ইনসাইড বাংলাদেশ

যশোরের শার্শা উপজেলায় বোরো চাষাবাদে ব্যস্ত কৃষকেরা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 23/01/2020


Thumbnail

যশোরের শার্শায় শুরু হয়েছে বোরো চাষাবাদ। জমি প্রস্তুত ও চারা রোপনে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা। চাষিরা জানায়, শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকুলে এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ ঠিকমতো থাকলে সুষ্ঠু ভাবে ফসল ঘরে তুলতে পারবেন। ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মাঠে মাঠে চলছে পানি সেচ, জমি প্রস্তুত ও চারা রোপনের ব্যস্ততা। শার্শা উপজেলার কৃষক তুহিন হোসেন জানান, দেড় বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষ করছি। গভীর নলকুপ দিয়ে আমাদের চাষাবাদ করতে হয়। সবাই একসাথে জমি তৈরী করতে নলকুপের উপর কিছুটা চাপ পড়ছে।

কৃষক বাবলুর রহমান জানান, জমি চাষ ও রোপন, পানি সেচ এবং কাটা-মাড়াই সহ প্রায় ১০ হাজার থেকে ১১ হাজার টাকা বিঘা প্রতি খরচ হয়ে থাকে। বিঘা প্রতি ফলন হয় ২০-২২ মন। বর্তমান বাজারে ধানের দাম সর্বোচ্চ ৬৫০ টাকা করে। যাদের নিজস্ব জমি তাদের কিছু থাকে। কিন্তু যারা বর্গাচাষী তাদের কিছুই থাকেনা। এতে করে প্রতিবছর আমাদের লোকসান গুনতে হয়। সরকার যদি সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনে তাহলে ন্যায্য দাম পাওয়া যাবে। উপজেলায় চলতি মৌসুমে চাষিদের মধ্যে বোরো চাষের ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা পরিলক্ষিত হচ্ছে। শীতের প্রকোপ কিছুটা কম থাকায় কৃষকরা কোমর বেঁধে মাঠে নেমে পড়েছে।

কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে শার্শা উপজেলায় এবার ২২ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা গত বছরের চেয়ে ৫ শত হেক্টর জমিতে বোরো চাষের উৎপাদন বেশি হচ্ছে। এর মধ্যে ব্রি-ধান ২৮,ব্রি-ধান ৫০,ব্রি -ধান ৬৫,ব্রি- ধান ৬৭, ব্রি- ধান ৮১ সহ হাইব্রিড মিনিকেট ধান চাষ হচ্ছে। শার্শা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৌতম কুমার শীল জানান, চলতি বছরের বোরো মৌসুমে ৪ শত বা তার বেশি কৃষককে প্রনদনা কর্মসূচীর আওতায় বিঘা প্রতি সার, বীজ সহায়তা প্রদান এবং কৃষক/কৃষানীকে এনএডিবির আওতায় সার, বীজ বিতরণ সহ বিশেষ প্রক্ষিণন প্রদান করা হয়েছে।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭