ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

এশিয়ার শীর্ষ ৫ ক্ষমতাধর নারী

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 14/12/2019


Thumbnail

বিশ্বখ্যাত সাময়িকী ফোর্বস সম্প্রতি ক্ষমতাধর ১০০ নারীর তালিকা প্রকাশ করেছে। এই তালিকায় আধিপত্য ধরে রেখেছেন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের নারীরা। সাম্প্রতিক বছরগুলোর মতো এবারও ক্ষমতাধর নারীদের তালিকার প্রথম স্থানে আছেন জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মের্কেল। দ্বিতীয় স্থানে ফ্রেঞ্চ রাজনীতিক ও ইউরোপিয়ান সেন্ট্রাল ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন ল্যাগার্দে। আর তৃতীয় স্থানে আছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। এশিয়া থেকে এই তালিকায় শীর্ষ ৩০ এ জায়গা করে নিতে পেরেছেন মাত্র ৩ জন। এদের মধ্যে অন্যতম হলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শীর্ষ পাঁচ এশীয় নারীর মধ্যে তিনজনই রাজনীতিবিদ। বাকি দুজন আছেন বিশ্বখ্যাত দুটি কোম্পানির উচ্চপদে। ফোর্বসের তালিকায় স্থান করে নেওয়া শীর্ষ পাঁচ এশীয় নারীকে নিয়েই এই প্রতিবেদন।

৫. সাই ইং ওয়েন

তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং ওয়েন আছেন ক্ষমতাধর নারীদের তালিকার ৪১ তম স্থানে। এশীয় নারীদের মধ্যে তার অবস্থান পাঁচে। চীনের নাকের ডগায় বসে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করে তিনি তার দৃঢ় নেতৃত্বের পরিচয় দিয়েছেন। সম্প্রতি স্থানীয় নির্বাচনে তার দল হেরে গেলেও জনগণের মধ্যে তার জনপ্রিয়তা ব্যাপক। ২০২০ সালের সাধারণ নির্বাচনেও জনগণ তাকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত করবে বলে ধারনা করা হচ্ছে।

৪. নির্মলা সীতারমন

ভারতের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন ফোর্বসের মতে বিশ্বের ৩৪ তম ক্ষমতাধর নারী। এশীয় নারীদের মধ্যে তার অবস্থান চার। তিনি ২০১২ সাল থেকে ভারতীয় সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভার সদস্য। ইন্দিরা গান্ধীর পরে ভারতের দ্বিতীয় নারী প্রতিরক্ষা মন্ত্রী এবং দ্বিতীয় মহিলা অর্থমন্ত্রী নির্মলা। পরিচ্ছন্ন ইমেজের রাজনীতিবিদ হিসেবে তার সুনাম রয়েছে। তবে বর্তমানে ভারতের অর্থনীতির নিম্নগতির কারণে নির্মলা সমালোচনার মুখে রয়েছেন।

৩. শেখ হাসিনা 

ফোর্বসের তালিকায় এশিয়ার নারীদের মধ্যে তৃতীয় অবস্থানে আছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি ইতিহাসে দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকা নারী প্রধানমন্ত্রী। এখন চতুর্থ মেয়াদে ক্ষমতায় আছেন তিনি। ফোর্বস ম্যাগাজিনে শেখ হাসিনা প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, তিনি খাদ্য নিরাপত্তা, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা বাড়ানোর মতো ইস্যুতে জোর দিচ্ছেন এবং নিজ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।

গত দশ বছর দেশ পরিচালনায় থেকে তিনি বাংলাদেশকে বিশ্বের রোল মডেলে পরিণত করেছেন। দারিদ্রপীড়িত একটি দেশকে তিনি অর্থনৈতিক রোল মডেলে পরিণত করেছেন। সারা বিশ্বের ক্ষমতাধর নারীদের মধ্যে শেখ হাসিনা আছেন ২৯ এ।

২. হো চিং

ফোর্বসের তালিকার ২৩ নম্বরে আছেন সিঙ্গাপুরের হো চিং। এশীয় নারীদের মধ্যে তার অবস্থান দ্বিতীয়। হো চিং টিমাসেক হোল্ডিংসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। তার আরেকটি পরিচয় হলো তিনি সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লি হিয়েং লুং এর স্ত্রী। বছর তিনেক আগে সস্তার একটি হাতব্যাগ নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের বাসভবন হোয়াইট হাউসের এক ডিনারে যোগ দিয়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছিলেন তিনি। শুরুতে অনেকেই তার সমালোচনা করে বলেছিলেন যে সস্তার ব্যাগ নিয়ে তিনি সিঙ্গাপুরের নাগরিকদের অসম্মান করেছেন। কিন্তু প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন হওয়ার পর সমালোচকদের মুখ বন্ধ হয়ে যায়। কারণ তিনি অটিস্টিক শিশুদের তৈরি হাতব্যাগ ব্যবহার করছিলেন। এ ঘটনার পর অটিস্টিক শিশুদের তৈরি ব্যাগের কদর বেড়ে যায় কয়েকগুণ। এরকম ছোট ছোট কাজের মাধ্যমে মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরিতে তার সুনাম রয়েছে।

১. জেসিকা ট্যান

এশীয় নারীদের মধ্যে ক্ষমতাধর তালিকায় প্রথম অবস্থানে রয়েছেন চীনের নাগরিক জেসিকা ট্যান। তিনি চীনা গ্রুপ অব কোম্পানিজ পিং অ্যান এর সহ-প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের স্নাতক ট্যান ২০১৩ সালে প্রধান তথ্য কর্মকর্তা হিসেবে পিং অ্যান এ যোগ দিয়েছিলেন। নিজের দক্ষতার প্রমাণ দিয়ে তিনি পাঁচ বছর না পেরোতেই প্রতিষ্ঠানের সহ-প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব পান। ১৬৪ বিলিয়ন ডলারের প্রতিষ্ঠান পিং অ্যান যে খুব দ্রুতই বিস্তার লাভ করছে এর কৃতিত্ব অনেকটা তারই। সারা বিশ্বের ক্ষমতাধর নারীদের মধ্যে তিনি আছেন ২২ এ।

বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭