ইনসাইড পলিটিক্স

নিখোঁজ সংবাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 16/12/2019


Thumbnail

রাজনীতিতে তারা আলোচনায় ছিলেন, সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন। কিন্তু এখন রাজনৈতিক আলোচনায় দেখা মিলছে না তাদের। নানা কারণে তারা নিজেদেরকে গুটিয়ে রেখেছেন। রাজনৈতিক কোনো কর্মকাণ্ডেও তাদের দেখা যাচ্ছে না। এদের মধ্যে রয়েছেন মাহি বি চৌধুরী।

মাহি বি চৌধুরী

৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের আগে বেশ সরব ছিলেন। তার বাবা বদরুদ্দোজা চৌধুরীর রাজনৈতিক দল বিকল্পধারাকে নিয়ে তাকে বেশ সক্রিয় দেখা গিয়েছিল। প্ল্যান বি ফর্মুলা দিয়ে তিনি আলোচিত হয়েছিলেন। এ সময় বিএনপির সঙ্গে জোট গড়ার ব্যাপারেও অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছিলেন। বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্বেই ঐক্যপ্রক্রিয়ার কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। পরবর্তীতে বিএনপি বিকল্পধারা এবং বি চৌধুরীকে বাদ দিয়ে ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন করে। এতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখান মাহি বি চৌধুরী। এরপর বিকল্পধারাকে নিয়ে তিনি আওয়ামী লীগের সঙ্গে মহাজোটে যোগ দেন। সেখান থেকেই মাহি বি চৌধুরী নির্বাচন করেন এবং এমপি হন।

এমপি হওয়ার পর দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত হন মাহি। দুদক তার সম্পদের হিসাব তলব করে। দুদকে তিনি দু’দফা হাজিরাও দেন। এরপর থেকেই তিনি নিখোঁজ। কোনো রকম আলোচনায় নেই, রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডেও নেই। বিকল্পধারার দোকান এখন প্রায় বন্ধ। ঠিক তেমনি মাহি বি চৌধুরীও মুখে কুলুপ এঁটেছেন। রাজনীতিতে প্রায় অনালোচিত হয়েছেন কেন, সে প্রশ্নের উত্তর নেই।

আন্দালিব রহমান পার্থ

আন্দালিব রহমান পার্থ আলোচিত রাজনীতিবিদদের অন্যতন ছিলেন। বিশেষ করে ২০ দলীয় জোটের তাঁর ভূমিকা ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং তাঁর বক্তব্য ও ব্যঙ্গাত্মক উপস্থাপন সাধারণ মানুষের কাছে দ্রুত জনপ্রিয় করেছিল। কিন্তু ৩০ শে ডিসেম্বরের নির্বাচন এবং নির্বাচনের পর বিএনপির সংসদে যাবার সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে ২০ দলীয় জোট থেকে সরে দাঁড়ান তিনি। এখন তিনি নিজের দল নিয়ে ব্যস্ত থাকলেও পাদপ্রদীপে নেই, আলোচনাতেও নেই। তাকে কোন কর্মসূচী বা রাজনৈতিক কর্মকান্ডেও খুঁজে পাওয়া যায় না। আন্দালিব রহমান পার্থ এখন তাঁর রাজনৈতিক অবস্থান সাধারণ মানুষের কাছে স্পষ্ট নয়।

গোলাম মাওলা রনি

গোলাম মাওলা রনি ২০০৯ সালের সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে আলোচিত হয়েছিলেন। এরপর তাঁর লেখালেখি, বিভিন্ন টক শোতে ভিন্নধর্মী বক্তব্যের কারণে তিনি সাধারণ মানুষকে আকর্ষণ করেন। কিন্তু এক পর্যায়ে আওয়ামী লীগের সাথেই তাঁর মত বিরোধ তৈরি হয়। পরবর্তীতে তিনি আওয়ামী লীগ ত্যাগ করেন। এরপরে ২০১৪ সালের নির্বাচনে তাকে মনোনয়ন দেয়া হয়না। এরপরেও তিনি নানাভাবে আলোচনায় ছিলেন। বিশেষ করে সরকারের সমালোচনা জন্য তিনি আলোচিত-সমালোচিত ছিলেন। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের আগে তিনি হুট করে বিএনপিতে যোগ দেন এবং তাঁর ভরাডুবি হয়। এখন তিনিও পাদপ্রদীপে নেই এবং তাকে নিয়ে কোন আলোচনাও নেই।
তরুণ সম্ভাবনাময় এসব রাজনীতিবিদরা কি হারিয়ে গেলেন? নাকি কৌশলগত কারণে নিজেদের গুটিয়ে রেখেছেন সেটাই দেখার বিষয়।

বাংলা ইনসাইডার

 



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭