ধর্ষণে বাধা দেওয়ায় মামা খুন, গণপিটুনিতে নিহত ধর্ষক

চুয়াডাঙ্গায় এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণে বাধা দেওয়ায় তার মামাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। নিহতের নাম হাসান আলী (২৬)। গ্রামবাসী এ খবর পেয়ে ধর্ষণ চেষ্টাকারী আকবর আলীকে আটক করে গণপিটুনি দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। শনিবার ভোরে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আমিরপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন স্কুলছাত্রীসহ দুইজন।

পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, ছুরিকাঘাতে নিহত হাসান আলী আমিরপুর গ্রামের হামিদুল ইসলামের ছেলে। গণপিটুনিতে নিহত আকবর আলী দামুড়হুদা উপজেলার পারকৃষ্ণপুর মদনা গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ওই এলাকায় সবজির ব্যবসা করতেন বলে জানিয়েছে গ্রামবাসী।

স্থানীয়রা জানান, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আমিরপুর গ্রামের পঙ্গু হামিদুল ইসলামের বাড়িতে শনিবার ভোরে আকবর আলী নামে এক ব্যক্তি ঢোকে। এরপর স্কুল পড়ুয়া ওই কিশোরীর ঘরে ঢুকে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। কিন্তু কিশোরীর চিৎকারে পরিবারের সদস্যরা বাধা দিতে গেলে আকবর আলীর ছুরিকাঘাতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন গৃহকর্তার ছেলে হাসান আলী (২৬)। গুরুতর আহত হয় ওই স্কুলছাত্রীসহ তার পঙ্গু নানা হামিদুল ইসলাম। এরপর গ্রামবাসী আকবর আলীকে আটক করে গণপিটুনি দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

ধর্ষণচেষ্টাকারী আকবর আলী বেশ কিছুদিন ধরে ওই গ্রামে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করছিল বলে জানা গেছে। ভ্যানে করে সে গ্রামে সবজি বিক্রির ব্যবসা করতো। এর আগেও সে গ্রামের এক নারীকে ধর্ষণের সময় হাতেনাতে আটক হয়েছিল বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। 

চুয়াডাঙ্গা পুলিশ জানিয়েছে, গুরুতর আহত হামিদুল ইসলাম ও ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সকাল ৮টার দিকে নিহত হাসান ও গণপিটুনিতে নিহত আকবর আলীর লাশের সুরাতহাল রিপোর্ট সংগ্রহ শেষে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।

বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি