ইনসাইড ট্রেড

গাদ্দাফিকে হত্যায় ফ্রান্সের ষড়যন্ত্র ফাঁস!

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 21/10/2019


Thumbnail

লিবিয়ার সাবেক একনায়ক মুয়াম্মার গাদ্দাফিকে হত্যার ঘটনায় হাত ছিল ফ্রান্সের। ২০১১ সালে সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের কাছে আসা তিন হাজার গোপন ইমেইল থেকে এ বিষয়টি ফাঁস হয়ে গেছে। ওই তিন হাজার ইমেইলের সারসংক্ষেপ হচ্ছে- আফ্রিকা মহাদেশের ওপর নিজের আধিপত্য বজায় রাখা এবং লিবিয়ার তেলসম্পদের সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহার করার লক্ষ্যে ফ্রান্স গাদ্দাফি সরকারের পতন ঘটানোর জন্য ন্যাটো জোটের সামরিক শক্তিকে ব্যবহার করেছে।

২০১১ সালে মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে গণঅভ্যুত্থান হয় এবং এর জের ধরে কয়েকটি দেশের সরকারের পতন ঘটে। লিবিয়া তার মধ্যে অন্যতম। হিলারি ক্লিনটনের কাছে পাঠানো ইমেইলগুলোতে বলা হয়েছে, ফ্রান্সের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট নিকোলাস সারকোজি পাঁচটি লক্ষ্য সামনে রেখে ন্যাটোর মাধ্যমে লিবিয়ায় হামলা চালিয়েছিলেন। এর মধ্যে রয়েছে- লিবিয়ার তেলসম্পদের ওপর আধিপত্য প্রতিষ্ঠা, উত্তর আফ্রিকার সাবেক উপনিবেশগুলোতে ফ্রান্সের প্রভাব ধরে রাখা, সারকোজির আঞ্চলিক সুনাম বাড়ানো, ফ্রান্সের সামরিক শক্তিমত্তা প্রদর্শন এবং পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোতে গাদ্দাফির প্রভাব ক্ষুণ্ন করা।

উত্তর আফ্রিকার দেশ লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় শহর বেনগাজি থেকে গাদ্দাফি সরকারের বিরুদ্ধে সশস্ত্র আন্দোলন শুরু হয়। এ সময় গাদ্দাফি ওই আন্দোলন দমন করতে বেনগাজির দিকে যে বিশাল সামরিক বহর পাঠান, বিমান হামলা চালিয়ে সে বহরকে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেয় ন্যাটো বাহিনী। ফলে গাদ্দাফি সরকারের ওপর যে আঘাত আসে তা সামলে ওঠা ত্রিপোলির পক্ষে সম্ভব হয়নি এবং এর জের ধরে গাদ্দাফির পতন ঘটে এবং ‘বিক্ষুব্ধ জনতা’র হাতে ধরা পড়ে নিহত হন তিনি। দৃশ্যত গণঅভ্যুত্থানে গাদ্দাফি সরকারের পতন হলেও এ ঘটনায় মূল অনুঘটকের কাজটি ন্যাটো জোট করে দেয়, যে জোটের নামে মূল হামলাটি চালিয়েছিল ফ্রান্সের সেনাবাহিনী।

সূত্রঃ পার্সটুডে



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭