নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: 23/01/2020
রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলায় মিয়ানমারের বিরুদ্ধে চারটি আদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে)। এই চার আদেশে বলা হয়েছে-
রোহিঙ্গাদের সুরক্ষা দিতে হবে। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সদস্যদের হত্যা, নিপীড়ন, বাস্তুচ্যুতির মতো পদক্ষেপ গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে হবে। মিয়ানমারের সেনাবাহিনী বা অন্য রাষ্ট্রীয় অন্য কোনো বাহিনী রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন চালাতে পারবে না। এমনকি নির্যাতনের ষড়যন্ত্রও করতে পারবে না।
দায়ী সেনাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।
প্রতি মাসে মিয়ানমার সরকারকে গাম্বিয়ার সঙ্গে বসতে হবে এবং গাম্বিয়ার প্রশ্নের জবাব দিতে হবে।
আগামী ৪ মাসের মধ্যে রোহিঙ্গাদের সুরক্ষায় নেওয়া পদক্ষেপের রিপোর্ট আদালতে জমা দিতে হবে।এরপর প্রতি ছয় মাস পরপর প্রতিবেদন দিতে হবে। গাম্বিয়া এই প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে তার পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের কাছে আবেদন করতে পারবে।
আজ বৃহস্পতিবার নেদারল্যান্ডসের রাজধানী দ্য হেগে বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টায় আইসিজের প্রধান বিচারপতি আবদুল কাভি আহমেদ ইউসুফ আদেশ ঘোষণা করেন। আদেশ ঘোষণার শুরুতে রোহিঙ্গাদের সুরক্ষায় পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়ার দায়েরকৃত মামলার পক্ষে রোহিঙ্গা নিপীড়ন ও গণহত্যার যেসব আলামত আদালতের কাছে উপস্থাপন করা হয়েছিল, সেসব বিরোধের ভিত্তি হিসেবে গ্রহণ করা যেতে পারে বলে মন্তব্য করেন বিচারপতি ইউসুফ।
মিয়ানমার গাম্বিয়ার করা মামলা খারিজ করে দিতে আবেদন করেছিল। মিয়ানমারের নেত্রী যুক্তি দেখিয়েছিলেন যে, রাখাইনে যে ঘটনা ঘটেছে সেটা বিচারের এখতিয়ার এই আদালতের নেই। আদালত মিয়ানমারের এই যুক্তি খারিজ করে দিয়েছে।
রোহিঙ্গারা রাখাইনে বর্বরোচিত হামলার শিকার হয়েছে এবং এর ফলে গণহত্যার মতো অপরাধ সংগঠিত হয়েছে এই বিষয়টি উল্লেখ করে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গত নভেম্বরে অভিযোগ আনে গাম্বিয়া। মামলাটি কয়েক বছর ধরে চলতে পারে এই আশঙ্কায় পাচঁটি বিষয়ে কোর্টের কাছে অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ চায় গাম্বিয়া। যে বিষয়গুলোর জন্য অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ চাওয়া হয় সেগুলো হচ্ছে- গণহত্যা বন্ধের জন্য মিয়ানমার অবিলম্বে ব্যবস্থা নেবে; মিলিটারি, প্যারামিলিটারি ও বেসামরিক অস্ত্রধারী ব্যক্তি কোনও ধরনের গণহত্যা না চালাতে পারে সে ব্যবস্থা নেওয়া; মিয়ানমার গণহত্যা সংক্রান্ত কোনও ধরনের প্রমাণ নষ্ট করবে না; এবং বর্তমান পরিস্থিতিকে আরও বেশি জটিল ও খারাপ করে এমন কোনও কাজ করবে না। পঞ্চম বিষয়টি হচ্ছে আদেশের পরে আগামী ৪ মাসের মধ্যে উভয়পক্ষ তাদের নেওয়া পদক্ষেপ কোর্টকে অবহিত করবে।
আদালত আজ গাম্বিয়ার প্রায় সবগুলো আবেদনের পক্ষে সায় দিলেও একটি আবেদন বাতিল করেছে। গাম্বিয়ার আবেদনে বলা হয়েছিল, জেনোসাইডের অভিযোগে আবেদনের সঙ্গে সম্পৃক্ত কোনো তথ্য-প্রমাণ মিয়ানমার ধ্বংস করবে না বা সেগুলোর অবস্থান বদলাতে পারবে না। গাম্বিয়ার এই দাবিটি মঞ্জুর করেননি আদালত।
বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি
প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান
বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭