ইনসাইড বাংলাদেশ

আ. লীগের মার্কা এবার পদ্মা সেতু

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 03/07/2017


Thumbnail

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের ১০টি ফাস্ট ট্র্যাক প্রকল্পের শীর্ষে রয়েছে ‘পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প’। সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে নির্মাণ হচ্ছে দেশের দীর্ঘতম এই সেতু। তবে আশার বিষয় হলো সামনেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আর একে সামনে রেখেই অতি দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে এই স্বপ্নের পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ। আর এই পদ্মা সেতুই হতে পারে এখন  ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের জন্য টার্নিং পয়েন্ট।

যার দৈর্ঘ্য ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার। এই সেতুর জন্য সরকারের বরাদ্দ ব্যয় ২৮ হাজার ৭৯৩ কোটি টাকা। সেতুটির নির্মাণ কাজ ২০১৮ সালে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজের উপর আশার বাসা বাঁধছে সরকার। সরকার যত দ্রুত এই সেতুর কাজ করবে ততই নির্বাচনে জয়ীর পথে এগিয়ে যাবে। কারণ সাধারণ মানুষ উন্নয়নের পথকেই বেঁছে নিয়েছে বার বার। আর আওয়ামী লীগ যদি এ উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে সার্থকতা লাভ করে তাহলে জয়ের পথে আর কোনো বাধা থাকবে না।

এ বিষয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগ বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে নির্বাচনে জয়ের হ্যাটট্রিক করবে।

পদ্মা সেতুর সর্বশেষ কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রদত্ত প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ যথাসময়ে শেষ হবে। পদ্মা সেতুর সার্বিক অগ্রগতি হয়েছে ৪৩ শতাংশ। জুন মাসের মধ্যেই পদ্মা সেতুর পিলারের ওপর স্প্যান বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী এগিয়ে চলছে দেশের সবচেয়ে বৃহৎ প্রকল্প পদ্মা বহুমুখী সেতুর কাজ।

ইতিমধ্যে, সেতুর প্রথম পিলারের ওপরের অংশে জাজিরা প্রান্তের ৩৭ নম্বর পিলারের ঢালাই সম্পন্ন হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আরেকটি পিলারের ঢালাই হলে উঠে দাঁড়াবে সুপারস্ট্রাকচার (স্প্যান)। এর মানে জয় আওয়ামী লীগের হাতের মুঠোয়। এক একটি পিলার উঠবে আর এ দল এক ধাপ করে নির্বাচনের জয়ের পথে পা বাড়াচ্ছে।

বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলকে সড়ক পথে রাজধানীসহ মধ্যাঞ্চলের সঙ্গে যুক্ত করতে ২০১৫ সালের ১২ ডিসেম্বরে পদ্মা নদীর উপর ৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতু নির্মাণের মূল কাজের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের নথিপত্রে দেখা যায়, ২০ হাজার ৫০৭ কোটি টাকা ব্যয়ে পদ্মা সেতু প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্য ছিল, যার সঙ্গে এখন ৮ হাজার ২৮৬ কোটি টাকা যুক্ত করা হয়েছে।

এই পদ্মা সেতু সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল ২০১৫ সালে। তা ২০১৮ সালে শেষ হচ্ছে। মাঝখানে যে দু’বছর ক্ষতি হয়ে গেল এর জন্য দায়ী বিশ্বব্যাংকই। এতে আমাদের অনেক আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।
বহুল প্রত্যাশিত ও স্বপ্নের এই পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্পের সঙ্গে জড়িয়ে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ আর কষ্টের স্মৃতি। ‘দুর্নীতির চেষ্টা’র অভিযোগ তুলে ২০১২ সালের জুনে বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্পে ঋণ চুক্তি বাতিল করে। ২০১১ সালে মূল সেতু নির্মাণ কাজ শুরুর কথা থাকলেও এই জটিলতার কারণে তা চার বছর পিছিয়ে যায়।

স্বপ্নের সেই পদ্মা সেতুই এখন দৃশ্যমান হয়ে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতায় হ্যাটট্রিক জয়ের মাধ্যমে সরকার গঠনে আগাম আহ্বান জানিয়ে রাখছে। সে আর এখন অবাস্তব কিছু নয়। কিছু সময়ের অপেক্ষা মাত্র।


বাংলা ইনসাইডার/আরএস




প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭