সোশ্যাল থট

কষ্টে কাতর মন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 10/10/2019


Thumbnail

এমনিতেই চারদিকের ঘটনায় সময়টা ভালো যাচ্ছেনা। চারদিকেই কেমন যেন একটা অস্বস্থিকর অবস্থা। এসব নিয়ে মন-মেজাজও খুব ভাল না। তার ওপর যদি আপনজন এবং কাছের মানুষদের নিয়ে সীমাহীন নোংরামী চলে তা কি কোনভাবে মেনে নেয়া যায়। যে মানুষগুলোকে চিনি প্রায় দুই-তিন যুগ ধরে। যে মানুষগুলোর চরিত্র আত্মস্থ করেছি। যে মানুষগুলোর সাথে পেশার তাগিদে পথ চলেছি। আর সেই মানুষগুলোকে নিয়েই যদি এক শ্রেণীর বিকৃতমনা মানুষ নোংরা খেলায় মেতে উঠে তাহলে মন-মেজাজ কি আর সঠিক জায়গাতে রাখা যায়। কারণ মানুষ দুটোকে আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি এবং জানি। দোষে-গুনে মানুষ, আর তাইবা যদি না হবে তাহলে তারা তো ফেরেসতা হয়ে যেত? যাই হোক গত কয়েকদিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বড় ভাই পীর হাবিব ও শাবান মাহমুদকে নিয়ে বহু কেচ্ছা-কাহিনী এমনকি পীর হাবিব ভাইকে নিয়ে নোংরামীর শেষ পর্যায়ে নেমেছে। দুটো মানুষকে চেনা-জানা আছে বলেই দু কলম লেখার সাহস পাচ্ছি। শাবান মাহমুদ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের নির্বাচিত মহাসচিব। এরআগে সে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছে। এক কথায় সামাজিক মানুষ। পেশার তাগিদে সমাজের সব স্তরের-সব পেশার মানুষদের সাথে তার চলাফেরা। অন্যায়-অত্যাচার-নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী কন্ঠস্বর। চেষ্টা করেন সবার পাশে দাঁড়াতে। সব সময় সফল হন এমনটা নয় তবে বেশির ভাগ সময় তিনি সফল হোন। বিশেষকরে সাংবাদিকদের অধিকার আদায়ে তার অনবদ্য ভূমিকা সবার জানা। সেই শাবান মাহমুদ ভাইকে নিয়ে এক শ্রেনীর বিকৃতমনা মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ কিছু মানুষকে জড়িয়ে বির্তকিত করার অপপ্রয়াস চালিয়েছেন। বিষয়টি আমার মনে কষ্ট লেগেছে। আমি আবারো বলছি দোষ-গুনে মানুষ। এর অর্থ এই নয় সে চরিত্রহীন কিংবা দুনীতি পরায়ন। তার যদি কোন দোষ থাকে তাহলে সেটা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়া যেতে পারে। সে একটি সংগঠনের প্রতিনিধিত্ব করে প্রয়োজনে সে সংগঠনে নালিশ জানানো যেতে পারে কিন্তু আমরা কি করছি ? শাবান মাহমুদের চরিত্র হননে ব্যস্ত হয়ে পড়েছি। যারাই এই কাজটি করছেন তাদের প্রতি বিনীত অনুরোধ পেশার সুনামের স্বার্থে এসব বন্ধ করুন। কিছু বলতে হলে তাকে সরাসরি বলুন। এবার আসি আমার শ্রদ্ধার মানুষ, যে মানুষটাকে আমি প্রায় তিন যুগ যাবত চিনি। সাংবাদিকতায় প্রবেশ করেই আমি বাংলাবাজার পত্রিকায় সহকর্মী হিসেবে পাই পীর হাবিব ভাইকে। আমার কাছে সব সময় মনে হয়েছে শিশু মনের অধিকারী একজন মানুষ। অত্যন্ত আবেগতাড়িত একজন মানুষ। আবেগ এতাটাই বেশি যে মালিকদের সাথে বনিবনা না হবার কারণে অনেক প্রতিষ্ঠান ছেড়েছেন নিজ দায়িত্বে। আবেগের কারণে অনেক সহকর্মীর সাথে সর্ম্পক নষ্ট হয়েছে। সমাজের উচুঁতলার অনেক মানুষের চক্ষুশূল হয়েছেন। আর সেই মানুষটিকে নিয়ে একটি নোংরা ভিডিও তার নামে চালিয়ে ভাইরাল করা হয়েছে। ছবিটি দেখে একজন পাগলও প্রথম অবস্থায় বুঝবে এটি পীর হাবিব নয়। আমি বলতে চাই, পীর হাবিবের লেখা অনেকের ভালো নাই লাগতে পারে। মত প্রকাশের দ্বিমত থাকতেই পারে। তাই বলে একজন আপাদ মস্তক সাংবাদিকদের চরিত্র হনন করতে হবে। মত প্রকাশের জবাব তো অনেকভাবেই দেয়া যেতে পারে? মনে রাখতে হবে, পীর হাবিব কিংবা শাবান মাহমুদ একদিনে তৈরী হয়নি। আজকের এই পর্যায়ে আসতে তাদের বহু কষ্ট করতে হয়েছে। পরিবার-পরিজন থেকে বিচ্ছিন্ন থাকতে হয়েছে। অভাব-অনটনে সময় পার করেছেন। তাছাড়াও পীর হাবিব ও শাবান মাহমুদদের একটি পরিবার আছে, ছেলে-সন্তান আছে সে পরিবারে। পরিবারের সামনে তাদের হেয় কিংবা অপমান করে আপনারা কি অনেক মহৎ হচ্ছেন? আমার মনে হয় তা মোটেও হচ্ছেন না কারণ আপনারা যারা এই নোংরা কাজটি করছেন তাদের একটি পরিবার কিংবা সমাজ রয়েছে। আর সেই সমাজের কাছে আপনাদের পরিচয়টা কি হচ্ছে? এতগুলো কথা বলার একটাই কারণ আমার মনোকষ্ট। কাউকে ব্যক্তিগত আঘাত কিংবা অসম্মান করার জন্য কথাগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুলে ধরিনি। এটি আমার একান্ত ব্যক্তিগত মতামত। সবার মঙ্গল কামনা করি। মানুষকে ভালবাসতে শিখি-মহান রাব্বুমীনের নির্দেশিত পথে চলি নিশ্চয় তিনি সবকিছু দেখেন।


লেখক: ওয়াহিদ মিল্টন,বিশেষ প্রতিনিধি,বাংলা ইনসাইডার।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭