ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে গেল কেরালা সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 14/01/2020


Thumbnail

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) বিরুদ্ধে ভারতের কলকাতা, দিল্লি, কেরালা ও বেঙ্গালুরুরসহ বিভিন্ন রাজ্যে আন্দোলন করছে সাধারণ মানুষরা। তবে এবার সিএএ’র বৈধতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করল কেরালা সরকার। এর আগে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরেই বিধানসভায় সর্বসম্মতিক্রমে সিএএ বাতিল প্রস্তাব পাস করেছে পিনারাই বিজয়নের সরকার।

মঙ্গলবার কেরালার পিনারাই বিয়জন সরকার ভারতের সর্বপ্রথম রাজ্য হিসেবে সুপ্রিম কোর্টের মামলা দায়ের করে। কেরালা সরকার অভিযোগ করেছে নাগরিকত্ব আইন সংবিধানের একাধিক ধারাকে লঙ্ঘন করে। এনআরসি-র বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত ৬০টিরও বেশি পিটিশন জমা পড়েছে সুপ্রিম কোর্টে।

ভারতীয় সংবিধানের ১৩১ নম্বর ধারা অনুসারে কেরালা সরকারের করা আবেদনে সংবিধানের তিনটি ধারার কথা বলা হয়েছে। ধারাগুলো হচ্ছে ১৪, ২১ ও ২৫। এই তির ধারায় যথাক্রমে সকলের সমান অধিকার, বাঁচার অধিকার এবং স্বাধীনভাবে ধর্ম মানার অধিকারের কথা বলা হয়েছে।

কেরালা সরকারের দাবি, সিএএ মূলত একটি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কেই টার্গেট করছে। কেরালা সরকারের আবেদনে বলা হয়েছে, “এই আইন পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশের হিন্দুদের কথা চিন্তা করছে। কিন্তু শ্রীলঙ্কায় যে তামিল হিন্দুরা রয়েছেন, কিংবা নেপালে যে মাধেশি জনগোষ্ঠী রয়েছে, তাদের কথা ভাবা হচ্ছে না।” এক কথায় এই আইন নাগরিকদের সমানাধিকার খর্ব করছে।

কেরালার মুখ্যমন্ত্রী বিজয়ন স্পষ্ট ভাষায় বলেন, “আমাদের রাজ্যে কোনো ডিটেনশন ক্যাম্প করতে দেব না। এই রাজ্য ধর্মনিরপেক্ষতার নিদর্শন রয়েছে। শুরু থেকেই এখানে গ্রিক, রোমান, আরবী, খ্রিস্টান, মুসলিম-সহ সব সম্প্রদায়ের মানুষ একসঙ্গে বাস করছেন। এটাই আমাদের ঐতিহ্য। এই ঐতিহ্যকে কখনোই নষ্ট হতে দেব না।”

গেলো বছরের ডিসেম্বরে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানে যে সমস্ত অ-মুসলিম মানুষ অত্যাচারিত হয়ে ভারতে ফিরে এসেছেন তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।

বাংলা ইনসাইডার/এসএস



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭