কালার ইনসাইড

তারকাদের নতুন স্ক্যান্ডাল

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 05/09/2019


Thumbnail

‘স্ক্যান্ডাল’ শব্দটা তারকার উপকারেও আসে, অপকারও হয়। তারকারা মুখে যতই বলুক স্ক্যান্ডালে তারা ক্ষতিগ্রস্থ হন, বাস্তবে উপকারও চোখে পরে। বাইরের দেশগুলোতে শোনা যায় অনেক তারকা টাকা খরচ করে লোক নিয়োগ দিয়ে স্ক্যান্ডাল ছড়ায়। বাংলাদেশেও এমনটা কান পাতলে শোনা যায় মাঝেমধ্যে। তারপর প্রকাশ্যেও তাদের কর্মকাণ্ড নতুন স্ক্যান্ডালের জন্ম দেয়।

অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া ও পরিচালক ইফতেখার আহমেদ ফাহমি:

রিয়েলিটি শো ‘ফেয়ার অ্যান্ড লাভলী মেনস হিরো-কে হবে মাসুদ রানা’র প্রাথমিক পর্বের কয়েকজন বিচারকের আচরণ নিয়ে বিতর্ক উঠেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিচারকদের নিয়ে দর্শকেরা সমালোচনা করেছেন। বিচারকদের কাউকে ভয়ভীতিও দেখানো হচ্ছে। বিচারকদের একজন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া থানায় সাধারণ ডায়েরিও করেছেন। অডিশনের কিছু ক্লিপ ভাইরাল হয়ে যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে। ছড়িয়ে পড়া এসব ভিডিও শেয়ার করে ফেসবুকে দর্শকেরা অভিযোগ এনেছেন, প্রতিযোগিতায় বিচারকেরা প্রতিযোগীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন। সেসব ভিডিওতে বিচারক হিসেবে দেখা গেছে পরিচালক ইফতেখার আহমেদ ফাহমি, মোস্তফা কামাল রাজ, শাফায়েত মনসুর রানা, অভিনেত্রী জাকিয়া বারী মম ও শবনম ফারিয়াকে।

ইফতেখার আহমেদ ফাহমী এক প্রতিযোগীকে বলেন, ‘যেখানে যে পরিমাণ অঙ্গপ্রত্যঙ্গ থাকার কথা, ওখানে কি আছে ওগুলো। না একটা দুইটা কম আছে?’ ফারিয়া অলসভাবে মোবাইল টিপছিলেন। দর্শকের অভিযোগ, বিচারকেরা এভাবে আচরণ করে প্রতিযোগীদের অপমান করছেন। শবনম ফারিয়া অবশ্য বলেছেন, কেন তারা এমনটা করেছেন। তবে ইতিমধ্যেই এই কাণ্ড স্ক্যান্ডালে পরিণত হয়েছে।

মিথিলার সৃজিত প্রেম:

কলকাতায় প্রথম দফায় শুটিংয়ে গিয়েছিলেন মিথিলা। সেখানেই ভাই অর্ণবের হাত ধরে পরিচয় হয় সৃজিতের সঙ্গে। বন্ধুত্বটা এতটাই ঘনিষ্ঠ হয় যে বিয়ের খবর রটায় ভারতীয় গণমাধ্যমে। চুপ ছিল না বাংলাদেশও। মিথিলা- সৃজিত অবশ্য স্বীকার পাননি এমন খবরের সত্যতা। তবে মিথিলা এইতো কিছুদিন আগে ঈদের ছুটিতে কলকাতায় গিয়ে দেখা করে এসেছেন সৃজিতের সঙ্গে। অকপটে সে কথা স্বীকারও পেয়েছেন। গত বছরই প্রথম মিথিলা কলকাতা ভ্রমন করেন। আর এখন মিথিলা প্রায় প্রায়ই কলকাতা যান। হতে পারে ঘনিষ্ঠ বন্ধুতা। হতে পারে বন্ধুত্বের চেয়ে আরো বেশি কিছু্। সময় বলে দেয় অনেক কিছু। সময় বলে দিয়েছে জয়া আহসান সৃজিতের বন্ধুত্বটা কেমন ছিল। জয়া সৃজিতের জন্য কলকাতায় ফ্ল্যাট কিনেছিল কিনা। এখন সবাই মিথিলার প্রেমের গুঞ্জন নিয়ে নানা কিছু কল্পনা করুক। তাতে সৃজিত- মিথিলাদের কি- বা আসে যায়। অটুট বন্ধুত্ব বলে কথা। সকলের প্রত্যাশা থাকবে অনেকদিন।

নুসরাত ফারিয়ার সুইমিং স্যুট:

নিজের অফিশিয়াল ইনস্টাগ্রামে সুইমিং স্যুট পরে একটি ছবি দেন নুসরাত ফারিয়া। আর এই ছবি দেয়ার সাথে সাথেই সেখানে তার সমালোচনায় ঝাঁপিয়ে পড়েন শত শত ইনস্টাগ্রামবাসী!

ফারিয়ার সেই ছবিটি নিয়ে একজন ইনস্টা ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন, আপনারা এসব ছবি আপলোড করে আমাদের তরুণ সমাজকেও ধ্বংস করে দিচ্ছেন। অন্য আরেকজন লিখেছেন, এটাই দেখার বাকি ছিলো!

বেশীর ভাগ মন্তব্যকারী নুসরাত ফারিয়ার এই ছবির নীচে অশ্লীল ভাষায় মন্তব্য করেছেন। যদিও এসব নিয়ে মোটেও চিন্তিত নন ‘আশিকি’ খ্যাত এই নায়িকা। এরআগেও  নিজেকে নিয়ে সমালোচনা কিংবা বিতর্ককে কখনোই পাত্তা দেননি তিনি। এক দিনের কম সময়ে ছবিতে লাইক পড়েছে প্রায় ৭৩ হাজার এবং ছবিতে মন্তব্য পড়েছে প্রায় সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি।

প্রেম করছেন তানজিন তিশা:

তিশা প্রেম করছেন জাবিন ইকবাল জাহিন নামে এক ফ্যাশন ডিজাইনারের সঙ্গে। জাহিনের সঙ্গে কোন ফ্যাশন শোতেই তিশার পরিচয় বলে জানা যায়। এরপর দুজনের প্রেমের গুঞ্জন শোনা যায়। এমন খবর প্রকাশ হয়েছে। যদিও সেই খবর নাকচ করে দেন তিশা। ভালো বন্ধু বলেই অভিহীত করেন তিশা। তাদের একসঙ্গে বেশ কিছু ছবি পাওয়া গেছে। তারা এখন ‘জাস্ট ফ্রেন্ড’ বলেই চলছে। তবে তারা সম্প্রতি ঈদের বিরতী কাটাচ্ছেন অস্ট্রেলিয়ায়। তাদের সেখানকার একান্ত কিছু ছবি পাওয়া গেছে।

নোবেলের ভিডিও ফাঁস:

‘সা রে গা মা পা’ তারকা নোবেলের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শ্লীলতাহানীর অভিযোগ এনেছে ১৬ বছর বয়সী এক ছাত্রী। শাহরিন সুলতানা(ছদ্মনাম) নামের ভূক্তভোগী ছাত্রী অভিযোগ করে বলেছে পিতার চাকরি সূত্রে গোপালগঞ্জে থাকার সময় থেকে নোবেলের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এমনকি বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে নোবেল নিজের বাসায় তার সাথে ৭/৮ বার দৈহিক সম্পর্কেও মিলিত হয়। যদিও নোবেল এবিষয়ে তার কোন বক্তব্য দেয়নি।

বাংলা ইনসাইডার

 



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭