ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

উত্তাল ভারত, শত শত বিশ্ববিদ্যালয়ে ছড়িয়েছে বিক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 16/12/2019


Thumbnail

ভারতে নতুন নাগরিকত্ব আইন বাতিলের দাবিতে চলমান আন্দোলন জোরদার হচ্ছে। দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্ষোভ দমাতে নির্বিচারে পুলিশের লাঠিচার্জ, রাবার বুলেট নিক্ষেপে শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হওয়ার ঘটনায় এখন দেশটির শত শত সরকারি-বেসরকারি এই বিক্ষোভ আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে।

সমালোচকরা বলেছেন, ক্ষমতাসীন হিন্দুত্ববাদী সরকার ধর্মনিরপেক্ষ প্রজাতন্ত্র হিসাবে প্রতিষ্ঠিত ভারতে বিভাজন তৈরি করতে এই নতুন নাগরিকত্ব আইন নিয়ে এসেছে।

ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স বলছে, দেশটির উত্তরাঞ্চলের লকনৌ শহরের একটি কলেজের প্রবেশদ্বারে তালা দিয়েছে পুলিশ। শিক্ষার্থীদের রাস্তায় বিক্ষোভ ঠেকাতে পুলিশ এ পদক্ষেপ নিয়েছে।

এ সময় ক্যাম্পাসের ভেতরে থেকে শিক্ষার্থীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট, পাথর নিক্ষেপ করেছে। শহরের অন্য একটি কলেজের কয়েকডজন শিক্ষার্থী রাস্তায় নেমে বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছেন।

এর আগে রোববার নয়াদিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ভিতরে ঢুকে শিক্ষার্থীদের ওপর আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর বেধড়ক লাঠিপেটা ও টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে। রাতভর বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে ৩৫ পুলিশ ও শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ওয়াসিম আহমেদের অভিযোগ, রাতে পুলিশ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে নির্বিচারে মারধর করে। পরে, সংঘর্ষে আহত শিক্ষার্থীদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

নয়াদিল্লির প্রাণকেন্দ্রের এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বলছেন, পুলিশ ক্যাম্পাসে ঢুকে শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করেছে। টিয়ার গ্যাসের আঘাতে লাইব্রেরির জানালা ভেঙে গেছে। পুলিশি নিমর্মতা ও শিক্ষার্থী আটকের ঘটনায় সোমবার নয়াদিল্লিতে পুলিশের সদর দফতরের সামনে শত শত মানুষ জমায়েত হয়ে বিক্ষোভ করেছেন। তবে পুলিশ বলছে, তারা সংযত থেকে দায়িত্ব পালন করেছে।

নতুন নাগরিকত্ব আইনে বলা হয়েছে, ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে প্রতিবেশী বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান থেকে যেসব অমুসলিম শরণার্থী ভারতে গেছেন; তারা দেশটির নাগরিকত্ব পাবেন। সমালোচকরা বলছেন, এই আইনে মুসলিম শরণার্থীদের ব্যাপারে একই ধরনের বিধান রাখা হয়নি; যা ভারতের ধর্মনিরপেক্ষতার ভিত্তিকে দুর্বল করে দিয়েছে।

অন্যদিক, পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বিশাল মিছিল করেছে তৃণমূল। পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আন্দোলন হবে। পশ্চিমবঙ্গে নাগরিকত্ব আইন এবং এনআরসি করতে দেবেন না তিনি।

বাংলা ইনসাইডার/এসএস



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭