ইনসাইড বাংলাদেশ

গ্রেনেড হামলা মামলায় সর্বপ্রথম ফাঁসানো হয়েছিল পার্থকে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 21/08/2019


Thumbnail

শৈবাল সাহা পার্থর কথা মনে আছে? ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় সর্বপ্রথম ফাঁসানো হয়েছিল শৈবাল সাহা পার্থকে।

২০০৪ সালের ২১ শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় তৎকালীন বিএনপি জামাত জোট সরকার সর্বপ্রথম ফাঁসিয়েছিল শৈবাল সাহা পার্থ নামে একজন নিরীহ যুবককে। ওই গ্রেনেড হামলার ঘটনার তদন্ত ভিন্ন খাতে নেওয়ার জন্য ঢাকার এলিফ্যান্ট রোডের হার্ডনেট সাইবার ক্যাফে থেকে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দিয়ে একটি দৈনিকে ই-মেইল পাঠানোর ঘটনার নাটক সাজিয়ে ২৫ আগস্ট বোনের বাসা থেকে ঐ সাইবার ক্যাফেতে ডেকে এনে একটি বিশেষ গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা শৈবাল সাহা পার্থকে আটক করে। ৪ দিন অজ্ঞাত স্থানে আটকে নির্যাতনের পর ২৯ আগস্ট সিআইডি ইন্সপেক্টর তাকে আদালতে পাঠিয়ে পর্যায়ক্রমে ১৪ দিন রিমান্ডে মালিবাগ সিআইডি অফিসে নিয়ে স্বীকারোক্তি আদায়ের জন্য বর্বর নির্যাতন চালায়। ২৪ ঘন্টা চোখ কালো কাপড়ে বেঁধে বৈদ্যুতিক শক দেওয়ার পাশাপাশি লাঠিপেটাসহ সকল নির্যাতন চালানো হয়। টানা ১৮ দিন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে থাকাকালে সারাক্ষণ চলেছিল অভিনব কায়দায় নির্যাতন আর সাজানো স্বীকারোক্তি আদায়ের চাপ।

পার্থর মা ছেলের মুক্তির জন্য মন্দিরে নিজের রক্ত দিয়ে পূজা দেন। পার্থ যেহেতু ভারতে লেখাপড়া করেছেন তাই তাকে ভারতের চর হিসেবে প্রমাণেরও চেষ্টা করেছিল তৎকালীন জোট সরকার। দীর্ঘ ৭ মাস কারাভোগের পর হাইকোর্টের নির্দেশে ২০০৫ সালের ২৩শে মার্চ কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি। গত বছরের ১০ই অক্টোবর এই মামলার ঐতিহাসিক রায়ে ১৯ জনের মৃত্যদণ্ড এবং ১৭ জনের যাবজ্জীবন শাস্তির ঘটনায় ন্যায়বিচার নিশ্চিত হওয়ার পাশাপাশি নির্দোষ নিরপরাধ শৈবাল সাহা পার্থও কলংকমুক্ত হয়।

সেই শৈবাল সাহা পার্থ এখন একটি সিমেন্ট কোম্পানিতে কাজ করে। ২০০৯ সালে বিয়ে করে সংসারী হয়েছেন। আর বার্ধক্যজনিত নানা রোগে আক্রান্ত তার বাবা-মা দুজনই কুমিল্লায় তাদের গ্রামের বাড়িতে থাকেন।

বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭