ইনসাইড হেলথ

ঢাকার বাইরে ডেঙ্গু ছড়াচ্ছে এডিস মশার যে প্রজাতি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 29/08/2019


Thumbnail

শহর আর গ্রাম এলাকায় ডেঙ্গু ছড়াচ্ছে এডিস মশার ভিন্ন দুই প্রজাতি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডেঙ্গু রোগ ছড়ানোর সাথে যে দুই ধরণের মশা জড়িত তার একটি এডিস এলবোপিক্টাস। অন্যটি এডিস এজিপ্টাই। ঢাকার বাইরে গ্রামাঞ্চলে ডেঙ্গু রোগ ছড়ানোর পেছনে এডিস এলবোপিক্টাস মশার একটি প্রজাতি দায়ী। আর এজিপ্টাই ঢাকা বা শহরাঞ্চলে বেশি থাকে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক ড. কবিরুল বাশার বলেন, ‘এডিস এলবোপিক্টাস যেহেতু মহামারি আকারে রোগ ছড়াতে পারে, সেহেতু এডিস এলবোপিক্টাসই রোগ ছড়াচ্ছে বলে আমরা ধারণা করছি। তবে এখনো এর গবেষণালব্ধ তথ্য আমাদের কাছে নাই।’

এডিস এলবোপিক্টাসের বৈশিষ্ট্য:

এডিস এলবোপিক্টাস মশার কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এ ধরণের মশা ঘরের ভেতরে না, বাইরে থাকে। আর এ কারণেই ঘরের ভেতরে থাকলে এ মশা কামড়ায় না। বাইরে বের হলে কামড়ায়।

কীটতত্ত্ববিদ ড. কবিরুল বাশার বলেন, বেশিরভাগ মানুষই জানে না যে এডিস এলবোপিক্টাস কোথায় জন্মায়। এডিস এজিপ্টাইয়ের মতো এটি যেকোন জায়গায় স্বচ্ছ পানি পেলেই বংশবৃদ্ধি করে না। বরং এর জন্য বিশেষ ধরণের পরিবেশের দরকার হয়। এডিস এলবোপিক্টাস যেখানে জন্মায় তার মধ্যে সবচেয়ে বড় উৎস হচ্ছে গাছের কোটর। এছাড়া বাঁশ কাটার পর সেখানে থেকে যাওয়া গোঁড়ায় যে পানি জমে সেখানে এলবোপিক্টাস মশা বেশি হয়। কলাগাছের দুটো পাতার মাঝখানে যে পানি জমে, কচু গাছের দুটো পাতার মাঝখানে যে পানি জমে, এসব প্রাকৃতিক আশ্রয়স্থলেও এডিস মশা জন্মায়। 

কিভাবে নির্মূল হবে এডিস এলবোপিক্টাস?

কীটতত্ত্ববিদ ড. কবিরুল বাশার বলেন, এলবোপিক্টাস নিয়ন্ত্রণ করতে হলে প্রকৃতিতে থাকা ন্যাচারাল কন্টেইনার বা পাত্রগুলোকে খুব স্বাভাবিক প্রক্রিয়াতে বন্ধ করতে হবে। যেমন গাছের কোটর মাটি দিয়ে বন্ধ করে দিতে হবে, কলাগাছের পাতায় কোনা দিয়ে একটু কেটে দিলেই হয়। আর কচু গাছের বড় বড় ডগাগুলো ছেঁটে দিতে হবে। এগুলো করা গেলে ডেঙ্গু নির্মূল করা সহজ হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

সূত্র: বিবিসি বাংলা

বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭