নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: 22/08/2019
তিন সপ্তাহ ধরে পুড়ে যাচ্ছে পৃথিবীর ফুসুফুসখ্যাত আমাজন বন। কিন্তু এই পরিস্থিতি সমাধানে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো আজব দাবি করেছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জাইর বোলসোনারো। ‘ব্রাজিলীয় ট্রাম্প’ আখ্যা পাওয়া এই প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন দেশি-বিদেশি এনজিওগুলোই বনে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। ক্ষমতায় এসে বিভিন্ন এনজিও’র তহবিল বরাদ্দ কমিয়ে দেন তিনি আর তাতেই ক্ষুব্ধ হয়ে তার সরকারকে লজ্জায় ফেলতে এনজিওর লোকজন আমাজন বনাঞ্চলে ‘আগুন দিচ্ছে’ বলে অভিযোগ তার। তবে বোলসোনারো তার এ অভিযোগের কোনো প্রমাণ দিতে পারেননি।
ব্রাজিলের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ‘দ্য ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্পেস রিসার্চ’ (ইনপে) জানায়, উপগ্রহ থেকে পাওয়া ছবিতে দেখা গেছে এ বছর প্রথম আট মাসেই আমাজন বনাঞ্চলে রেকর্ড ৭২ হাজারের বেশি বার আগুন লেগেছে। এ সংখ্যা গত বছর একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৮৩ শতাংশ বেশি। চিরহরিৎ এ বনের আগুন থেকে আসা ধোঁয়ার কারণে সোমবার সাও পাওলো শহরে দিনের বেলায়ই অন্ধকার নেমে এসেছিল। আমাজোনাস ও রোনডোনিয়া রাজ্যের বনাঞ্চলে লাগা আগুনের ধোঁয়া দুই হাজার ৭০০ কিলোমিটারেরও বেশি দূরত্ব অতিক্রম করে সাও পাওলোতে এসেছিল। বিকাল ৩টার পর থেকে ঘণ্টাখানেকের জন্য শহরটি অন্ধকারে ডুবে ছিল।
ব্রাজিলের কট্টরপন্থি প্রেসিডেন্ট বোলসোনেরোর নীতির কারণেই এমনটা ঘটছে বলে অভিযোগ পরিবেশ সংরক্ষণবাদীদের। তবে বোলসোনারো উল্টো এনজিওকর্মীদের দিকে তীর ছুড়ে বলেন, ‘যা ঘটছে তার সবকিছুই এনজিও’র লোকেদের আমাজানে গিয়ে আগুন ধরিয়ে দিয়ে আসার দিকে ইঙ্গিত করছে।’
তার কাছে এ দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ আছে কিনা জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘কোনো লিখিত পরিকল্পনা হাতে নেই। লিখিত পরিকল্পনা করে এটা করা হয় না। অপরাধ ঘটছে। কারণ এনজিও’র লোকজন অর্থের অভাবে পড়েছে।’
উল্লেখ্য, ব্রাজিলে শুষ্ক মৌসুমে দাবানল স্বাভাবিক ঘটনা। তবে গবাদিপশুর চারণভূমি সৃষ্টি করতে আমাজনের অনেক এলাকায় ইচ্ছা করেও আগুন লাগিয়ে দেয়ার ঘটনা ঘটে।
বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি
প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান
বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭