লিভিং ইনসাইড

সহকর্মীর প্রতি দুর্বলতা, কাটিয়ে উঠতে চান?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 03/12/2019


Thumbnail

দীর্ঘ ৮-১০ ঘণ্টা একই অফিসে কাজ করা, একসঙ্গে অনেকটা সময় কাটানো। সেই কাছের কোনো সহকর্মীকে কাজের ফাকে ভালো লেগে যেতেই পারে। এতে বিব্রতবোধ করার কিছুই নেই, লজ্জা বা দ্বিধারও কিছু নেই। ভালো লাগার ভেতর খারাপ কিছু নেই। তবে আস্তে আস্তে ভালোলাগা যখন দুর্বলতা সৃষ্টি করে সেটা খারাপ হতে পারে। সেটা সবার জন্যেই। তাই অফিস সহকর্মীর প্রতি দূর্বলতা কাটাতে কিছু পন্থা অবলম্বন করা যায়।

সহকর্মীর সঙ্গে সম্পর্ক হলে কি হতে পারে সেগুলোই আগে দেখে নিন-

১. সহকর্মীর সঙ্গে প্রেম হলে ব্যক্তিজীবনেও অনেক সময় হয়ে ওঠে অফিস। সারাদিন চাকরির খাটুনির পর দিন শেষে যখন প্রেমিকের কাছ থেকেও শুনতে হয় সেই একই অফিসের গল্প- তখন জীবনটা পানসে মনে হতেই পারে। বিবাহিতদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা আরও অনেক বেশি। স্বামী বা স্ত্রী সহকর্মী হলে অনেক সময় অফিসের কাজ বাড়িতেই নিয়ে আসতে পারেন, যা সংসারের অশান্তির জন্য যথেষ্ঠ।

২. সহকর্মীর সঙ্গে প্রেম হওয়ার আরেকটি বড় সমস্যা হলো কোনো স্বাধীন সত্ত্বা না থাকা। অফিসের আট ঘন্টা যার সঙ্গে কাটাচ্ছেন, তার সঙ্গে দিনের বাকিটা সময়ও যদি কাটাতে হয়, তাহলে নিজের জন্য একান্ত মুহূর্ত বের করাটা হয়ে যায় খুবই কষ্টকর। কাজে বা অবসরে- ওই একজনের সঙ্গেই যদি কাটাতে হয়, অনেক সময় সেটা হয়ে ওঠে বিরক্তিকরও।

৩. একই অবস্থানে থাকা সহকর্মীদের মধ্যে প্রেম হলে বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই ইগোর সমস্যা দেখা যায়। সমান যোগ্যতা ও অবস্থানের একজনের বেতন অন্যজনের চেয়ে কম হলে সে ঈর্ষান্বিত হবেই। আর সেই ঈর্ষা ক্ষতিগ্রস্ত করে প্রেমের সম্পর্ক করে।

৪. সবচেয়ে বড় সমস্যাটা তৈরি হয় অফিসের অন্য সহকর্মীদের জন্য। অনেকেই বিষয়টিকে ভালো চোখে তো দেখেনই না, বরঞ্চ প্রেমিক জুটির প্রতি পোষণ করেন বিদ্বেষমূলক মনোভাব। এই ধরণের সমস্যা কাজের পরিবেশকেও বিষিয়ে তোলে। এই ধরণের পরিস্থিতি এড়াতেই বেশিরভাগ অফিসে সহকর্মীদের মধ্যে প্রেম বা বিয়ের ব্যাপারে রয়েছে নিষেধাজ্ঞা।

তাই সহকর্মীর প্রতি দুর্বলতা হয়ে গেলে আপনাকেই নিজের আবেগ অনুভূতিকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। কীভাবে করবেন? দেখে নিন-

অনুভূতিগুলোকে প্রশ্রয় না দেওয়া

কাউকে পছন্দ করা পুরোপুরি ঠিক আছে, বিশেষত ওয়ার্কস্পেসের মতো একটি সেটআপের কারণে আপনি প্রতিদিন ভিত্তিতে একে অপরের সাথে দেখা করছেন এবং একসাথে দীর্ঘ সময় ব্যয় করছেন। তবে কাউকে পছন্দ করার অর্থ এই নয় যে আপনার অনুভূতিগুলোকে প্রশ্রয় দেবেন। আপনি কেউকে পছন্দ করলে তাকেও আপনাকে পছন্দ করতে হবে তা কিন্তু নয়। তাই যতটুকু পারেন নিজের অনুভূতিগুলোকে প্রশ্রয় না দেওয়ায় ভালো।

বন্ধুত্ব করুন

আপনার অফিস ক্রাশের সাথে বন্ধুত্ব করতে পারেন। অনেক সময় বন্ধুত্ব করার ফলে অনুভূতিগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করা করা সহজ হতে পারে। আপনি চাইলে বন্ধুত্বের সম্পর্কের মাধ্যমে নিজের অনুভূতিগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারেন।

সহকর্মীদের শেয়ার করবেন না

আপনার সহকর্মীদের সঙ্গে আপনার অফিস ক্রাশ সম্পর্কে কিছুই শেয়ার করবেন না। এতে করে পুরো অফিসে আপনি হাসির পাত্র হতে পারেন। তাই সহকর্মীদের কাছে এইসব ব্যাপারগুলো লুকিয়ে রাখাই শ্রেয়।

একা না গিয়ে গ্রুপে ঘুরতে যান

আপনার অফিস ক্রাশের সাথে একা কোথাও ঘুরতে গেলে হয়তো আপনি আপনার অনুভূতিগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারবেন না। তাই একা না যাওয়াই ভালো। সবসময় গ্রুপের সাথে ঘুরতে যাবেন, এতে করে আপনার অনুভূতি বিরুদ্ধে লড়াই করা সম্ভব হবে।

অপরাধবোধ থেকে দূরে থাকুন

আপনার অফিসে কলিগের প্রতি আপনি কিছু ফিল করছেন তা নিয়ে যদি আপনি অপরাধবোধ করে থাকেন তাহলে তা অবশ্যই দূর করুন। একসাথে কাজ করতে গিয়ে কাওকে পছন্দ হতেই পারে। এতে অপরাধবোধ করার কিছুই নেই।

কফি কিংবা লাঞ্চ ইগনোর করুন

অফিস ক্রাশের সঙ্গে একা কোথাও লাঞ্চ কিংবা কফি খেতে যাবেন না। যদি কোথাও যেতে হয় তাহলে অবশ্যই গ্রুপের সাথে যাবেন। এতে করে অনুভুতিগুলো কন্ট্রোল করা সম্ভব হবে।

 



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭