ইনসাইড থট

কুৎসা রটনাকারীরা এখনো কেন ধরাছোঁয়ার বাইরে?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 13/10/2019


Thumbnail

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিত্যদিনই মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির বিরুদ্ধে কোন না কোন কুৎসা রটনা করে বিভিন্ন লেখালেখী হচ্ছে দেশের স্বনামধন্য সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে। এমনকি চরিত্রহননের মত বিষয়গুলোও ঘটানো হচ্ছে। গত কয়েকদিন যাবত দেশের প্রথিতযশা সাংবাদিকদের নিয়ে যা-ইচ্ছে তাই সংবাদ বিভিন্ন ভূয়া অনলাইন পোর্টালে প্রকাশ করে তা ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে বিভিন্ন মাধ্যমে। আর এ কাজটি সুচারুভাবে করছে মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধ একটি শক্তি। বিশেষকরে মার্কিন যুক্তরাষ্টে এবং যুক্তরাজ্যে যারা আশ্রিত জামাত-বিএনপি ঘরানার তারাই কাজটি করছেন। বিদেশে বসে যারা কাজটি করছেন এদেশে তাদের দোষররা সেটিকে সব জায়গায় ছড়িয়ে দিচ্ছেন। তাদের উদ্দেশ্য একটাই মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিকে কলংকিত করা কিংবা বির্তকিত করা। পাঠকমহল আপনারা নিশ্চয় দেখেছেন, প্রখাত সাংবাদিক মনজুরুল আহসান বুলবুল, নাঈমুল ইসলাম খান, ইকবাল সোবহান চৌধুরী, পীর হাবিবুর রহমান, মুন্নী সাহা, প্রভাষ আমিন এবং সাংবাদিক নেতা শাবান মাহমুদ সর্ম্পকে নানা মুখরোচক কল্পকাহিনী এমনটি তাদের বিভিন্ন চারিত্রিক বিষয়গুলো অত্যন্ত নোংরাভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুলে ধরা হচ্ছে। শুধু তুলে ধরেই তারা ক্ষান্ত হচ্ছেন না। এসব বিষয়কে তারা ইস্যু করে এমনকি তাদের মিডিয়াতে মুখরোচক কল্পকাহিনী লিখছেন। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষ শক্তি এমনকি পেশাদার সাংবাদিকেরা এর জোরালো প্রতিবাদ জানাচ্ছে। বিভিন্ন মহল থেকেও এর বিরুদ্ধে জোরালো প্রতিবাদ হচ্ছে। কিন্তু এখানে ব্যতিক্রম রাষ্ট্রযন্ত্র। মিথ্যা প্রপাগান্ডা কিংবা ভূয়া সংবাদের বিষয়ে সাংবাদিক সমাজ জোরালো প্রতিবাদ করলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিয়ন্ত্রনকারী প্রতিষ্ঠান বিটিআরসি এখানে নিশ্চুপ! আর কি কারণে তারা জোরালো কোন ভূমিকা রাখছেনা এটি নিয়েও বোদ্ধা মহল বিস্মিত!

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মন্তব্য করার কারণে যদি বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজউদ্দিন আহমেদকে গ্রেফতার করা যায় তাহলে দেশবরেণ্য সাংবাদিক ও বুদ্ধিজীবিদের নিয়ে প্রতিনিয়ত নোংরা, অশ্লীল, কুরুচিপূর্ণ সংবাদ লেখা হচ্ছে তা প্রতিরোধে কেন উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছেনা ঐসব দুস্কৃকারীদের বিরুদ্ধে। তাহলে তারা কি আইনের উদ্ধে? আমাদের দাবী থাকবে দিনের পর দিন যারা কুৎসারটনা করে ধরাছোঁয়ার বাইরে এখনো তাদের ব্যাপারে তদন্তপূর্বক যথাযথ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করা হোক। বিশেষকরে বিটিআরসিকে এব্যাপারে উদ্যোগী ভূমিকা রাখার আহ্বান জানাচ্ছি।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭