ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

চিদাম্বরম গ্রেপ্তার: পুরোনো হিসাব মেটালেন অমিত শাহ?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 22/08/2019


Thumbnail

ভারতের সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা পি চিদাম্বরম এখন পুলিশি হেফাজতে। গতকাল দিনভর নাটকের পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রতাপশালী এই নেতার গ্রেপ্তারের নেপথ্য কারণ নিয়ে শুরু হয়েছে তোলপাড়। শীর্ষস্থানীয় অনেক নেতাই বলছেন, চিদাম্বরমকে গ্রেপ্তার করিয়ে বহু বছরের পুরোনো একটি হিসাব চুকিয়েছেন বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এ প্রসঙ্গে উঠে আসছে বছর দশেক আগের কিছু ঘটনা। 

২০১০ সাল। ভারতের রাজধানী দিল্লির অশোক রোডের ৯ নম্বর বাংলোটি বরাদ্দ ছিল বিজেপি নেতা অরুণ জেটলির নামে। পাশের ১১ নম্বর ভবনটি সে সময় বিজেপি সদর দপ্তর ছিল। জেটলি ছিলেন রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা। দুপুরের পর তিনি দলীয় কার্যালয়ে নেতা-কর্মীদের নিয়ে বসতেন। তখন প্রায় রোজই সেখানে আসতেন এক আগন্তুক। চুপ করে বসে থাকতেন তিনি। নাম তার অমিত শাহ। পুরো ভারত তো দূরের কথা নিজ রাজ্য গুজরাটেরই সবাই তাকে চেনে না তখন। কিন্তু রাজ্যের সোহরাবুদ্দিন এলাকায় সংঘর্ষ মামলায় তখন তাকে খুঁজছিল পুলিশ। গ্রেপ্তারের ভয়ে নিজ রাজ্যেই যেতে পারছিলেন না তিনি। ওই সময়ের আগেও তাকে একবার গ্রেপ্তার করেছিল সিবিআই। সেসময় আহমেদাবাদের বিজেপি কার্যালয়ে গিয়ে তিনি বলেছিলেন সব অভিযোগ মিথ্যা। সেই ঘটনার সঙ্গে এখনকার পি চিদাম্বরম গ্রেপ্তারকাণ্ডের যোগসূত্র খোঁজা হচ্ছে।

২০১০ এ যখন অমিতকে যখন গ্রেপ্তার করা হয়েছিল পি চিদাম্বরম তখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। আর আজ পি চিদাম্বরমকে যখন গ্রেপ্তার করা হলো তখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদে বসে আছেন অমিত শাহ। সিবিআই চিদাম্বরমকে গ্রেপ্তারের আগে তিনি যেমন যেমন দলীয় কার্যালয়ে ছুটে গিয়েছিলেন। নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বিবৃতি দিয়েছিলেন। বছর দশেক আগে ঠিক এরকমটাই করেছিলেন অমিত শাহ।

দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে চিদাম্বরমকে। কিন্তু কংগ্রেস এমনকি বিজেপির অনেক নেতা-কর্মীই প্রশ্ন তুলছেন, চিদাম্বরমকে গ্রেপ্তার করিয়ে অমিত কি বহু বছরের পুরনো হিসাব মেটালেন?

চিদম্বরমের আইনজীবী, সঙ্গী ও কংগ্রেস নেতা সালমান খুরশিদ বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমি কিছু বলব না। কিন্তু চিদাম্বরমের ভাবমূর্তি পুরোপুরি পরিষ্কার। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল করতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’

কংগ্রেস শিবির বলছে, অরুন জেটলি, লালকৃষ্ণ আদভানিদের মতো নেতারা যদি আজ বিজেপিতে সক্রিয় থাকতেন তবে সিবিআই-ইডির এমন অপব্যবহার হত না। প্রকাশ্য রাজনৈতিক বিরোধ যাই থাক না কেন, বিরোধী নেতাদের সঙ্গে তারা সুসম্পর্ক বজায় রাখতে জানতেন। আজকের মোদি-অমিতের বিজেপিতে এসবের কোনো বালাই নেই।

বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭