ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

শত্রুতা ভুলে এক হচ্ছেন মোদি-মমতা!

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 17/09/2019


Thumbnail

আড়াই বছর পর একান্তে বৈঠক করতে যাচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিছুদিন আগেও মোদির বিরুদ্ধে একের পর এক তোপ দাগতে দেখা যেত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। অথচ তিনিই দিন কয়েক ধরে একেবারে মিইয়ে গেছেন। মোদির বিরুদ্ধে কিছু তো বলছেনই না, উল্টো তার সঙ্গে একান্তে সাক্ষাত করতে দিল্লি গিয়ে হাজির হচ্ছেন। মাস দুয়েক আগেও মমতার সঙ্গে ফোনে কথা বলার সুযোগ পাচ্ছিলেন না মোদি। অথচ এখন মমতাই মোদির সঙ্গে কথা বলতে বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছেন। এ অবস্থায় দীর্ঘ শত্রুতা ভুলে মোদি-মমতা এক হচ্ছেন কি্না সে প্রশ্ন উঠছেই।

মোদির ৬৯তম জন্মদিনে আজ সাত সকালেই শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মমতা। আর বিকেলে দিল্লি যাবেন। আগামী কাল মোদির সঙ্গে তার একান্তে বৈঠক করার কথা রয়েছে। মোদির দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতায় আসার ১০০ দিনের মাথায় প্রায় আড়াই বছর পর মুখোমুখি হতে চলেছেন তারা।

বিশ্লেষকরা বলছেন, পশ্চিমবঙ্গে ক্রমশ কোণঠাসা হয়ে পড়ছেন মমতা ও তার দল তৃণমূল। তার পক্ষের পুলিশ কর্মকর্তা রাজীব কুমারও আইনি বাঁধায় হাঁসফাঁস করছেন। যেকোনো সময় মমতার ওপর নেমে আসতে পারে কেন্দ্রীয় বাহিনীর খড়্গ। এ অবস্থায় মমতা হয়তো চাইছেন মোদির সঙ্গে সম্পর্কটা একটু মেরামত করতে।

মোদির সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়ে তৃণমূল নেত্রীর আগ্রহ নিয়ে কটাক্ষ করছেন বিজেপি নেতারা। দলটির জাতীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা বলেন, ‘আমরা সবাই জানি যে লোকসভা নির্বাচনের সময় এবং তারপরেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে তিনি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) কী ধরনের ভাষা ব্যবহার করেছিলেন। তিনি কখনও ফেডারেল কাঠামোর প্রতি শ্রদ্ধা রাখেননি। এমনকি তিনি এ কথাও বলেছিলেন, তিনি মনে করেন না যে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে মোদিজিকে সম্মান করা দরকার। হঠাৎ কেন এবং কী কারণে তিনি দিল্লি যাচ্ছেন তা একেবারেই ওপেন সিক্রেট। এর মাধ্যমে তিনি যে আসলে একজন সুবিধাবাদী রাজনীতিবিদ তাও বোঝা যাচ্ছে। এটা প্রমাণিত যে  তিনি তার উদ্দেশ্য পূরণ করতে যে কোনো দূরত্ব পর্যন্ত যেতে পারেন এবং কাজ উদ্ধার হয়ে গেলেই তা ভুলে যেতে পারেন।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিজেপির অপর এক প্রবীণ নেতার মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেকে এবং তার দলের নেতাদের সিবিআইয়ের খপ্পর থেকে বাঁচাতে দিল্লিতে যাচ্ছেন। কেননা বাংলার বহু কোটি চিট ফান্ড কেলেঙ্কারির তদন্ত করছে সিবিআই।

তৃণমূল অবশ্য বিজেপির এই দাবিকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিচ্ছে। তারা বলছে, রাজ্যের উন্নয়নমূলক বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্যই মমতা দিল্লি গেছেন।

ভারতের রাজনীতি পর্যবেক্ষকরা বলছেন, মমতা যদি শেষ পর্যন্ত মোদির দলে ভিরেই যান তাতে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। কারণ তিনি এর আগে কংরেস থেকে বের হয়ে বিজেপি’তে যোগ দিয়েছিলেন। পরে আবার পশ্চিমবঙ্গে তার শক্তি পাকাপোক্ত বিজেপি থেকে বেরিয়ে গেছেন। তার সেই শক্তিই এখন গোধূলি লগ্নে বলা চলে। সুতরাং মমতা আবারও বিজেপির সঙ্গে হাত মেলাতেই পারেন।

বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭