ইনসাইড থট

জয়তু শেখ হাসিনা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 11/10/2019


Thumbnail

আমি মনে করি ভারত বাংলাদেশ চুক্তিগুলোর জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নোবেল পুরস্কারের জন্য যোগ্য। তিনি এক মহামানব।তিনি শান্তির জন্য প্রতিবেশীর ভালো মন্দ দেখতে যেমন উপযুক্ত, তেমনি উপযুক্ত বাংলাদেশের স্বার্থ দেখার জন্য। তিনি সারা বিশ্বের মুসলিমদের স্বার্থ দেখার যোগ্য। আর ভারত বাংলাদেশ চুক্তিগুলো তারই উৎকৃষ্ট প্রতিফলন। ভারত- বাংলাদেশ চুক্তি গুলো আমাদের পন্ডিতরা না বুঝে আলাপ জুড়ে দিয়েছেন। আর বুয়েট এর কতিপয় বুদ্ধি প্রতিবন্ধী আবরারের উপর পশুর মতো ঝাঁপিয়ে পড়েছে।  ভারত বাংলাদেশ চুক্তির অন্যতম একটি দিক হলো মানবতা। সারা বিশ্ব যেখানে উদ্বিগ্ন ভারতের কাশ্মীর ও মুসলিম নিপীড়ন নীতির নানান বিষয় দেখে, সেখানে বাংলাদেশ যেটা করেছে তার মূল্য অপরিসীম ও অসাধারণ।  

ভারতের জনগণ এটুকু বুঝবে বাংলাদেশ মানবতাকে মূল্য দেয়। তাঁরা দিতে পারে। তাঁদের এই দেয়ার মন বাংলাদেশ অনেক উচ্চ পর্যায়ে নিয়ে গেছে। বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের নাগরিকরা বিশ্ব মানব হওয়ার জন্য নানান ভাবে যোগ্য। তাঁরা  কেবল মুসলমান নয় তারা ইসলামকে  একটি মানবতার ধর্ম হিসাবে বিবেচনা করে।  বাংলার মানুষ কেবল পশু কোরবানী করে না , তাঁরা তাঁদের স্বার্থকে মানবতার জন্য কোরবানি করতে পারে যে কোরবানি ভারত কাশ্মীরে বেলায় করতে পারেনি। 

বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ এবার বলতে পারবে কাশ্মীরিদের ন্যায্য স্বাধীনতা দিতে হবে। তাঁদেরকে ওই ভাবে দিনের পর দিন বন্দি করে রাখা যাবে না। বাংলাদেশ এবার বলতে পারবে অবিলম্বে তিস্তা নদীর পানি দিতে হবে। ভালোবাসাহীন ভারতের জনগণের প্রতি শেখ হাসিনার ভালোবাসা বিশ্ব নেতৃবৃন্দকে বিমোহিত করেছে। আশা করি বাংলাদেশের বুদ্ধিপ্রতিবন্ধীরা বুঝতে পারবেন।

মুসলিম উম্মাহর জন্য এই গ্যাস রফতানি গুরুত্বপূর্ণ। গ্যাস আসবে কাতার থেকে। আর আমাদের লক্ষ লক্ষ শ্রমিক কাতারে কাজ করে। অনেকে মায়ানমার থেকে গ্যাস আমদানির কথা বলেন। কিন্তু ওই টাকা আসবে আরব কিংবা মালয়েশিয়া থেকে। মায়ানমার থেকে গ্যাস আসলে কেবল গ্যাস পাবো আর কাতার থেকে গ্যাস আসলে আরো বেশি কাজ করবার অনুমতি পাবে কাতারে। তাহলে কোনটি আমাদের করণীয়? কেন মমতা ব্যানার্জি তিস্তা চুক্তি করতে চান না সেটা কি আমরা বুঝি? তিনি যদি ওই চুক্তি করেন তাহলে সেখানে যে শক্তির উন্মেষ হবে সে শক্তি কি বাংলাদেশের জন্য ভালো? মমতা বলেছেন তিনি বাঙালিদের স্বার্থ সংরক্ষণ করবেন, তাহলে বুঝতে হবে কেন তিস্তা চুক্তির জন্য অপেক্ষা করা উচিত। এসব ভালো মন্দ দিক গুলি না বুঝে কেবল কথার বাহার ছড়ালে চলে না। আমাদেরকে পায়রা বন্দরের সক্ষমতা পূর্ণাঙ্গভাবে কাজে লাগাতে হবে। আর সেজন্য প্রয়োজন ভারত, নেপাল ও ভুটানকে ট্রানজিট দেয়া। যদি পায়রা বন্দরকে কাজে না লাগাতে পারি তাহলে শ্রীলংকার মতো চায়নায় পায়রা বন্দর নিয়ে নিতে পারে? আমরাকি সেটা চাই? আমরা সেটা চাই না। সুতরাং, জয়তু শেখ হাসিনা।

ফরিদ আহমেদ

প্রফেসর, দর্শন বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭