ইনসাইড বাংলাদেশ

হাকিমপুরী জর্দা বিক্রি বন্ধের নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 09/12/2019


Thumbnail

হাকিমপুরী জর্দায় স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর কয়েকটি উপাদান পাওয়া যাওয়ায় পন্যটি বাজার থেকে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ (বিএফএসএ) করা একটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার আদালত এই নির্দেশ দেয়।

বিএফএসএ’র হয়ে মামলা করা বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের পরিদর্শক কামরুল হাসান বলেন, সম্প্রতি নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ দুই ধাপে বাজার থেকে বিভিন্ন রকম জর্দা সংগ্রহ করে ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করে স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান পায়। এর পরেই কর্তৃপক্ষ এই জর্দার বিরুদ্ধে তৎপর হয়।

“হাকিমপুরী জর্দার কারখানা থেকে নমুনা সংগ্রহ করে গত ৭ নভেম্বর তা আনবিক শক্তি কমিশনে পরীক্ষা করা হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কথা হচ্ছে- সেখানে মারাত্মক পরিমাণে লেড, ক্রোমিয়াম, ক্যাডমিয়াম পাওয়া গেছে। এগুলো মানবস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এর ফলে কিডনির সমস্যা, মুখ, ফুসফুস ও গলায় ক্যান্সার হতে পারে। সেই বিবেচনায় বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য আইনের ২৩, ২৪ ও ৩১ ধারায় মামলা দায়ের করি।”

কামরুল বলেন, “নিরাপদ খাদ্য আদালতের বিচারক মেহেদী পাভেল সুইট মামলাটি গ্রহণ করে আগামী ৩১ ডিসেম্বর পরবর্তী শুনানির দিন ঠিক করেন। পাশাপাশি এই সময়ের মধ্যে হাকিমপুরী জর্দার সংশ্লিষ্ট লটের সব মালামাল বাজার থেকে সরাতে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্ট কোম্পানিকে নির্দেশ দেন।”

জানা গেছে, প্রায় দুই মাস আগে বাজার থেকে ২২ ধরনের জর্দা, খয়ের ও গুলের নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা করে বিএফএসএ, যেখানে ক্ষতিকর মাত্রায় সীসা, ক্যাডমিয়াম ও ক্রোমিয়ামের মত ভারী ধাতুর উপস্থিতি পাওয়া যায়। যদিও এ ধরনের ভারী ধাতু এই পণ্যগুলোতে থাকার কথা নয়।

গত ৩১ অক্টোবর এক সংবাদ সম্মেলন করে বিএফএসএ জানায়, ২২টি নমুনায় ল্যাব পরীক্ষায় প্রতি কিলোগ্রামে দশমিক ২ মিলিগ্রাম থেকে ১১ দশমিক ২ মিলিগ্রাম পর্যন্ত ক্ষতিকর বিভিন্ন উপাদানের উপস্থিতি পাওয়া যায়। যেখানে বাজারের জনপ্রিয় হাকিমপুরী জর্দায় প্রতি কেজিতে দশমিক ২৬ মিলিগ্রাম সীসা, দশমিক ৯৫ মিলিগ্রাম ক্যাডমিয়াম এবং ১ দশমিক ৬৫ মিলিগ্রাম ক্রোমিয়াম পাওয়া যায়।

তবে হামিকপুরী জর্দায় কোন ক্ষতিকর কেমিক্যাল নেই দাবি করেন এর স্বত্ত্বাধীকারী হাজি মো. কাউছ মিয়া।

উল্লেখ্য, প্রথমবার পরীক্ষা করে হাকিমপুরীসহ মোট ১৩ প্রতিষ্ঠানের জর্দা, ছয় প্রতিষ্ঠানের খয়ের ও তিন প্রতিষ্ঠানের গুলের নমুনা পরীক্ষা করে ক্ষতিকর এসব ভারী ধাতু পায় নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। পরীক্ষা করা পণ্যগুলোর মধ্যে ছিল গিলা খয়ের, তীর মার্কা খয়ের, মালাই খয়ের, অন্তরা খয়ের, কালো পাথর বাল্ক খয়ের, সাদা বাল্ক খয়ের, ঈগল গুল, মোস্তফা গুল, শাহজাদা গুল, রতন জর্দা, হাকিমপুরী জর্দা, গুরুদেব জর্দা, শাহজাদী জর্দা (নির্মল), মহিউদ্দিন জর্দা, ঢাকা জর্দা, মকিমপুর জর্দা, শাহি হীরা জর্দা, জাফরানী জর্দা, শাহজাদী জর্দা (আলম), বউ শাহজাদী জর্দা এবং চাঁদপুরী জর্দা।

বাংলা ইনসাইডার/এসএস



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭