ইনসাইড গ্রাউন্ড

চ্যাম্পিয়নস ট্রফি নাকি এশিয়া কাপ?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 13/06/2017


Thumbnail

 

ক্রিকেটের সর্বোচ্চ আসর বিশ্বকাপ। আর এই বিশ্বকাপের পর দ্বিতীয় মর্যাদাপূর্ণ টুর্নামেন্ট চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। এই টুর্নামেন্ট ঘিরে বাংলাদেশিদের আকর্ষণ অন্য যেকোনো বারের তুলনায় বেশি। হবে নাই বা কেন? স্বয়ং বাংলাদেশই যে এখনো বুক চিতিয়ে লড়াই করে যাচ্ছে। প্রথমবারের মতো খেলতে যাচ্ছে আইসিসির বড় কোনো টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে।

 

আইসিসির টুর্নামেন্টগুলোতে বরাবরই এশিয়ার দলগুলোর প্রভাব থাকে। কেননা ক্রিকেটের পরাশক্তিগুলোর মধ্যে ভারত, পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কা অন্যতম। এই তিনটি দলই সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। ভারত দুটি বিশ্বকাপ, দুটি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির পাশাপাশি ছয়টি এশিয়া কাপ জিতেছে। শ্রীলঙ্কা একটি বিশ্বকাপ, একটি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ও তিনটি এশিয়া কাপ শিরোপা জিতেছে। পাকিস্তান একটি বিশ্বকাপ ও দুটি এশিয়া কাপের শিরোপা জয়ী। আর বাংলাদেশ বিশ্ব ক্রিকেটের উঠতি পরাশক্তি। মোট কথা অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় বিশ্ব ক্রিকেটে এশীয়রাই বেশি প্রধান্য বিস্তার করে চলেছে।

 

২০০৭ সালের বিশ্বকাপ থেকে বাংলাদেশও উন্নতির সিঁড়ি বেয়ে উপরে ওঠা শুরু করে। এর ধারাবাহিকতায় ২০১১ ও ২০১৫ বিশ্বকাপ এবং চলমান চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বিশ্ব দেখছে তাদের পারফমেন্সের উন্নতি। বাংলাদেশ এখন আর আগের মতো ছোট দল নয়। কেননা টাইগাররা এখন তাদের খেলা দিয়েই সবার সমীহ আদায় করে নিচ্ছে। বিশ্ব ক্রিকেটের বড় বড় সাবেক তারকারা প্রশংসার জোয়ারে ভাসাচ্ছে টাইগারদের, তাই আর নতুন করে প্রমাণের কিছু নেই।

 

চ্যাম্পিয়নস ট্রফির এবারের আসর বসেছে ইংল্যান্ডে। বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসির ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ আট দল অংশগ্রহণ করেছে এই টুর্নামেন্টে। চলতি আসরের গ্রুপ পর্বের সব খেলা শেষ। চারটি দল ইতিমধ্যে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে ফেলেছে। ইংল্যান্ড, বাংলাদেশ ও ভারতের পর সর্বশেষ দল হিসেবে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে পাকিস্তান। আর সেই সঙ্গে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সেমিফাইনাল খেলছে এশিয়ার ৩টি দল। গ্রুপ অব ডেথ থেকে নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়াকে পেছনে ফেলে সেমিতে উঠেছে বাংলাদেশ। অন্যদিকে ওয়ানডে র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ দল দক্ষিণ আফ্রিকাও সেমিতে উঠতে ব্যর্থ হয়েছে।

 

২০১১ সালের বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলেছিল এশিয়ার তিনটি দল। সেই বার ভারত, পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কা খেলেছিল সেমিতে। তবে ওই বিশ্বকাপের আয়োজক ছিল বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলঙ্কা। নিজেদের হোম কন্ডিশনে খেলেছিল তাই হয়তো একটু বেশি আত্মবিশ্বাসী ছিল, যা তাদেরকে নিয়ে গিয়েছিল সামনের দিকে। কিন্তু এবার আর চেনা কন্ডিশনে নয়। এই চ্যাম্পিয়নস ট্রফি অনুষ্ঠিত হচ্ছে ইংল্যান্ডে। সম্পূর্ণ আলাদা কন্ডিশনে এশীয়রা ধরে রেখেছে তাদের আধিপত্য। সেমিফাইনাল নিশ্চিত করা এশিয়ার তিন দল বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তান। আর সেমিতে উঠতে ব্যর্থ হয়েছে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কার মতো শক্তিশালী দল। ২০১৩ সালে অনুষ্ঠিত চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সর্বশেষ আসরে সেমিফাইনালে খেলেছিল এশিয়ার দুইটি দল।

 

অন্যদিকে, এশিয়া কাপ হলো একটি আঞ্চলিক ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। এশিয়ান ক্রিকেট কউন্সিল এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করে। এশিয়া কাপের নিয়মিত দল চারটি। বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। এছাড়া আইসিসির সহযোগী এশিয়ার বিভিন্ন দেশকে মাঝে মাঝে এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহনের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয় । ২০১৬ সালে সর্বশেষ টি২০ ফরম্যাটে এশিয়া কাপ অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে এই চার দল ছাড়াও অংশগ্রহণ করেছিল সংযুক্ত আরব আমিরাত। এর আগে ২০১৪ সালে ওয়ানডে ফরম্যাটে অনুষ্ঠিত এশিয়া কাপে এই চার দল ছাড়াও অংশ নিয়েছিল আফগানিস্তান।

 

এবারের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিকে অনেকটায় এশিয়া কাপ বানিয়ে ফেলেছে এশিয়ান দলগুলো। সেমিফাইনালে উপমহাদেশের তিন দলের সঙ্গে আছে স্বাগতিক ইংল্যান্ড। সেমিফাইনালে পৌঁছানো তিনটি দলই যখন এশিয়ার তখন একথা বলাই যায়- চ্যাম্পিয়নস ট্রফি নাকি এশিয়া কাপ?

 

 

বাংলা ইনসাইডার/আরএ 



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭