নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: 23/08/2019
আজকাল উঠতে বসতে গেলে পিঠে বেশ ব্যথা করে উঠছে। আস্তে আস্তে সেই ব্যথা কেমন স্থায়ী হয়ে যাচ্ছে। নিচ থেকে কিছু তুলতে গেলে পিঠে খুব ব্যথা করে উঠছে। অথচ ভাবছেন পিঠে বা কোমরে ব্যথা হওয়ার মতো বয়স তো আপনার হয়নি। তাহলে কেন এই কঠিন ব্যথা হচ্ছে! এই প্রশ্নের উত্তর আপনার জানা নেই।
এই ব্যথার পিছনে আপনার দৈনন্দিন কিছু অভ্যাসই দায়ী। তাই আপনার উচিৎ এই অভ্যাসগুলো জানা এবং সেগুলো এড়িয়ে চলা-
দীর্ঘসময় কুঁজো হয়ে বসে কাজ করা
চেয়ারের ওপর কিছুটা বাঁকা হয়ে বসলে বুকের মাংসপেশিতে চাপ পড়ে। এতে কাঁধ সামনের দিকে ঝুঁকে যায়। আর বাঁকা হয়ে বসলে শক্তির অপচয় হয়; পিঠে ও ঘাড়ে ব্যথা হয়। আর তাই সোজা হয়ে বসার চেষ্টা করুন। সামনের দিকে ঝুকে কাজ করবেন না। চেয়ারে বা দেয়ালে হেলান দেওয়ার চেষ্টা করুন।
কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি না নেওয়া
কাজের ফাঁকে বিরতি নেওয়ার অভ্যাস না করলে পিঠে ব্যথা হতে পারে এবং পেশি দুর্বল হয়ে যেতে পারে। এক্ষেত্রে আধাঘণ্টা পরপর কিছুক্ষণের জন্য উঠে দাঁড়ালে ও হাঁটাহাঁটি করলে উপকার পাওয়া যায়।
মানসিক চাপ
দীর্ঘস্থায়ী ও তীব্র মানসিক যন্ত্রণাও পিঠ ব্যথার অন্যতম কারণ হতে পারে। মানসিক চাপে ভুগলে পেশি, ঘাড় ও পিঠে চাপ পড়ে। মনে হয় সব কেমন যেন খিচ ধরে আসছে। ঘাড়, মাথা আর পিঠ নাড়াতে অসুবিধা হয়।
তাই প্রতিদিন শান্ত বা চাপমুক্ত থাকার অভ্যাস করতে হবে। এ ক্ষেত্রে ভালো বই পড়া যেতে পারে অথবা বন্ধু বা সঙ্গীর সঙ্গে আনন্দদায়ক মুহূর্ত কাটানো যেতে পারে। তা ছাড়া গবেষণায় দেখা যায়, ব্যথা কমাতে গান বেশ কাজ করে। সঙ্গীত হরমোনের চাপ ও পেশির উত্তেজনা কমাতে সাহায্য করে।
পুরনো তোশক এবং বালিশ
একটি ভালো তোশক সাধারণত ৯ থেকে ১০ বছর টেকে। তবে ঠিকভাবে ঘুমাতে না পারলে বা পিঠে অস্বস্তি হলে পাঁচ থেকে সাত বছর পর পর তোশক পরিবর্তন করা উচিত। বালিশের ক্ষেত্রেও তাই। বছরের পর বছর একই বালিশ ব্যবহার করতে যাবেন না। মাঝেমধ্যে তোশক আর বালিশ রোদে দেবেন।
বেশি শক্তও না, আবার বেশি নরমও না- এমন তোশক আর বালিশ ব্যবহার করতে হবে। শক্ত তোশকে ঘুমালে মেরুদণ্ডে বেশি চাপ পড়ে ব্যথা হতে পারে।
খাদ্যাভ্যাস
যেসব খাবার হৃদযন্ত্র ভালো রাখে, শরীরের ওজন এবং রক্তে সুগারের পরিমাণ স্বাভাবিক রাখে, সেসব খাবার পিঠের জন্যও উপকারী। এক্ষেত্রে সয়া, বাদাম, শাকসবজি, মুরগি, মাছ, চর্বি ছাড়া মাংস ও ফল খেতে পারেন।
ভারি ব্যাগ টানা
কাঁধে প্রতিদিন ভারি ব্যাগ বহন করলে পিঠে ব্যথা হতে পারে। কারণ, ভারী ব্যাগ কাঁধের ভারসাম্য নষ্ট করে। তাই হালকা ব্যাগ ব্যবহার করতে হবে। ব্যবহৃত ব্যগের ওজন শরীরের ওজনের তুলনায় কোনোভাবেই ১০ শতাংশের বেশি হওয়া যাবে না। পরিস্থিতি এড়াতে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ভাগ করে দুই ব্যাগে নেওয়া যেতে পারে। এতে কাঁধের ওপর চাপ কম হবে।
বেশি উঁচু বা বেশি নিচু জুতা
হাই হিল পরলে পিঠ বাঁকা হয়ে থাকে। এতে মেরুদণ্ডে চাপ সৃষ্টি হয়। জুতার হিলের উচ্চতা ঠিক না হলে পায়ের ক্ষতি হতে পারে। এটি পরে পিঠ ব্যথার কারণ হয়। আবার ফ্ল্যাট স্যান্ডেল পরলে পায়ের পাতার প্রান্তে চাপ পড়ে। এটি শরীরের ওজনের ভারসাম্য নষ্ট করে এবং ব্যথার সৃষ্টি করে।
এক্ষেত্রে পায়ের জন্য আরামদায়ক ফ্ল্যাট জুতা বা স্নিকারস পরা যেতে পারে। আর ফ্যাশনেবল কম হিলের জুতাও বাদ দেওয়ার দরকার নেই। শুধু অনেকদূর হাঁটতে হবে এরকম কোনো জায়গায় যাওয়ার সময় হিল পরা বাদ দিন।
বাইক চালানো
যদি মোটরসাইকেল বা সাইকেল চালানো শুরু করার পর পিঠে ব্যথা হয়, তবে ভাবতে হবে আপনাকে। ৩০ থেকে ৭০ শতাংশ বাইকারই নাকি পিঠে ব্যথা অনুভব করে। তাই পিঠে ব্যথা অনুভূত হলে বাইক না ব্যবহার করাই ভালো।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ
প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান
বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭