নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: 23/01/2020
মামলা বাতিলে মিয়ানমারের আবেদন খারিজ। মিয়ানমারের গণহত্যার উদ্দেশ্য ছিল। গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে মিয়ানমারকে। রোহিঙ্গাদের পরিচয় সুনির্দিষ্ট করা হয়েছে। রোহিঙ্গাদের রোহিঙ্গা হিসেবে পরিচিতি দেওয়া হয়েছে। তাদের বাংলাদেশ বা আরকান পরিচয় নায়। অং সং সুচি কর্তৃক যে বলা হয়েছিল আরাকান আর্মির ওপর এই হামলা হয়েছে। কিন্তু আদালত সেটা স্পষ্ট করে বলেছে কারা আরকান আর্মি আর কারা সাধারণ মানুষ সেটা স্পষ্ট করেনি মিয়ানমার। বলা হয়েছে মামলাটি চলতে থাকবে।
আদালতের অন্তর্বতীকালীন আদেশে আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:
- বাস্তুচ্যুতির মতো পদক্ষেপ গ্রহণ থেকে বিরত থাকার আদেশ দিয়েছেন।
- মিয়ানমার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সুরক্ষায় কয়েকটি সুনির্দিষ্ট অন্তর্বর্তী ব্যবস্থার নির্দেশনা দিচ্ছেন।
- গাম্বিয়া যেসব ব্যবস্থার আবেদন করেছে সেগুলো হুবহু অনুসরণ না করেও আদালত কিছু পদক্ষেপের নির্দেশ দিতে পারে।
- আদালতের অন্তর্বর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে।
- আদালত গণহত্যা সনদের ধারা ৪১ এর আওতায় তিনটি অন্তর্বর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের আদেশের শর্তসমূহ বিরাজ করছে বলে আদালত উল্লেখ করেছে।
- গাম্বিয়া যেসব অন্তর্বর্তী ব্যবস্থার আদেশ চেয়েছে সেগুলোর প্রথম তিনটির লক্ষ্য হচ্ছে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সুরক্ষা দেওয়া বলে আদালতের কাছে মনে হয়েছে।
- জাতিসংঘ তথ্যানুসন্ধানী দলের উপসংহার, যা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে অনুমোদিত হয়েছে তাতে মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সহিংসতায় গণহত্যার উদ্দেশ্য ছিল বলে যে উল্লেখ রয়েছে তা আদালতের নজরে এসেছে।
- আদালত মনে করেন, গণহত্যা সনদের ধারা ২ এর আলোকে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী একটি বিশেষ সুরক্ষার অধিকারী (প্রোটেক্টেড) গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচ্য।
- আপনারা আদালতের কার্যক্রম সরাসরি শুনতে পারেন এই লিংকে ক্লিক করে।
- সনদের সংশ্লিষ্ট ধারাগুলোর আওতায় ( ধারা ৮ ও ৯) এই মামলা দায়েরের গাম্বিয়ার প্রাইমা ফেসি অধিকার আছে বলে জানিয়েছেন আদালত।
- এ বিষয়ে আদালতের এখতিয়ার নেই বলে মিয়ানমার যে দাবি করেছে আদালত তা প্রত্যাখ্যান করেছেন।
- জাতিসংঘ তথ্য অনুসন্ধানী দলের প্রতিবেদনে যেসব বিবরণ উঠে এসেছে তার আলোকে গাম্বিয়া মিয়ানমারকে যে নোট ভারবাল দিয়েছিল তা বিরোধের ভিত্তি হিসেবে গ্রহণযোগ্য বলে মন্তব্য করেছেন আদালত।
- আদালত বলেছেন, গাম্বিয়া স্বনামে এই আবেদন করেছে। এরপর তারা ওআইসিসহ যেকোনো সংস্থা ও দেশের সহযোগিতা চাইতে পারে। তাতে মামলা করার অধিকার ক্ষুণ্ন হয় না।
- আদালতের প্রাথমিকভবে এখতিয়ার আছে কিনা তা গণহত্যা সনদের ৯ ধারার আওতায় বিবেচ্য জানিয়ে আদালত তার যুক্তি তুলে ধরছেন।
- গণহত্যা সনদের আওতায় মিয়ানমারে গণহত্যার অভিযোগ বিষয়ে প্রাথমিকভাবে বিচার পরিচালনায় (প্রাইমা ফেসি) আদালতের এখতিয়ার আছে কিনা আদালত প্রথমে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবেন। আবেদন শুনানির জন্য গৃহীত হলে কিংবা প্রত্যাখ্যান করা হলে আদালত তার কারণ ব্যাখ্যা করবেন বলে আদালতের সূত্রগুলো জানিয়েছে। এরপর যেসব অর্ন্তবর্তী ব্যবস্থার আবেদন করা হয়েছে সেগুলোর বিষয়ে আদালত সিদ্ধান্ত দেবেন।
প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান
বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭