ইনসাইড বাংলাদেশ

কে দিয়েছে এই মারার লাইসেন্স?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 09/10/2019


Thumbnail

নাসরিন আফরোজের সঙ্গে ক্যাম্পাসের মুল ফটকের সামনে আলাপ। যিনি একজন বুয়েট শিক্ষার্থীর অভিভাবক। তিনি আন্দোলনের প্রতিটি কার্যক্রমে সংহতি জানানোর জন্য সঙ্গে ছিলেন।

জানা যায়, তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার স্বামী এবং ছেলে দুজনেই বুয়েটের প্রাক্তন ছাত্র।

তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক দেশের মুল কথা সবার স্বাধীনতা রয়েছে। আমার সন্তান এখান থেকে পাশ করে গেছে। আবরারের মধ্যে আমি আমার ছেলেকে দেখেছি। ঘটনা শোনার পর আমি আমার চোখের পানি আটকাতে পারিনি।

‘ক্যাম্পাস থেকে র‍্যাগিং বন্ধ করতে হবে। দলবিহীন শিক্ষকতার চর্চা করতে হবে। যে ছেলেগুলা আজকে খুনি। তারা খুনি হয়ে ক্যাম্পাসে ঢুকে নাই৷ তাদেরকে খুনি বানানো হয়েছে। যারা খুনি বানিয়েছে তারা কারা। তাদেরকে ধরতে হবে’ বলেন এই অভিবাবক।

চোখ ছলছল করে তিনি বলেন, ছাত্রলীগের কেউও যদি এভাবে মারা যেত আমি তার জন্যও কান্না করতাম। এখানে দলাদলির কিছু নেই। একটা মানুষ মারা গেছে, আমার সন্তানতুল্য একটি ছেলে পৃথবীতে আর নাই। এটাই মুল বিষয়।

যারা আবরার হত্যার আসামী তারাও তরুণ, তারাও কারো সন্তান। তাই মা হিসেবে সেই আসামীদের সর্বোচ্চ শাস্তি চান কিনা সে প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, একজন মা হিসেবে, আমি আগে বিচক্ষণ হবো৷ ভার্সিটতে যারা পড়েন তাদের সবার বয়স অন্তত ২০ বছরেরও বেশি। তারা অবশ্যই এডাল্ট। আর একজন এডাল্ট যখন অপরাধ করে তখন সেটা অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে৷ তাই তাদ্রর সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানাই। যেনো কোনো মায়ের কোল খালি না হয়।

তিনি বলেন, ‘আর তারা কারা? তাদের কে আমি বলতে চাই, তুমি কে তাকে মারার? কে দিয়েছে এই লাইসেন্স?’

বাংলা ইনসাইডার



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭