নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: 19/01/2020
প্রায় ১১ বছর ধরে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। রাস্ট্রনায়ক থেকে তিনি এখন বিশ্বনেতায় পরিণত হয়েছেন। তার প্রত্যেকটি কথাই মূল্যবান। তার প্রত্যেকটি কথার যেমন রাজনৈতিক মূল্য আছে তেমনি আছে দার্শনিক বিষয়বস্তুও। তিনি যখন যে কথাগুলো বলছেন, সেগুলো অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ, গুরুত্ববাহী। তিনি যে নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়েছেন তা বারবার প্রমাণ করেছেন। আওয়ামী লীগ ১১ বছর ক্ষমতায় থেকেও যে এত জনপ্রিয় তার প্রধান কারণ হলেন শেখ হাসিনা। তার নেতৃত্বগুনে একাই তিনি দেশকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। গত দুইদিনে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ৩টি নির্দেশনা তার উচ্চতাকে আবার নতুন করে চিনিয়ে দিলো। চিনিয়ে দিলো কেন শেখ হাসিনা অনন্য। এই তিন নির্দেশনা ছিলো;
১. আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিঙ্গাপুরে ক্যানসারের সঙ্গে যুদ্ধরত গুণীশিল্পী এন্ড্রু কিশোরের চিকিৎসার সমস্ত দায়ভার নিয়েছেন। তিনি এ ব্যাপারে সিঙ্গাপুর দূতাবাসকে জানিয়ে দিয়েছেন যে, অ্যান্ড্রু কিশোরের চিকিৎসার সমস্ত ব্যয়ভার গ্রহণ করবেন প্রধানমন্ত্রী। মানবতার এটি একটি অনন্য দৃষ্টান্ত। রাজনীতিবিদরা মাঝে মাঝে মানবিক বোধ শূন্য হয়ে পড়েন। দেশ পরিচালনা করতে গেলে তাদের কঠোর হতে হয়। আস্তে আস্তে তাদের মানবিক মূল্যবোধ ও আবেগগুলো লুপ্ত হয়ে যায়। কিন্তু শেখ হাসিনা এখানে অনন্য ব্যতিক্রম। তার মানবিক আবেগগুলো লুপ্ত হয়ে যায়নি। একজন গুনী শিল্পীর জন্য তিনি যে মানবিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তা পৃথিবীতে একটি বিরল ঘটনা।
২. শেখ হাসিনা এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন ভারতের নাগরিকত্ব আইন দেশটির অভ্যন্তরীণ বিষয়। তবে তারা এটা না করলেও পারতো। নাগরিকত্ব আইন নিয়ে ভারতে তোলপাড় চলছে। সেখানে এক অস্থির অবস্থা বিরাজ করছে। আর বাংলাদেশে যখন এটা নিয়ে নানা উৎকণ্ঠা, আশঙ্কা ও অস্বস্তি ঠিক তখন আওয়ামী লীগ সভাপতির এই পরিশীলিত, মার্জিত এবং সংযত বক্তব্য সারা বিশ্বকে দেখিয়ে দিলো যে তিনি কত বড় মাপের নেতা। তিনি ভারতের নাগরিকত্ব বিলটির পাশ করা নিয়ে কোনো সমালোচনা করেননি কিন্তু বিলটিকে তিনি উপেক্ষা করেছেন এবং এর অপ্রয়োজনীতার কথা অকপটে বলেছেন।
একজন রাষ্ট্রনায়ক কতটা দেশপ্রেমিক হলে এবং কতটা দায়িত্ববান হলে এমন মন্তব্য করতে পারেন তা যে কোনো কূটনৈতিক বিশ্লেষকরাই অনুমান করতে পারেন। তিনি ভারতের সমালোচনা করেন আবার তিনি ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে নাকও গলাননি। কিন্তু নির্ভয়ে ও নির্মোহভাবে তিনি তার দেশপ্রেম ও অবস্থানকে স্পষ্ট করেছেন। এ যেন ১৯৭২ সালের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ভারতীয় সৈন্য প্রত্যাহারের জন্য যেমন ভাবে নির্মোহ ছিলেন তারই প্রতিধ্বনি।
৩. শেখ হাসিনা গতকাল শেয়ার মার্কেটের অস্থিরতা নিয়ে এক বৈঠক করেন এবং পাঁচ দফা নির্দেশনা দেন। এরপরই আজ শেয়ার মার্কেট চাঙ্গা হয়েছে। এর মাধ্যমে তিনি আবার প্রমাণ করলেন, একজন ভালো রাষ্ট্রনায়ক হতে গেলে অর্থনীতিবিদ হবার দরকার নেই, অর্থনীতিকে উন্নত করতে পণ্ডিত হবার দরকার নেই। প্রয়োজন শুধু দেশপ্রেম এবং জনসম্পৃক্ততা। জনগণের হৃদয়ের কথা বুঝতে পারা। আর হৃদয়ের কথা বুঝতে পারলে তিনি যেকোন পণ্ডিত এবং জ্ঞানী অভাজনের চেয়েও বিজ্ঞ হয়ে যান। জনগণের ক্ষমতায়নই যে তাঁর রাজনীতির মূল দর্শন সেটা প্রমাণ করলেন শেয়ার মার্কেটে নির্দেশনা দানের মাধ্যমে। শেয়ার বাজার আবার হয়তো আগের অবস্থানে ফিরে আসবে তবে শেখ হাসিনা শেয়ার মার্কেটে বিপর্যস্ত বিনিয়োগকারীদের উদ্ধারে যে পদক্ষেপ নিলেন, তা কয়জন রাষ্ট্রনায়ক নেয়?
বারবার বলা হয় যে, বাংলাদেশের রাজনীতিতে শেখ হাসিনা একটি বিপ্লবের নাম, শেখ হাসিনা একটি অভ্যুত্থান। শেখ হাসিনা প্রতিদিন নিজ কর্মকাণ্ডে নিজেকে ছাড়িয়ে যাচ্ছেন। এমন এক জায়গায় তিনি উপনিত হয়েছেন, যেখানে দলমত নির্বিশেষে সকলেই তাঁর অস্তিত্বকে স্বীকার করে এবং বিশ্বাস করে শেখ হাসিনার কোন বিকল্প নেই। এই তিনটি ঘটনা তাঁর একটি ঝলক মাত্র।
বাংলা ইনসাইডার
প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান
বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭