লিভিং ইনসাইড

যে অভ্যাস সুখ কেড়ে নেয়

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 05/12/2019


Thumbnail

আপনার জীবনের প্রথম চাওয়া কি? নিশ্চয়ই চাইবেন সুখে শান্তিতে থাকতে। আমাদের চারপাশে কিছু মানুষ আছেন যারা সবসময় সুখে থাকে। যেকোনো পরিস্থিতিতে তারা সুখে থাকতে পারে বা সুখে থাকার চেষ্টা করতে পারে। আবার অপরদিকে কিছু মানুষ আছেন যারা সবসময় সবকিছুতে খারাপ থাকে। সুখ তাঁদের কাছে সবসময় অধরাই থাকে। এই মানুষগুলো অন্যের সুখ দেখে নিজেকে দুর্ভাগ্যবান মনে করেন, অন্যকে হিংসা করেন।

কিন্তু আপনি জানেন কি আপনার অসুখী হবার পিছনে আপনি নিজে দায়ী? আপনার কিছু অভ্যাসের কারণে মূলত আপনি সুখী হতে পারছেন না। ছেড়ে দিন এই অভ্যাসগুলো আর দেখুন আপনার চেয়ে সুখী মানুষ পৃথিবীতে আর একটিও নেই। এই অভ্যাসগুলো দূরে রাখুন, চেষ্টা করে দেখুন তো ভালো থাকা যায় কিনা-

সবসময়ে সেরা হওয়ার আশা করা

প্রতিটি মানুষের সীমাবদ্ধতা আছে। আপনি তার ব্যতিক্রম নন। আপনার সীমাবদ্ধতাগুলো মেনে নিতে শিখুন। জীবনের দৌড়ে সব সময় সেরা হওয়া যায় না। সবসময়ে নিজেকে প্রথম সারিতে দেখতে চাওয়া জীবনের সুখী হওয়া অনেকাংশ কমিয়ে দেয়।

অন্যের সঙ্গে তুলনা করা

নিজেকে অন্যের সঙ্গে তুলনা করা বন্ধ করুন। প্রতিটি মানুষ আলাদা, আলাদা তাদের জীবনযাত্রা, আলাদা তাদের ভাবনা। তাই অন্যের সঙ্গে নিজেকে তুলনা করে সময় নষ্ট করবেন না। হয়তো আপনার চেয়ে তারা অনেককিছু পেয়েছে জীবনে, কিন্তু একবার ভেবে দেখুন আপনি আরও অনেকে থেকে অনেক কিছু পেয়েছেন। তাই এসব না ভেবে জীবনকে উপভোগ করুন।

নেতিবাচক মানুষদের কাছে ঘেঁষে থাকা

আমাদের সবার চারপাশে এমন কিছু মানুষ আছে যারা সব সময় নেতিবাচক কথা বলে থাকেন। তাদের কাছে থেকে সবসময় দূরে থাকবেন।

সবসময় সবাইকে ‘হ্যাঁ’ বলে দেওয়া

অন্যকে সাহায্য করা খুব ভাল একটি অভ্যাস। কিন্তু সবসময় এই ভাল কাজ করা থেকে বিরত থাকুন। কারণ সবসময়ই আপনি এটা করতে থাকলে অন্যরা আপনার সুযোগ নেবে। কখনও কখনও না বলতে হয়। তাতে যদি কারোর সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হয় তবে বুঝে নিবেন সে সত্যিকারের আপন কেউ ছিল না।

অন্যকে ঘৃণা করা

অন্যকে ঘৃণা করা আজই বন্ধ করুন। কেউ যদি আপনার থেকে ভালো থাকে তাকে নিয়ে না ভেবে নিজেকে নিয়ে ভাবুন। তাকে ঘৃণা না করে নিজের ভুলগুলো শোধরানো চেষ্টা করুন। দেখবেন জীবন অনেক সুন্দর হয়ে গেছে।

সর্ব অবস্থায় হতাশ থাকা

সবসময় আপনার পরিকল্পনাগুলো সফল হবে তা ভাবা একদম ঠিক নয়। কোন কিছুতে ব্যর্থ হলে হতাশ হবেন না। হতাশ না হয়ে নতুন করে আবার শুরু করুন দেখবেন সাফাল্য আপনার কাছে চলে এসেছে।

খারাপ অভ্যাসের সঙ্গে থাকা

আমাদের অনেকের ধূমপান, মদপানের অভ্যাস আছে। এই অভ্যাসগুলোর কারণে ক্লান্তি, অবসাদ, হতাশা দেখা দেয়। এই অভ্যাসগুলো ত্যাগ করুন। এটি আপনার স্বাস্থ্যের জন্য যেমন উপকারী তেমনি মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ভালো।

মিথ্যাকে সার্বক্ষণিক সঙ্গী করে নেওয়া

কথায় কথায় মিথ্যা বলা থেকে বিরত থাকুন। মিথ্যা কোনো সমস্যার সমধান হতে পারে না। বরং মিথ্যা কথা বলার কারণে শরীরে নানা নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া হয় যা আপনার অজান্তেই মনকে অশান্ত করে তোলে। আর যার প্রভাব আপনার জীবনে পড়ে।

অতীতকে নিজের বর্তমানে টেনে আনা

এই বিষয়টি একটি সাইকেলের মতো। আপনি যদি প্রতিবারই আপনার অতীতটাকে টেনে এনে বর্তমানে বসিয়ে ফেলেন তাহলে মন থেকে কখনো কোথাও শান্তি খুঁজে পাবেন না। তাই অতীতটাকে অতীতেই থাকতে দিন। বর্তমানের সঙ্গে মেলাবেন না।

সবসময় খারাপ চিন্তাটি আগে করা

আপনি যদি ইতিবাচক বা ভালোটা চিন্তা না করতে পারেন তাহলে আপনার সঙ্গে ভালো হবে না। এটি আপনারই বাজে অভ্যাস যে আপনি প্রত্যেকটি ব্যাপারে প্রথমে খারাপটাই ভেবে থাকেন। একটু ভালো দিক ভাবার চেষ্টা করুন। খুঁজে পাবেন মনের শান্তি।

অন্য কারো মধ্যে পরিবর্তন আনতে চাওয়া

যদি আপনার মনে হতে থাকে অন্য মানুষটির মধ্যে পরিবর্তন প্রয়োজন তাহলে তা তার এবং সময়ের উপর ছেড়ে দিন। কারণ আপনি পরিবর্তন আনতে চাইলেই তা পারবেন না এবং তা না পারলে আপনার অশান্তি লাগবে। এতে করে বিষয়টি আপনার মনের শান্তি কেড়ে নেবে।

কিছু না থাকার অভাববোধ করা

নিজেকে অযথা বুঝ দিয়ে অশান্তি ডেকে আনাটা অনেক খারাপ একটি অভ্যাস। মানুষের চাহিদার কোনো সীমা নেই। একটি বস্তুর কারণে নিজেকে অসুখি ভাবাটা এক ধরনের রোগের পর্যায়ে পড়ে। এই ধরনের চিন্তা বাদ দিন।

বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ

 

 



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭