লিভিং ইনসাইড

উপহার কিনতে নয় কোনো চিন্তা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 07/02/2020


Thumbnail

অনেক সময় বলে উপহার পাওয়া চাইতে নাকি দিতেই বেশি ভালো লাগে। এ কথা কিছুক্ষেত্রে সত্যি। কারণ প্রিয়জনের হাতে সুন্দন একটা উপহার তুলে দিলে তার মুখে যে অনাবিল হাসি আর আনন্দ চোখেমুখে ফুটে ওঠে, তার কোনো তুলনাই হয় না। এই আনন্দের ভাগটাও কাউকে দেওয়া যায় না। তবে সেক্ষেত্রে উপহারটি অবশ্যই ভেবেচিন্তে দিতে হবে। আর এরই মাঝে শুরু হয়েছে উৎসবের ধামাকা, ধারাবাহিকভাবে ভালোবাসার মতো কিছু দিবস রয়েছে সামনে। তাই উপহার কি দেবেন, কীভাবে দেবেন- সেটা নিয়েও চিন্তা সবার। তাই উপহার কিনতে ভয় কাটাতে আপনাদের জন্য রইলো কিছু টোটকা-

দাম নিয়ে চিন্তা কম করুন

বেশি খরচেই যে আকর্ষণীয় উপহার দিতে পারবেন তা নয়। আপনি যখন কাউকে অনেক দামী উপহার দেবেন, তার সঙ্গে বেশি প্রশংসাও প্রত্যাশা করবেন। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই প্রশংসা উপহারের মূল্যের উপর নির্ভর করে না। আপনি আপনার দামের একটি সীমা নির্দিষ্ট করে রাখতে পারেন। কিন্তু উপহার কিনে ফেলার পর দামের চেয়ে কী উপহার দিলেন সেটিই মুখ্য।

উপহার দেওয়ার কারণটাকে গুরুত্ব দিন

উপহার দেওয়ার বিভিন্ন কারণ থাকে। উপহার বাছাইয়ের ক্ষেত্রে উপহার দেওয়ার কারণকে প্রাধান্য দিতে হবে। জন্মদিন, ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান, বিবাহবার্ষিকী, শুভেচ্ছা, দিবস উপলক্ষ্যেই উপহার। দিবসভেদে উপহারের ধরন ভিন্ন হয়। তাই গড়পরতা উপহার না দিয়ে আগে ভাবুন কেন উপলক্ষ্যটা কি।

উপহারের উপস্থাপনও জরুরি

আপনার উপহারটি যেমনিই হোক, উপস্থাপনটা যেন একটু আলাদা হয় সবথেকে। শুধু র‍্যাপিং পেপারে মুড়েই উপহার দিলেই তো হলো না। আপনি চাইলেই ব্যাপারটিকে আরো সৃজনশীল ও আকর্ষণীয় করে তুলতে পারেন। ছোট কিছু লিখে দেওয়া কিংবা সঙ্গে কোনো উইশকার্ডও উপহার পাওয়া ব্যক্তিকে অনেক বেশি আনন্দিত করতে পারে। তাই উপহার উপস্থাপনের ব্যাপারটিকেও চিন্তায় রাখা উচিত।

একেবারে অনন্য হতে হবে, তাও নয়

উপহার দেওয়ার ক্ষেত্রে আমরা বেশিরভাগ সময়ই চেষ্টা করি একেবারে আলাদা কিছু দেওয়ার জন্য। আমাদের ধারণা, আলাদা বা অনন্য কিছু পেলেই হয়তো অপর ব্যক্তিটি সর্বোচ্চ খুশি হবেন। অথচ বৈচিত্র‍্য আনতে গিয়ে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই উপহার পাওয়া ব্যক্তি খুশি হলেও, তা বাস্তব জীবনে খুব কম কাজেই লাগে তার। হ্যাঁ, আপনি সবার চেয়ে ভিন্ন কিছু দিতে পারেন, সেটা যেন অবশ্যই তার কাজে লাগে।

নিজেদের ভেতরের মিলকে প্রাধান্য দিন

ভালো উপহারের দিতে পারার পেছনে সবচেয়ে বড় ফ্যাক্টরটি হলো- উপহার দেওয়া ও নেওয়া এই দুই ব্যক্তির মনের মিলের প্রাধান্য। নিজের পছন্দকে অগ্রাধিকার না দিয়ে দুইজনের আগ্রহের বিষয়কে সামনে নিয়ে এসেই উপহার কেনা উচিত আমাদের।

কারণ, মানুষ সাধারণত নিজেদের পছন্দের জিনিস কিনতে বেশি পটু। তাই আপনাকে এমন কিছু বাছাই করতে হবে, যেটি আপনার সাথে যাকে উপহার দেবেন- তারও পছন্দ। এতে করে সেই বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে আপনি সবচেয়ে ভালো উপহারটিই দিতে পারবেন আপনার প্রিয়জনকে। 

জিজ্ঞেস করুন সে কি চায়

নিজেদের পছন্দে নাও মিলতে পারে। সেক্ষেত্রে আপনার উচিত তাকে জিজ্ঞেস করা যে, সে কি চায়। গবেষণায় দেখা গেছে, মানুষ না চাওয়া উপহার থেকে নিজের চাওয়া উপহার পেতে বেশি ভালোবাসে ও তাতে বেশি আনন্দিতও হয়।

তবে উপহারের ব্যাপারে অনেকের অভিমত এই যে, উপহার জিনিসটি সারপ্রাইজিং হওয়া উচিত। সে হিসেবে আপনি যদি জিজ্ঞেস করে উপহার দিতে চান, তবে বিস্মিত করার ব্যাপারটি আর থাকবে না। যদিও সারপ্রাইজের সঙ্গে ভালো উপহারের ওরকম কোনো সম্পর্ক নেই- এমনটাও অনেক গবেষণা বলে থাকে। তাই আপনার অগ্রাধিকার যদি হয় ভালো উপহার দেওয়া, তাহলে সেখানে জিজ্ঞেস করেই উপহার দেওয়া উচিত।

বেশি চিন্তা করা বাদ দিন

আর সবচেয়ে বড় কথা দিনশেষে বেশি চিন্তা করা বর্জন করুন। খারাপ উপহার খুব কমই হয়ে থাকে। একেবারেই অসামঞ্জস্য না হলে উপহার পাওয়া ব্যক্তি কমবেশি খুশি হবেনই। গবেষণা মতে, খুব কম মানুষের ক্ষেত্রেই এমন হয়েছে যে, তারা উপহারটি পছন্দ করেননি। অনেক সময় খারাপ উপহার পেলেও ব্যক্তি চিন্তা করবে যে, কেন আপনি এই উপহারটি বাছাই করেছেন। তখন আপনার উপহার বাছাইয়ের ক্ষেত্রে শ্রম ও সময় দেওয়ার জন্যও আপনার তারিফ করবে তারা।

তাই দিনশেষে উপহার কী দেবেন, কখন দেবেন এতসব নিয়ে বেশি চিন্তা না করাই শ্রেয়।

 

বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭