 

ব্যর্থতাকে নিজের ওপর ভর করতে দেবেন না

এগিয়ে চলা জীবনে সাফল্য-ব্যর্থতা মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ আসবে। ব্যর্থতা মানে যে সব শেষ, এমনটা কখনোই ভাববেন না। কোনো কাজে ব্যর্থ হলে ব্যর্থতা থেকে শেখার চেষ্টা করুন। ব্যর্থ কেন হলেন তার পেছনে অকারণে সময় নষ্ট না করে পরবর্তী কাজে মনোযোগ দেওয়ার চেষ্টা করুন। ব্যর্থতাকে শিক্ষা হিসেবে ভেবে এগিয়ে চলুন।

জীবনে কৃতজ্ঞ হওয়ার মতো অনেক কিছুই আছে

হাসি জীবনকে ভালো রাখে। আপনাকে ঘিরে যে সৌন্দর্যগুলো আছে সেগুলো দেখুন এবং হাসুন। জীবনের ছোট খাট জিনিস গুলোর প্রতি কৃতজ্ঞ হোন। এই ছোট খাট জিনিস গুলো যখন একত্রিত করবেন তখন আপনি দেখবেন যে এরা আসলেই গুরুত্বপূর্ণ। মনে রাখবেন, সুখ আপনাকে কৃতজ্ঞ করেনা কিন্তু কৃতজ্ঞতা আপনাকে সুখী করে।

অন্যের নিয়ন্ত্রণে চলবেন না

কর্মক্ষেত্রে আপনি নিজের অবস্থান প্রতিষ্ঠা করুন। কোথায় ‘হ্যাঁ’ আর কোথায় ‘না’ বলতে হয় তা আয়ত্ত করুন। বিনয়ী হয়ে নিজের গুরুত্ব প্রতিষ্ঠা করুন। অন্যের চাপিয়ে দেওয়া অযৌক্তিক সিদ্ধান্তকে যৌক্তিকভাবে না বলা শিখুন। নিজের অনিচ্ছায় কাজ করার অভ্যাস বাদ দিতে শিখুন।

পরচর্চা করবেন না 

নিজেকে অন্য মানুষের জায়গায় কল্পনা করতে শিখুন। অন্যের খারাপ গুণ কিংবা ব্যর্থতা নিয়ে হাসাহাসি কিংবা গল্পগুজবে সময় দেবেন না। গল্পগুজবকে বেশ আনন্দদায়ক মনে হলেও আপনি আসলে নিজের ক্ষতিই করেন। নিজেকে বড় মনের মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠার জন্য পরচর্চা থেকে বিরত থাকুন। নেতিবাচক গল্পগুজবের পরিবেশ ও মানুষকে এড়িয়ে চলা শিখুন।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭