লিভিং ইনসাইড

ছোট করুন আপনার ফ্রেন্ডলিস্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 23/08/2019


Thumbnail

ফেসবুক খুললেই একগাদা নোটিফিকেশন। স্ক্রল করতে করতেই দেখবেন অমুক বন্ধু এটা পোস্ট করেছে, তমুক বন্ধু সেটা শেয়ার করেছে। এই বন্ধুদের অনেককেই আপনি মাঝেমাঝে চিনতেও পারেন না, চিনলেও কথা হয়নি কখনোই। আপনার কখনো প্রয়োজনও হয়না সব বন্ধুদের। কেউ আবার এতো বেশি পোস্ট বা ছবি আপলোড আর শেয়ার দেয় যে মাঝেমাঝে বিরক্ত ধরে। অথচ হুজুগে পড়ে আপনি এদের অ্যাড করেছেন কোনো এককালে। প্রয়োজন না এমন বন্ধুদের আপনি বাদ দিতে চাইলেও দেওয়াও হচ্ছে না। গড়িমসি করে করে লিস্ট বড় হচ্ছে।

আস্তে আস্তে বিভিন্ন উপায়ে ফেন্ডলিস্ট হালকা করতে বসুন এইভাবে-

১. ফেসবুকে প্রতিদিন জন্মদিনের রিমাইন্ডার পাবেন। সেখানে গেলেই দেখবেন আজ, আগামীকাল বা কাছাকাছি কার জন্মদিন। এখানে অপ্রয়োজনীয় কিছু আইডি চোখে পড়বে, যাদের সঙ্গে যোগাযোগ আপনার প্রায় হয়ই না। আপনি তাদের বাদ দিন তালিকা থেকে। একদিনে হুটহাট করে বিরক্ত হয়ে ফ্রেন্ডলিস্ট খালি না করে অল্প অল্প করে এগোন। এতে সব আইডি যাচাই করে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।

২. ফেসবুকে একটা অপশন আছে On this Day নামে। এখানে গেলে এর আগে আজকের দিনে আপনি কী পোস্ট দিয়েছিলেন, কী ছবি আপলোড করেছিলেন তা দেখা যায়। পাশাপাশি কোন কোন ব্যক্তির সঙ্গে বন্ধু হয়েছিলেন তাও দেখা যায়। সেখান থেকেও প্রয়োজন বিবেচনায় ফ্রেন্ড ছাঁকতে থাকুন।

৩. চেনা লাগছে না এমন কোনো আইডির পোস্ট প্রায়ই হোমফিডে ঘোরাঘুরি করে। এই আইডিগুলোতে যান, দেখেন সেগুলোর প্রয়োজনীয়তা আছে কি নেই। প্রয়োজন বা যোগাযোগ না থাকলে তালিকা থেকে সেটা বাদ দিয়ে দিতেই পারেন।

৪. সময় পেলেই মাঝে মাঝে এর ওর আইডিতে ঘুরে আসুন। সেখানে গেলে দেখবেন আপনার সাথে বেশকিছু ফ্রেন্ড মিউচুয়াল আছে। ঐগুলো যাচাই করুন। দেখুন এরা আপনার দরকারি কিনা। না হলে চিন্তা করুন বাদ দিয়ে দেওয়ার।

৫. নিজের আদর্শের সাথে সাংঘর্ষিক কিংবা আপনি অপছন্দ করেন এমন কিছু পেজ খুঁজে বের করুন। পেজের পাশাপাশি কিছু গ্রুপও দেখুন আছে কিনা। সেগুলোর মাঝে গেলে পাবেন আপনার লিস্টের কোন কোন ফ্রেন্ড সেখানে লাইক বা জয়েন করে রেখেছে। সেখানেও অনেকগুলো অপ্রয়োজনীয় বন্ধু পাবেন। এই পদ্ধতিতে অল্প সময়ে অনেকগুলো অপ্রয়োজনীয় ভার্চুয়াল বন্ধুকে খুঁজে পাওয়া যায়। সেক্ষেত্রে এই পদ্ধতি বেশ কার্যকর। তবে খেয়াল রাখুন, এখানে লাইক দিয়েছে বলেই কিন্তু সে এই ভাবধারার তা ভাববেন না। বুঝেশুনে তারপর বাদ দিন।

৬. আপনার জন্য আরও রয়েছে ক্লাসিক পদ্ধতি। নিজের লিস্টে গিয়ে অক্ষর অনুক্রমিক যেতে থাকবেন এবং কিছু কিছু অপ্রয়োজনীয়কে সরিয়ে দেবেন, বিশেষ করে যাদের সঙ্গে কখনো আপনার হাই হ্যালো ধরনের কথাবার্তাও হয় না।

৭. কেউ কেউ থাকে একবার যে আইডি খুলেছে দুই তিন বছর পরেও তাদের খোঁজ পাওয়া যায় না। কয়েক বছরের ব্যবধানে কোনো পোস্টই দেয়নি। তাদেরকে সরিয়ে দিন। আবার কিছু আইডি থাকে যারা পাসওয়ার্ড হারিয়ে ফেলেছে বলে নতুন আইডি খুলেছেন। এক্ষেত্রে সক্রিয় আইডিটা রেখে পুরনোটা সরিয়ে দিন। অনেকদিন ধরে ডিএকটিভ করা আইডিগুলোও বাদ দিয়ে দিতে পারেন।

৮. আনফ্রেন্ড করার আগে দেখুন ইনবক্সে কখনো কথা হয়েছিল কিনা। দেখা যাবে অনেক আগে কথা হয়েছে, আর তার সঙ্গে ভালোই সম্পর্ক ছিল একসময়। তাই বাদ দিতে গেলে দেখে নিন হুট করে এভাবে বাদ দিয়ে দেবেন কি না। কথার ধরন দেখে বুঝতে পারবেন তিনি থাকলে ভালো হয় নাকি না থাকলে ভালো হয়। আর নিজের গণ্ডির মধ্যের কাউকে ছেটে ফেলার আগে আরও একবার ভাবুন।

৯. কারো কারো আইডিতে ভয়ঙ্কর কিছু পোস্ট, ছবি, কমেন্ট দেখতে পারেন। সেই আইডিগুলোকে বাদ তো দেবেনই, পারলে ব্লক করে দিন। আবার আইডিতে গেলে যদি দেখেন মূর্খের মতো পোস্ট দিচ্ছে বা মূর্খতাসুলভ কিছু শেয়ার দিচ্ছে তাহলে ফ্রেন্ডলিস্ট থেকে তাকে বাদ দিতে পারেন। এই যেমন নারীর প্রতি ঘৃণাভরে কোনো কথা, মিথ্যা বানোয়াট ফটোশপ করা কোনো, উস্কানিমূলক কোনো কথা যারা নিয়মিত শেয়ার করে তাদের প্রোফাইলে রাখবেন না। তারা ক্ষতিকর হতে পারেন আপনার জন্য।

১০. সবসময় ফেক আইডির বিষয়ে খেয়াল রাখবেন অবশ্যই। নিজের ছবি না দিয়ে ইন্টারনেট থেকে নামানো কোনো ব্যক্তি বা বস্তুর ছবি, নিজের নামের পরিবর্তে অন্য নাম, কম তথ্য থাকা, বেশি জাঁকজমকপূর্ণ তথ্য দেওয়া মোটামুটি অপরিচিত আইডিগুলো নিজের আইডিতে না রাখলেও চলে।

১১. একজন ব্যক্তির কভার ছবি, শর্ট বায়ো, প্রিয় উক্তি প্রভৃতির মাধ্যমে তার ব্যক্তিত্ব প্রকাশ পায়। এদিক থেকে যদি তার সন্তোষজনক কিছু না থাকে তাহলে রাখার দরকার নেই, বাদ দিয়ে দিন।

১২. সবশেষে এটিও খেয়াল রাখুন, কোনো ব্যক্তি আপনার জন্য অপ্রয়োজনীয় হলেও ঐ লোকটির কাছে আপনি প্রয়োজনীয়। এরকম কোনোকিছু বুঝতে পারলে বিবেচনা করবেন অবশ্যই।

শুধু এগুলোই নয়, এরপরে নতুন ফ্রেন্ড যোগের ক্ষেত্রে আর নতুন রিকোয়েস্ট দেওয়ার আগে সচেতন হোন। এমন কাউকে লিস্টে অ্যাড করার দরকার নেই যাকে আপনার খুব একটা প্রয়োজন বা যোগাযোগ হওয়ার কোনো সম্ভাবনা আছে। এখন অ্যাড করে দুদিনের মাথাতেই আবার লিস্ট থেকে বাদ দেবেন, সেটার তো দরকার নেই।

বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ

 



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭